Logo
শিরোনাম

ক্ষমতা ধরে রাখতে পুরোনো খেলায় মেতেছে সরকার : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই অনির্বাচিত, অবৈধ, ফ্যাসিষ্ট সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার জন্য এবং বিএনপিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে পুরোনো খেলায় মেতে উঠেছে। মিথ্যা, গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, ঘরে ঘরে তল্লাশি-হয়রানির মাধ্যমে নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের কারাগারে নিয়ে যে ধরনের নির্যাতন করে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। আজ সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিথ্যা মামলাকে এই সরকার প্রজেক্টের মতো নিয়েছে। এতে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হচ্ছে। নেতারা জামিন নিয়ে যখন বের হবেন, তখনই আবার জেলগেটে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এখানে আছে বাণিজ্যের ব্যাপার। কারণ, এখন পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে গেছে। আমাদেরকে প্রথম কারাগারে নেওয়ার পর কনডেম সেলে রাখা হয়েছিল কোয়ারেন্টিনের নামে। যা চরম অমানবিক। এ ক্ষেত্রে কারাবিধি মানা হয়নি। কারাগারের আচরণ ও নিপীড়ন যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। নির্বাচনের আগে সরকার আবারও বিএনপিকে মাঠশূন্য করতে চায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, ঘরে ঘরে তল্লাশি এবং হয়রানি করে নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। এই হীন পরিকল্পনায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ও অনেক সিনিয়র নেতাসহ  অসংখ্য কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং কারাগারে অমানবিক নির্যাতন শুরু করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা ও হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় এবং সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগারে কারান্তরীণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সুচিকিৎসা প্রদানে সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বুকে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ রুহুল কবির রিজভী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফুসফুসে জটিলতা ও হার্টের অসুখসহ বিভিন্ন মারাত্মক অসুখে শারীরিকভাবে অসুস্থ একজন মানুষ। তিনি সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার সময় অন্যের সাহায্য ছাড়া চলতে পারেন না, তাছাড়া তাকে সব সময় লাঠির ওপর ভর করে চলতে হয়। এমন এক পরিস্থিতিতে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে পুরান ঢাকার আদালতে আসার দীর্ঘ পথ প্রিজন ভ্যানে তাকে আনা-নেওয়া করা হচ্ছে। এই প্রিজন ভ্যানগুলোতে বসার কোনো ব্যবস্থা নেই এমনকি কোনো কিছু ধরে দাঁড়িয়ে থাকারও ব্যবস্থা নেই। অসুস্থ রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই আদালতে আনা-নেওয়া করানো হয়, যা চরম অমানবিকতা ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছারই প্রতিফলন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মূলত রিজভী আহমেদ বর্তমান সরকারের চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। বর্তমান অনৈতিক সরকার ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে আজ মানবিকতাবোধও হারিয়ে ফেলেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে একজন সোচ্চার কণ্ঠ বলেই তিনি সরকারের রোষানলের শিকার। তাঁর মতো একজন জাতীয় নেতা কারাগারে ভীষণ অসুস্থ হলেও তাঁকে সুচিকিৎসা দিতে কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও বিএনপির স্বেচ্ছাসেবা বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালু, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহবায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী বর্তমান সরকারের রোষানলে কারাবন্দি আছেন। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্মূল ও পর্যদুস্ত করতে নিষ্ঠুর আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। কারাগারগুলোতে এখন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের দুঃশাসন যেন আরও তীব্র মাত্রা লাভ করেছে। সরকার দেশকে বিএনপিশূন্য করতে এখন বেপরোয়া ভূমিকায় মাঠে নেমেছে। কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে চারিদিকে ভীতির বিস্তার ঘটাচ্ছে, যাতে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ আওয়াজ করারও সাহস না পায়। বিশ্বের গণধিকৃত সব স্বৈরাচারকে টেক্কা দিয়ে জনসমর্থনহীন আওয়ামী সরকার এখন মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।  

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান স্বৈরশাহী দেশে বিরোধী দলের অস্তিত্ব ধ্বংস করে নিজেদের দুঃশাসনকে প্রলম্বিত করতে চায়। তবে জনগণ তাদের এই মনোবাঞ্ছা কোনোদিনই পূরণ হতে দেবে না। অতীতের সংগ্রামী ঐতিহ্যের ধারায় বাংলাদেশের মানুষ যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে দ্বিধা করবে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমি অবিলম্বে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে সুচিকিৎসা প্রদান এবং তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ বিএনপির সব কারারুদ্ধ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।


আরও খবর



সাদা-কালো পোস্টারে শুধু প্রার্থী ও প্রতীকের ছবি থাকবে : ইসি

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | ২৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের নির্বাচনে প্রচারে জন্য ব্যবহার করা নির্বাচনী প্রতীক, পোস্টার ও পোর্ট্রেট এর আকার নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া সাদা-কালো পোস্টারে শুধু প্রার্থী ও প্রতীকের ছবি ছাড়া অন্য কারোর ছবি থাকবে না।

রোববার (২৬ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব আতিয়ুর স্বাক্ষরিত ৪ নম্বর পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

ইসি জানায়, নির্বাচনে প্রদর্শনীর জন্য প্রার্থীদের প্রতীকের আকার, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ বা উচ্চতা তিন মিটারের অধিক হবে না। প্রার্থীদের প্রচারের পোস্টার সাদা-কালো রঙের ও আয়তন অনধিক ৬০ সেন্টিমিটার × ৪৫ সেন্টিমিটার হবে। কাপড় ব্যানার ব্যতীত প্লাস্টিকের ব্যানার সাদা-কালো রঙের ও আয়তন অনধিক ৩ মিটার × ১ মিটার হতে হবে।

ইসি আরও জানায়, প্রার্থী প্রচারের পোস্টার ও ব্যানারে প্রার্থী তার প্রতীক ও নিজের ছবি ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি বা প্রতীক ছাপাতে পারবেন না।


আরও খবর

দেশে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩




অর্থপাচার মামলায় এনু-রুপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ২৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর বংশাল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও তার ভাই থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার ৭ বছরের কারাদণ্ড, ৫২ কোটি ৮৮ লাখ ৭৮৮ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এ মামলায় বাকি ৬ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শহীদুল হক ভুইয়া, মো. রশিদুল হক ভুঁইয়া, মো মেরাজুল হক শিপলু, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান ও ভুলু চন্দ্র দেব। আসামিদের মধ্যে এনু-রুপনসহ ৬ আসামি কারাগারে আছেন। আর মেরাজুল হক ও ভুলু চন্দ্র দেব পলাতক রয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞা এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলার বিচারকালে ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

২০১৯ সালে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াদের পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসাসহ তাদের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের দুই সহযোগী আবুল কালাম ও হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এর পর তাদের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে সে সময় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা হয়।

এর মধ্যে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট বংশাল থানায় সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. মেহেদী মাকসুদ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হয়। তবে তদন্ত শেষে তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

উল্লেখ, ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি এনু ও রুপনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল ওয়ারী থানায় অর্থ পাচারের মামলায় এনু-রুপনসহ ১১ জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত। একই সঙ্গে তাদের চার কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

দণ্ড পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- জয় গোপাল সরকার, মেরাজুল হক শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম।


আরও খবর



দেশের অর্থনীতি রক্ষায় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে : সিইসি

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নির্বাচন নিয়ে দেশ সংকটে আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি রক্ষা করতে হলে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে আগারগাঁও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের তিনদিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, এখানে কোনো ধরনের কারচুপির সুযোগ নেই। নির্বাচনে বিদেশীরা নজর রাখছে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু  ও বিশ্বাসযোগ্য করতে বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাহস ও সততা নিয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে যে বিতর্ক হচ্ছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি দ্বিধাবিভক্ত। নির্বাচন নিয়ে দেশ সংকটে আছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতি, আমাদের ভবিষ্যৎ, আমাদের অনেক কিছু রক্ষা করতে হলে নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে সিইসি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে। পোলিংয়ে ১০ গুণ বেশি নজর রাখবেন। পোলিং হচ্ছে কাস্ট অব ভোট। বাক্সগুলো ওপেন করা হবে, সবাই প্রতিটি কেন্দ্রে চোখ রাখবেন।


আরও খবর

দেশে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩




ঢাকায় ফিরলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | ৩১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকায় ফিরেছেন। আজ সোমবার সকালে তিনি ঢাকায় ফেরেন। উড়োজাহাজে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পিটার হাসের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি বলেন, নো কমেন্ট।

পিটার হাস কলম্বো থেকে আজ সকালে শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের ঢাকাগামী ফ্লাইটে ওঠেন। তবে তিনি ট্রানজিটে ছিলেন, নাকি কলম্বো থেকেই ফিরলেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক করার বিষয়ে মার্কিন তাগিদ ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ১৬ নভেম্বর ঢাকা ছাড়েন পিটার হাস। তাঁর ঢাকা ছাড়া নিয়ে নানামুখী কথা শুরু হয়।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মার্কিন কোনো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শমূলক বৈঠকে যোগ দিতে পিটার হাস ঢাকা ছাড়তে পারেনএমন আলোচনা আছে কূটনৈতিক মহলে। অবশ্য ঢাকায় দেশটির এক কূটনীতিকের দাবি, রাষ্ট্রদূত ছুটি কাটাতে গেছেন।

