Logo
শিরোনাম

লালশাক চাষ করার সহজ উপায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় লালশাক। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হিসেবে এটি একটি জনপ্রিয় খাবার। দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই লালশাক চাষ হয়। পাশাপাশি বেকারত্ব দূর করতে নিজের অথবা বর্গা জমিতে লালশাক চাষ করতে পারেন।

জমি তৈরি ও বীজ বপন: খুব ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করে নিতে হবে। জমি ও মাটির অবস্থা বুঝে ৪-৬টি চাষ ও মই দিতে হবে। বীজ ছিটিয়ে ও সারিতে এটি বপন করা যায়। তবে সারিতে বপন করা সুবিধাজনক। এক সারি থেকে অন্য সারির দূরত্ব হবে ২০ সেন্টিমিটার। একটি কাঠি দিয়ে ১৫-২০ সেন্টিমিটার গভীর লাইন টেনে সারিতে বীজ বুনে মাটি সমান করে দিতে হবে। সারাবছরই লালশাক চাষ করা যায়। তবে শীতের শুরুতে লালশাকের ফলন বেশি হয়।

মাটির প্রকৃতি: প্রায় সব ধরনের মাটিতেই সারাবছর বারি লাল শাক-১ এর চাষ করা হয়। তবে দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি লালশাক চাষের জন্য উপযোগী।

সার প্রয়োগ: মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে লালশাক চাষের জমিতে যতটুকু সম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরন অনুযায়ী সার প্রয়োগ করা উচিত। জৈব সার ব্যবহারে মাটির গুণাগুণ ও পরিবেশ ভালো থাকবে। গবাদি পশু থেকে গোবর সংগ্রহ করা যায়। এ ছাড়া ভালো ফলন পেতে জমিতে আবর্জনা ও পঁচা সার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়ির আশেপাশে গর্ত করে আবর্জনা, ঝরাপাতা ইত্যাদি স্তূপ করে সার তৈরি করা সম্ভব।

পরিচর্যা: বীজ গজানোর ১ সপ্তাহ পর প্রত্যেক সারিতে ৫ সেন্টিমিটার পর পর গাছ রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে। জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে। জমির উপরের মাটিতে চটা হলে নিড়ানি দেওয়ার সময় তা ভেঙে দিতে হবে। মনে রাখবেন, উন্নত পদ্ধতিতে লালশাক চাষ করলে প্রতিবিঘা জমি থেকে প্রায় ৫শ কেজি শাক পাওয়া যায়।


আরও খবর

শখের নার্সারিতে সফল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মনির

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

জয়পুরহাটে ৮৫৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের বৈঠক

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জের নির্বাহী চেয়ারম্যান টনি ব্লেয়ার। শনিবার (৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই প্রাতরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত।

বৈঠকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তার ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, শেখ হাসিনা এবং টনি ব্লেয়ার উভয়েই বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক পর্যালোচনা করেন। শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎ বিশ্বের নেতা এবং সরকারকে সক্ষম করে গড়ে তোলার জন্য টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউটের মিশনের প্রশংসা করেন।

টনি ব্লেয়ার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তার সঙ্গে বৈঠকের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তারা খেলাধুলা বিশেষ করে ক্রিকেট নিয়েও কথা বলেছেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের এখন বাংলাদেশ সফরের বিষয়টিও আলোচনায় আসে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসস।


আরও খবর



আজ থেকে ব্যাংক লেনদেনে নতুন সময়সূচি

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ২৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান মাসের পুরো সময়ে ব্যাংকের লেনদেন চলবে প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা করে। সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংকে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে একটানা বেলা আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন চালু থাকবে। তবে ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। অর্থাৎ ব্যাংকগুলো লেনদেন পরবর্তী সময়ে আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন হবে।

প্রথম রোজা থেকে এ সময়সূচি চালু হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এবার রমজানের প্রথম দিন ছিলো শুক্রবার, দ্বিতীয় দিন ছিলো শনিবার। সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিন শেষে গতকাল রোববার ছিলো মহান স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। ফলে রমজানের ৩ দিন পার হওয়ার পর আজ সোমবার (২৭ মার্চ) থেকে নতুন সময়সূচিতে চলবে অফিস।

গত বুধবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিলো। ওই প্রজ্ঞাপনে নতুন এ সময়সূচি উল্লেখ করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক পবিত্র রমজান মাসে সকাল ৯.৩০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এর মধ্যে বেলা ১.১৫টা থেকে ১.৩০ টা পর্যন্ত জোহরের নামায়ের বিরতি থাকবে। তবে এ বিরতির সময় অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাংকের লেনদেন অব্যাহত রাখা যাবে।

অন্যান্য সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হয়। ব্যাংকের অফিস সময় থাকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তবে প্রতি বছরের রমজান মাসে অফিস ও লেনদেন সময়সূচিতে পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ ব্যাংক। রমজান শেষে অফিস সময়সূচি পূর্বাস্থায় ফিরে আসবে বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ব্যাংক লেনদেন

আরও খবর

দাম কমলেও নাগালের বাইরে মুরগি

শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩




দেশে ভোটার সংখ্যা বেড়েছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১৪৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

হালনাগাদের তথ্য চেয়ে চূড়ান্ত হিসেবে ভোটার সংখ্যা বেড়েছে। এর আগে দেশের মোট ভোটার সংখ্যা হয়েছিল ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন। তবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জনে। বৃহস্পতিবার জাতীয় ভোটার দিবসে নির্বাচন কমিশন এ তথ্য জানায়।

