করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোম
শব্দগুচ্ছ পরিচিত হয়ে গেছে। অনেকেই মনে করেন বাড়িতে বসে কাজ, অফিসে যাওয়ার ঝামেলা নেই। বেশ আরামের। কিন্তু
যাদের ছোট সন্তান আছে তারাই বোঝেন বাড়ি থেকে অফিস করার বিড়ম্বনা। তেমনই মধুর বিড়ম্বনার
শিকার হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। বাড়িতে বসে জাতিকে কোভিড-১৯
বিধিনিষেধ সংশোধনের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলার সময় বাগড়া দিয়ে বসে তার তিন বছরের মেয়ে।
বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাতে ৪১ বছর বয়সী কিইউ নেতা ফেসবুক লাইভে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ সংশোধনের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় তার তিন বছর বয়সী মেয়ে নেড পাশ থেকে বলে ওঠে ‘মা’। ক্যামেরার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে তিনি উত্তর দেন, তোমার তো এখন ঘুমিয়ে পড়ার কথা, সোনা?
যদিও নেডের তরফ থেকে নেতিবাচক সাড়া আসে।
তবে প্রধানমন্ত্রী অবশ্য দুদিকই সামলে নেন। মেয়েকে বলেন, এখন ঘুমানোর সময়, বিছানায়
যাও। আমি এক সেকেন্ডের মধ্যে আসছি, আমি এক মিনিটের মধ্যে আসছি, ঠিক আছে।
এরপর লাইভে ফিরে সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ
করে তিনি বলেন, আসলে এটা ঘুমানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা, তাই না? আমি ভেবেছিলাম ও ঘুমিয়ে
পড়ার পর আমি সুন্দরভাবে নিরাপদে ফেসবুক লাইভ করব। আর কারো বাচ্চা কি এভাবে ঘুমের সময়
পেরিয়ে যাওয়ার পর না ঘুমিয়ে তিন/চারবার বিছানা থেকে চলে আসে? সৌভাগ্যবশত আমার মা এখানে
আছে। তিনি আমাকে সাহায্য করেন।
আগের প্রসঙ্গে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করে
তিনি বলেন, আমরা কোথায় ছিলাম যেন। তখন ফের তার মেয়ের গলার আওয়াজ শোনা যায়, এতো সময়
কিসে লাগছে?
আমি দুঃখিত, সোনা, একটু সময় লাগছে। ঠিক
আছে।
এরপর লাইভে ফিরে বলেন, আমি দুঃখিত। আমাকে
যে নেডকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে হবে। আসলে ওর বিছানায় যাওয়ার সময় পেরিয়ে গেছে। আমার সঙ্গে
যোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর
পর জেসিন্ডা আরডার্ন বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি দায়িত্বে থাকাকালে মা হন।