পিটার হাস যখন ঢাকায় নেই, সেই একই সময়ে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানও ছুটিতে কর্মস্থলের বাইরে আছেন। তিনি চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে আছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান।

গত শুক্রবার দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে ৯০ দেশের কূটনীতিকদের এক সভায় মোহাম্মদ ইমরান উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সভায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক হালচাল ও নির্বাচন আয়োজনের নানামুখী প্রস্তুতির কথা বিদেশি কূটনীতিকদের জানান।

পররাষ্ট্রসচিব গতকাল সোমবার ঢাকায় সাংবাদিকদের জানান, মোহাম্মদ ইমরান সরকারের যথাযথ অনুমোদন নিয়েই পারিবারিক ছুটিতে আছেন। সহসাই তিনি ওয়াশিংটনে ফিরবেন।


আরও খবর

দেশে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩




মানবতার আলো ছড়াচ্ছে আনোয়ারার অন্যতম সংগঠন বাতিঘর

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | ১৫৪০জন দেখেছেন
Image

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

বাতিঘর একটি শিক্ষা, সামাজিক ও মানবিক সংগঠন। বাতিঘর যাত্রা শুরু হয় ৮ অক্টোবর ২০২১ সালে, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গোলাম মোস্তফা ও মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন। বর্তমানে মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন।

যাত্রা শুরুর মাত্র দুই বছরের মধ্যে একঝাঁক তরুণ-তরুণী মিলে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বেশ সাড়া ফেলেছে সংগঠনটি। আসহায় মানুষের পাশে ফেরিওয়ালা হয়ে দাঁড়িয়েছেন সংগঠনটির সদস্যরা। সমাজে দরিদ্র, অসহায় ও পিছিয়ে পড়া মানুষের মলিন মুখে হাসি ফোটাতে চালিয়ে যাচ্ছেন মানবিক নানা কার্যক্রম।

গতকাল সন্ধ্যায় আনোয়ারা সদর নুরে মদিনা ইন্টারন্যাশনাল হল রুমে ঝমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে "বাতিঘর" ২ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২৩ এর পুরস্কার বিতরণ ও 'তারুণ্যই শক্তি' শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষানুরাগী, মানবিক ব্যক্তিত্ব ও গুণীজনরা উপস্থিত ছিলেন।

মানবতা দিয়েই পৃথিবী গড়তে চায় অনেক মানুষ। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যারা মানুষের পাশে আস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তারাই মানবতার কারিগর। তাঁরা আজও দাঁড়িয়ে আছে মানবতার প্রশ্নে। তাঁরা নিজেদের অবস্থান থেকে সাধ্যমতো এগিয়ে আসার চেষ্টা করেছে। এমনই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার সাড়া জাগানো শিক্ষা, সামাজিক ও মানবিক সংগঠন "বাতিঘর"।

ইতোমধ্যে সংগঠনের সদস্যরা ১ম বর্ষে ২৯টি প্রজেক্ট ও ২য় বর্ষে ২১টি প্রজেক্ট সম্পন্ন করেছে। দুই বছরে মোট ৫০টি। ৫০টি প্রজেক্টের মধ্যে গভীর নলকূপ ৪টি, অগভীর নলকূপ ২০টি। অন্যান্যগুলো হলো বিবাহ সহায়তা, চিকিৎসা সহায়তা, শিক্ষা সহায়তা (ফর্ম ফিলাপ, বই উপহার ও নগদ অর্থ সহায়তা) ও স্বাবলম্বী প্রজেক্ট।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ বেলাল হোসেন বলেন, সামাজিকভাবে আমাদের একটা দ্বায়বদ্ধতা থেকে যায়, সেই দায়বদ্ধতা থেকে হলেও আমাদের সবার এসব সামাজিক কর্মকাণ্ডে এগিয়ে আসা উচিত, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। মূলত এই বোধশক্তি থেকে শিক্ষা, সামাজিক ও মানবিক সংগঠন বাতিঘর নামক সংগঠনের যাত্রা।

তিনি বলেন, বাতিঘর এখন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় আলোচিত নাম। আমরা নিজেদের স্বপ্ন ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি এবং সে পথেই হাঁটছি।

নিউজ ট্যাগ: বাতিঘর আনোয়ারা

আরও খবর