Logo
শিরোনাম

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রেম ঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া শহরে মোস্তাফিজুর রহমান কর্নেল (২২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে নিহতের তিন বন্ধুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ জরিমানা করেছেন আদালত।

আসামিদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১ এর বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার মজমপুর এলাকার ইউসুফ হোসেন ওরফে মুক্তার ছেলে পারভেজ হোসাইন ওরফে সৌরভ (৩২), খন্দকার হামিদুজ্জামান মলিনের ছেলে খন্দকার মিহিরুজ্জামান মিহির (৩০) ও কোর্টপাড়া এলাকার তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে সাজ্জাদুল বারী ওরফে সবুজ (৩১)।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বন্ধুদের সঙ্গে প্রেম ঘটিত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১২ সালে ২৬ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোস্তাফিজুর রহমান কর্নেলকে (২২) মজমপুর গেট থেকে মোটরসাইকেল করে তুলে নিয়ে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের মণ্ডল ফিলিং স্টেশনের উত্তর পাশে চাঁদাগাড়ার মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে টহলরত পুলিশের কাছে হাতে নাতে আটক হন। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা মোস্তাফিজুরকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আসাদুর রহমান বাবু অভিযুক্ত ওই তিন জনের নাম উল্লেখ করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

মামলটি তদন্ত শেষে কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (৪) শহিদুল ইসলাম কর্নেল হত্যায় জড়িত অভিযোগ এনে আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ০৬ জুন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারিতে কুষ্টিয়ার শহরে আলোচিত মোস্তাফিজুরকে হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ট্রাম্পকে হত্যার হুমকি দিল ইরান!

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ১০৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার পাল্লার একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির খবর প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার হুমকিও দিয়েছে দেশটি।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের শীর্ষ কমান্ডার আমিরালি হাজিজাদেহ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির দাবি করেছেন।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ইরানি কমান্ডার সোলায়মানি হত্যার বদলা নিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে হুঁশিয়ারিও দেন। তিনি বলেন, আমরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছি।

যেসব সামরিক নেতা সোলেইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওসহ তাদেরও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত।

ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের শীর্ষ কমান্ডার পদ ছাড়াও হাজিজাদেহ সংগঠনটির মহাকাশ বাহিনীর প্রধান হিসেবে কাজ করছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কথাটি জানান। তিনি বলেন, নতুন এ অস্ত্র ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারে যোগ হয়েছে।

টেলিভিশনে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ফুটেজও সম্প্রচার করা হয়েছে।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




