Logo
শিরোনাম

কুয়াকাটা সৈকত রক্ষায় আবার বালুর বাঁধ দেওয়া হচ্ছে

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৫৫জন দেখেছেন
Image

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকে সাগরের অব্যাহত ভাঙন থেকে রক্ষা করতে আবারও বালুভর্তি জিও টিউব ও জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবারের বাঁধটি যাতে আগেরটির চেয়ে বেশি টেকসই হয় সে ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে। সৈকত রক্ষায় পরীক্ষামূলক প্রতিরক্ষা কাজের আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কলাপাড়ার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

পাউবোর কলাপাড়া কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিম দিকে দেড় কিলোমিটার এবং পূর্ব দিকে আধা কিলোমিটার এলাকায় জিও টিউব ও জিও ব্যাগ ফেলা হবে। এ জন্য ১৪ হাজার ৩৮৪টি জিও ব্যাগ ও ১২৯টি জিও টিউব তৈরি করা হচ্ছে। ঢাকার বিজে টেক্সটাইল থেকে উন্নত মানের জিও টিউব ও ব্যাগ কেনা হয়েছে। এতে প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। অনুন্নয়ন রাজস্ব খাতের অর্থ ব্যয় করে এ বাঁধ নির্মাণ করা হবে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে বাঁধের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। কার্যাদেশ অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুন কাজ শেষ হওয়ার কথা। বাঁধ নির্মাণের কাজটি করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে কে এন্টারপ্রাইজ।

সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াকাটা সৈকতে জিও টিউব ও জিও ব্যাগ প্রস্তুত করার কাজ করছেন শ্রমিকেরা। সৈকতের তীরভূমি থেকে ১০০ মিটার দূরত্বে ইতিমধ্যে তৈরি করা জিও টিউব ও জিও ব্যাগগুলো ফেলা হয়েছে। এসব যাতে কেউ নষ্ট করে না ফেলে সে জন্য শ্রমিকসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নজরদারি রয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট-সংলগ্ন দুই দিকে ১ হাজার ৫৬০ মিটার তীরভূমির ভাঙন রোধ করার জন্য একইভাবে বালুভর্তি জিও টিউব ও জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। তখন পূর্ব দিকে ৫৬০ মিটার ও পশ্চিম দিকে ১ হাজার মিটার এলাকা সুরক্ষা করা হয়। ওই সময় ৬৪টি জিও টিউব ও ৮ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়। এ কাজে তখন ব্যয় হয় ১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। তবে সে সময়ের বাঁধ টেকসই হয়নি। সাগরের প্রবল জোয়ার আর ঢেউয়ের তাণ্ডবে অল্প দিনেই বাঁধ বিলীন হয়ে যায়।

এ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পাউবোর শাখা কর্মকর্তা সৈয়দ তারিকুর রহমান বলেন, কাজ যাতে যথাযথভাবে হয় এবং এর গুণগত মান বজায় থাকে, তা নিশ্চিত করতে আমরা কঠোরভাবে তদারকি করছি। আমিসহ আরও একজন কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক কাজটি দেখছি।

কাজটি কীভাবে হচ্ছে, জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা জানান, ভাটার সময় যেখানে পানির লেভেল থাকে, সেখানে জিও টিউব ও ব্যাগগুলো ফেলা হচ্ছে। প্রথমে জিও টিউব ফেলা হবে। এরপর এর দুই পাশে জিও ব্যাগগুলো ফেলা হবে। বাঁধের উচ্চতা মোট ৫ ফুট। এর মধ্যে ভাটার সময় জিও টিউব ও ব্যাগ ২ ফুট নিমজ্জিত থাকবে; ওপরের দিকে জেগে থাকবে ৩ ফুট।

জিও টিউব ও ব্যাগ ফেলে আগের বাঁধটি মোটেই টেকসই ছিল না বলে দাবি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা)। কলাপাড়া আঞ্চলিক কমিটির সদস্যসচিব মেজবাহ উদ্দিন মাননুর জানান, এর আগে সৈকতের তীরভূমির কাছাকাছি জিও টিউব ও ব্যাগ ফেলে সৈকতের ভাঙন রোধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ওই পরিকল্পনাটি তখন ভুল ছিল। দেখা গেছে, জিও ব্যাগ-জিও টিউবের ওপর দিয়ে যখন-তখন ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চলাচল করেছে। এতে সহজেই জিও টিউব ও ব্যাগ ফেটে বালু বের হয়ে গেছে।

পাউবো কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন জানান, গত দুই বছর আগে একই পদ্ধতিতে কাজটি করা হয়েছিল, এটা ঠিক। তবে ওই সময়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবারের বাঁধটা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চলছে। ওই সময় কাজটি করা হয়েছিল বর্ষার সময়। যার কারণে কাজটি টেকসই হয়নি। এ ছাড়া আগেরবার স্থানীয়ভাবে বালু সংগ্রহ করা হয়েছিল। এবার কাজের জন্য চাঁদপুর থেকে কার্গোতে করে বালু এনে ব্যবহার করা হচ্ছে। আরও একটি কৌশলগত ব্যাপার হলো, এবার কাজটি বর্ষা মৌসুমের বেশ আগেই শুরু করা হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর