পাবনার ঈশ্বরদীতে
তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে মামুন হোসেন (২৬) নামে এক রিকশাচালককে গুলি করে
হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার (৪ জানুয়ারি)
রাত ৯টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর শহরের পশ্চিমটেংরি কড়ইতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মামুন হোসেন
পিয়ারাখালী এলাকার মানিক হোসেনের ছেলে। আহতরা হলেন পিয়ারাখালী এলাকার শরীফ হোসেনের
ছেলে রকি (২৬) ও বাবু ওরফে বরকি বাবুর ছেলে সুমন (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা
জানান, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কের কাচারিপাড়া মোড়ে যাত্রীবাহী ভটভটি ও লেগুনার সংঘর্ষ
হয়। এতে লেগুনার সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। লেগুনাচালক ভটভটির গতিরোধ করে চালকের কাছে
গ্লাস ভাঙার জরিমানা দাবি করেন। এসময় কাচারিপাড়া মোড়ে চায়ের দোকানে বসে থাকা মামুন,
রকি ও সুমন দুই চালকের বাগবিতণ্ডা থামাতে যান।
একপর্যায় রহিমপুর
গ্রামের নুর মোহাম্মদ নুরুরের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০) ঘটনাস্থলে এসে মামুন, রকি, সুমনসহ
ভটভটিচালককে হুমকি দেন। তারাও আনোয়ারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর
আনোয়ারের সমর্থনে তিনটি মোটরসাইকেলের নয়জন ও রিকশায় আরও দুজনসহ মোট ১১ জন ঘটনাস্থলে এসে মামুন, রকি, সুমনসহ স্থানীয়দের
ওপর পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এসময় মামুন গুলিবিদ্ধ হন। আর রকি ও সুমন
আহত হন।
নিহত মামুনের
মামা মনিরুল ইসলাম বলেন, বাগবিতণ্ডার সময় আনোয়ার হোসেন নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি ভটভটির
চাঁদা আদায়ের সঙ্গে যুক্ত। আনোয়ার ঘটনাস্থলে এসে ভটভটিচালকের পক্ষ নিয়ে লেগুনারচালক
ও এলাকার লোকজনের ওপর চড়াও হন। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আনোয়ার আবার এসে পিস্তল দিয়ে মামুন
ও সুমনকে গুলি করে ও আনোয়ারের সহযোগীরা রকিকে ছুরিকাঘাত করে। মামুনের তলপেটে গুলি লেগে
ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত রকি ও সুমনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রহিমা ফেরদৌসী বলেন, মামুন হাসপাতালে আসার আগেই মারা
গেছেন। আহত সুমন ও রকিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোম্বামী বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, ভটভটি
ও লেগুনার সংঘর্ষে সামনের গ্লাস ভাঙার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত
চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।