ক্ষমতা ধরে রাখতে পুরোনো খেলায় মেতেছে সরকার : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ১১২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই অনির্বাচিত, অবৈধ, ফ্যাসিষ্ট সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার জন্য এবং বিএনপিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে পুরোনো খেলায় মেতে উঠেছে। মিথ্যা, গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, ঘরে ঘরে তল্লাশি-হয়রানির মাধ্যমে নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের কারাগারে নিয়ে যে ধরনের নির্যাতন করে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। আজ সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিথ্যা মামলাকে এই সরকার প্রজেক্টের মতো নিয়েছে। এতে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হচ্ছে। নেতারা জামিন নিয়ে যখন বের হবেন, তখনই আবার জেলগেটে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এখানে আছে বাণিজ্যের ব্যাপার। কারণ, এখন পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে গেছে। আমাদেরকে প্রথম কারাগারে নেওয়ার পর কনডেম সেলে রাখা হয়েছিল কোয়ারেন্টিনের নামে। যা চরম অমানবিক। এ ক্ষেত্রে কারাবিধি মানা হয়নি। কারাগারের আচরণ ও নিপীড়ন যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। নির্বাচনের আগে সরকার আবারও বিএনপিকে মাঠশূন্য করতে চায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, ঘরে ঘরে তল্লাশি এবং হয়রানি করে নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। এই হীন পরিকল্পনায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ও অনেক সিনিয়র নেতাসহ  অসংখ্য কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং কারাগারে অমানবিক নির্যাতন শুরু করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা ও হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় এবং সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগারে কারান্তরীণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সুচিকিৎসা প্রদানে সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বুকে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ রুহুল কবির রিজভী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফুসফুসে জটিলতা ও হার্টের অসুখসহ বিভিন্ন মারাত্মক অসুখে শারীরিকভাবে অসুস্থ একজন মানুষ। তিনি সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার সময় অন্যের সাহায্য ছাড়া চলতে পারেন না, তাছাড়া তাকে সব সময় লাঠির ওপর ভর করে চলতে হয়। এমন এক পরিস্থিতিতে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে পুরান ঢাকার আদালতে আসার দীর্ঘ পথ প্রিজন ভ্যানে তাকে আনা-নেওয়া করা হচ্ছে। এই প্রিজন ভ্যানগুলোতে বসার কোনো ব্যবস্থা নেই এমনকি কোনো কিছু ধরে দাঁড়িয়ে থাকারও ব্যবস্থা নেই। অসুস্থ রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই আদালতে আনা-নেওয়া করানো হয়, যা চরম অমানবিকতা ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছারই প্রতিফলন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মূলত রিজভী আহমেদ বর্তমান সরকারের চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। বর্তমান অনৈতিক সরকার ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে আজ মানবিকতাবোধও হারিয়ে ফেলেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে একজন সোচ্চার কণ্ঠ বলেই তিনি সরকারের রোষানলের শিকার। তাঁর মতো একজন জাতীয় নেতা কারাগারে ভীষণ অসুস্থ হলেও তাঁকে সুচিকিৎসা দিতে কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও বিএনপির স্বেচ্ছাসেবা বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালু, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহবায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী বর্তমান সরকারের রোষানলে কারাবন্দি আছেন। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্মূল ও পর্যদুস্ত করতে নিষ্ঠুর আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। কারাগারগুলোতে এখন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের দুঃশাসন যেন আরও তীব্র মাত্রা লাভ করেছে। সরকার দেশকে বিএনপিশূন্য করতে এখন বেপরোয়া ভূমিকায় মাঠে নেমেছে। কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে চারিদিকে ভীতির বিস্তার ঘটাচ্ছে, যাতে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ আওয়াজ করারও সাহস না পায়। বিশ্বের গণধিকৃত সব স্বৈরাচারকে টেক্কা দিয়ে জনসমর্থনহীন আওয়ামী সরকার এখন মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।  

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান স্বৈরশাহী দেশে বিরোধী দলের অস্তিত্ব ধ্বংস করে নিজেদের দুঃশাসনকে প্রলম্বিত করতে চায়। তবে জনগণ তাদের এই মনোবাঞ্ছা কোনোদিনই পূরণ হতে দেবে না। অতীতের সংগ্রামী ঐতিহ্যের ধারায় বাংলাদেশের মানুষ যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে দ্বিধা করবে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমি অবিলম্বে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে সুচিকিৎসা প্রদান এবং তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ বিএনপির সব কারারুদ্ধ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।


আরও খবর



ঘরের মাঠে লিভারপুলের ৫-২ গোলের ব্যবধানে হার

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চ্যাম্পিয়সন লিগ মানেই যেন স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের শ্রেষ্ঠত্ব। তা আরও একবার প্রমাণ করল বেনজেমা-ভিনিসিয়াসরা। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে ঘরের মাঠে লিভারপুলের হার ৫-২ গোলের ব্যবধানে। এই জয়ে প্রথম দল হিসেবে  লিভারপুলের ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে ৫ গোল করার নতুন রেকর্ডও গড়েছে কার্লো আনচেলত্তি শিষ্যরা।

ম্যাচের মাত্র চতুর্থ মিনিটেই রিয়ালের জালে বল জড়ায় লিভারপুল। দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন নুনেজ। পরিসংখ্যান বলছে চ্যাম্পিয়নস লিগে এত দ্রুত গোল হজম করার পর কখনও জিততে পারেনি রিয়াল। তবে এবার আর সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে দেননি বেনজেমা-ভিনিসিয়াসরা।

এরপর ম্যাচের ১৪তম মিনিটে রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়ার অবিশ্বাস্য এক ভুল করে বসেন। ড্যানি কারবাহালের ব্যাক পাস পেয়েছিলেন কর্তোয়া। তবে বল ঠিকঠাক পাস দিতে পারেননি তিনি। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মোহাম্মদ সালাহ সেই সুযোগ লুফে নিতে ভুল করেননি। বাঁ পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে লিভারপুলের হয়ে ইউরোপে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড নিজের নামে করে নেন। তার এই গোলেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় অলরেডরা।

অবশ্য ৭ মিনিটের মাথায় ব্যবধান কমায় রিয়াল। ম্যাচের ২১তম মিনিটে বেনজেমার পাস থেকে লিভারপুলের রক্ষণভাগকে বোকা বানিয়ে দুর্দান্ত এক গোল করেন ভিনিসিয়াস। এরপর ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসনকে রক্ষণভাগের খেলোয়াড় জো গোমেজের ব্যাক পাস। গোমেজকে ফিরতি পাস দিতে গিয়ে ভুলে ভিনিসিয়াসের দিকে বল দিয়ে বসেন অ্যালিসন। সেই সুযোগে দলকে ২-২ সমতায় ফেরান এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।

এরপর ম্যাচের ৪৭তম মিনিটে রিয়ালকে গোলের আনন্দে ভাসান মিলিতাও। ফ্রি কিক থেকে তার দুর্দান্ত হেডে ব্যবধান ৩-২ করে রিয়াল। এরপর কিছুক্ষণ পর ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান ফরাসি তারকা বেনজেমা। তার গোলে ব্যবধান ৪-২ করে লস ব্লাঙ্কোসরা। এক গোলে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বেনজেমা। পাল্টা আক্রমণে ৬৭তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন এই ফরাসি তারকা। তার গোলেই ৫-২ গোলের বড় লিড নেয় রিয়াল।

মূহুর্তের মধ্যেই এতগুলো গোল হজমের ধাক্কা সামাল দিতে পারেনি লিভারপুল। এরপর ম্যাচের বাকি সময়ে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য আক্রমণ করতে না পারায় ৫-২ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে লিভারপুলকে।

আগামী ১৬ মার্চ ফিরতি লিগের নিজেদের মাঠে লিভারপুলকে আতিথ্য দেবে রিয়াল মাদ্রিদ। সেই ম্যাচে প্রতিশোধ নিতে চাইবে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। আর রিয়ার চাইবে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে।


আরও খবর

২০২৬ বিশ্বকাপে ১০৪ ম্যাচ

বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩

ঢাকায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল

শুক্রবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




নির্বাচন ঘিরে জঙ্গি তৎপরতা বাড়ার সুযোগ নেই : সিটিটিসি প্রধান

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নানা কাজে ব্যস্ত থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ নির্বাচনী সভা-সমাবেশের কারণে ব্যস্ত থাকেন তারা। জঙ্গিরা মনে করে, এ সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দিকে কম মনোযোগ দেবে। এর আগে এমনটাই হয়েছে। কিন্তু, নির্বাচনের সময় জঙ্গিদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

 

আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান এ তথ্য জানান।

 

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আগে জঙ্গি নিয়ে কাজ করার জন্য পুলিশের কোনো স্পেশাল ইউনিট ছিল না। সিটিটিসির কাজ জঙ্গিদের তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জঙ্গিরা আগের স্পেসটা পাবে না।

 

নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার নেতা শামিন মাহফুজ ওরফে শামিন স্যারের বিষয়ে জানতে চাইলে সিটিটিসি বলেন, শামিন মাহফুজ স্ত্রীসহ সপরিবারে নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার করা গেলে নতুন জঙ্গি সংগঠন ভঙ্গুর হয়ে যাবে।

 

এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার নায়েবে আমীর মো. মহিবুল্লাহকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি)

নিউজ ট্যাগ: সিটিটিসি

আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




জ্বালানির উচ্চমূল্যে অতিদরিদ্র হবে ১৪ কোটি মানুষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জ্বালানি নিয়ে গোটা বিশ্বই এক ধরনের সংকটের মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠেছে। জ্বালানির দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই তার রেশ পড়ে অন্য নিত্যপণ্যের দামের ওপর। এর ধারাবাহিকতায় বেড়ে যায় জীবনযাপনের ব্যয়, দরিদ্র মানুষ হয়ে পড়ে আরো দরিদ্র। সম্প্রতি জার্নাল নেচার এনার্জিতে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি ব্যয়ের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে অতিদরিদ্র হবে ১৪ কোটির বেশি মানুষ।

 

গবেষণাটিতে অংশ নিয়েছেন নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক। বিশ্বের ১১৬টি দেশের মানুষের ওপর ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দামের প্রভাব নিয়ে কাজ করেন তারা। এসব দেশের পরিবারগুলো কীভাবে এ বাড়তি ব্যয় সমন্বয় করছে, কতটুকু বেড়েছে পরিবারের খরচ সেসব উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। গবেষণায় দেখা গেছে, যুদ্ধের কারণে কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় এসব দেশের পরিবারগুলোর ব্যয় বেড়েছে গড়ে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

 

নিম্ন আয়ের দেশগুলোর দরিদ্র পরিবারগুলো এরই মধ্যে ভয়াবহ খাদ্য সংকটে ভুগতে শুরু করেছে। জ্বালানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এসব দেশের দরিদ্ররা আরো দরিদ্র হয়ে উঠছে। উচ্চ আয়ের দেশগুলোতেও পরিবারগুলোয় পড়তে শুরু করেছে জ্বালানির উচ্চমূল্যের প্রভাব। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা বাজেটে কাটছাঁট করে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন। যা নিম্ন আয়ের দেশগুলোর মানুষের পক্ষে অসম্ভব। এ পরিস্থিতি চলমান থাকলে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৪ কোটি ১০ লাখ মানুষ দরিদ্র থেকে অতিদরিদ্র শ্রেণীর কাতারে পড়বে।

 

কিছু কিছু দেশ জ্বালানির উচ্চমূল্যের কারণে সৃষ্ট সংকটে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে এস্তোনিয়া, পোল্যান্ড ও চেক রিপাবলিকের কথা বলা যায়। এসব দেশে জ্বালানির দাম বেড়েছে বৈশ্বিক গড় দামের চেয়ে বেশি। এর কারণ হলো এ দেশগুলো শক্তিভিত্তিক শিল্প খাতের ওপর বেশি নির্ভরশীল। ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, পোল্যান্ড জ্বালানি উৎপাদনের জন্য কয়লার ওপর ৬৮ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ভরশীল।

 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ জ্বালানির দাম বাড়ানোর পাশাপাশি বাড়িয়েছে নিত্যপণ্য, প্রয়োজনীয় খাদ্যের দামও। এক বছর আগের সঙ্গে বর্তমানের দামে বিরাট পার্থক্য দেখা যাচ্ছে, আর তা বিশ্বব্যাপীই। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এক বছরের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ৭০ দশমিক ১ শতাংশ, মার্জারিনের ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ, মাখনের ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ, ময়দার ২০ দশমিক ৪ শতাংশ, রুটির ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ, চিনির বেড়েছে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ, দুধের ১১ শতাংশ, মুরগির ১০ দশমিক ৫ শতাংশ।

 

চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এ সময়ের ব্যবধানে দেশটিতে ফল ও সবজির দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, শিগগিরই দাম কমার কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।

 

বহুজাতিক কোম্পানি নেসলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পণ্যের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে ইউনিলিভার ও প্রোক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বলের মতো প্রতিষ্ঠানও দাম বৃদ্ধির কথা জানায়। এসব দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা সংকটের কথা বলা হচ্ছে।

 

ইউনিলিভারের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা গ্র্যামি পিটক্যাথি বলেন, ‘‌সম্ভবত আমরা মূল্যস্ফীতির চূড়ায় রয়েছি। তবে সর্বোচ্চ দামের চূড়ায় এখনো পৌঁছিনি। একই সময়ে চলতি বছর খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন ইউনিলিভারের প্রধান নির্বাহীও।’

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের সরকার পরিবারগুলোর ওপর জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব কমাতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানির ওপর থেকে কর কমানো, জ্বালানির বিলে ছাড়, প্রণোদনা ইত্যাদি।

 

গবেষকরা বলছেন, সরকারগুলোর পক্ষে আরো পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। যেমন জ্বালানির দামে ভর্তুকি, টেকসই উৎস থেকে জ্বালানি সরবরাহ ইত্যাদি। ক্ষতিগ্রস্ত দেশে সরকার পাশে না দাঁড়ালে সাধারণ মানুষের জন্য জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষ করে দরিদ্ররা আরো দরিদ্রের পথে এগিয়ে যাবে।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