ইসি জানায়, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন, মহিলা ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন এবং হিজড়া ভোটার ৮৩৭ জন। সব মিলিয়ে আজকে পর্যন্ত দেশের মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন।

ইসির চূড়ান্ত হিসাবে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩০ জন। ভোটার বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৫.১৮ শতাংশ। এর আগে হালনাগাদ শেষে সারাদেশে প্রকাশিত খসড়া তালিকা অনুযায়ী দেশে ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন।

ইসি জানায়, চূড়ান্ত হিসাবে মৃত ভোটার কর্তন হয়েছে ২২ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জন। কর্তনকৃত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮৭২ জন, মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ৩০ হাজার ২৫৭ জন। মৃত ভোটার কর্তনের পর দেশে বর্তমানে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন।

গত বছরের ২০ মে থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চার ধাপে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করে ইসি। হালনাগাদের খসড়া তালিকা পূর্ব ঘোষিত সময় (১৫ জানুয়ারি) অনুযায়ী প্রকাশ করা হয়। এটি বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেন কারও কোনো ভুল থাকলে আবেদন সংশোধনের সুযোগ পান। এ ক্ষেত্রে দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের আবেদনের শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের জন্য ভোটাররা সময় পেয়েছিলেন ১৬ দিন। সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন নিষ্পত্তি করে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। আবেদন নিষ্পত্তির পর হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হলো আজ বৃহস্পতিবার ২ মার্চ।

২০০৭-০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে পাঁচবার। ২০০৯-১০ সাল, ২০১২-১৩ সাল, ২০১৫-১৬ সাল, ২০১৭-১৮ ও ২০১৯-২০ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসি।


আরও খবর



বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় আজ ঢাকার অবস্থান সপ্তম। শনিবার সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) স্কোর ১৫৭ নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় ছিল। এ তালিকায় শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ছিল সপ্তম। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বেশিসংখ্যক দিন অস্বাস্থ্যকর বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। এ ধারাবাহিতা রয়েছে চলতি মার্চেও। 

একিউআই স্কোরে শীর্ষে আছে ইরাকের বাগদাদ, স্কোর ২২৭। দ্বিতীয় স্থানে আছে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহর, স্কোর ১৬৪। ১৬৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ১৬২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ভারতের কলকাতা। পঞ্চমে কাজাখস্তানের আস্তানা, স্কোর ১৬১।

আইকিউএয়ারের প্রকাশিত বৈশ্বিক বায়ুর মান সংক্রান্ত প্রতিবেদনে, ২০২২ সালে বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর তালিকায় পঞ্চম স্থানে ছিল বাংলাদেশে। সাত হাজার ৩২৩টি শহরের মধ্যে দূষিত বায়ুর জন্য বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান ৪৯তম। ওই বছর ঢাকার বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) ২.৫ এর বার্ষিক গড় ছিল ৬৫.৮ মাইক্রোগ্রাম, যা অতি দূষিত ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে। শুধু ঢাকা নয়, ওই বছরও বিশ্বের অতি দূষিত শহরগুলোর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বড় নগরীগুলোরই নাম এসেছে।

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে দুই দশমিক পাঁচ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ভালো বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে মধ্যম মানের ও ১০১-১৫০ হলে বিপদসীমায় আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে অস্বাস্থ্যকর, ২০১-৩০০ হলে খুব অস্বাস্থ্যকর ও ৩০১-৫০০ হলে বিপজ্জনক বলা হয়।


আরও খবর



যেভাবে সময় কাটাবেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৫৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে আগামী এপ্রিলে বঙ্গভবন ছাড়ছেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আগামী ২৩ এপ্রিল তার মেয়াদ শেষ হবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গভবন ছাড়বেন তিনি। ইতোমধ্যেই তার বিদায়ের দিনগণনাও শুরু হয়েছে।

কারণ, ইতোমধ্যেই দেশের পরবর্তী (২২তম) রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন। আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে নতুন রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করার কথা রয়েছে।

দীর্ঘ ৬৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনে অনেক সাংবাদিকের সঙ্গে সুসম্পর্ক হয়েছে মো. আবদুল হামিদের। তাই বিদায়ের আগে তাদের কয়েকজনকে গতকাল রোববার বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। তাদের সঙ্গে গল্প-আড্ডায় নানা স্মৃতিচারণা করেছেন, পাশাপাশি জানিয়েছেন অবসর জীবনের পরিকল্পনা।

এ সময় লেখালেখি করে অবসর জীবন কাটানোর আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি। মো. আবদুল হামিদ জানান, বঙ্গভবন ছেড়ে রাজধানীর নিকুঞ্জের বাসায় উঠবেন। মাঝে মাঝে যাবেন জন্মস্থান মিঠামইনে। আর লেখালেখি করে অবসর সময় কাটাবেন।

এর আগে রোববার সন্ধ্যা থেকেই বঙ্গভবনের দরবার হলে জড়ো হতে থাকেন আমন্ত্রিত সাংবাদিকরা। সাড়ে ৭টার দিকে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি সেখানে প্রবেশ করেন। এ সময় আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। প্রটোকল ডিঙিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে করমর্দন করেন এবং হাসিমুখে সবার সঙ্গে ছবিও তোলেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে আবদুল হামিদ সাংবাদিকদের সঙ্গে তার সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সাংবাদিকদের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। সারা জীবন সততার সঙ্গে রাজনীতি করেছি। ৬৪ বছরের জীবনে সাংবাদিকদের কাছ থেকে আমার জন্য নেগেটিভ কিছু পাইনি, সংবাদকর্মীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, বরাবরই সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার একটা সুসম্পর্ক ছিল। বিশেষ করে আমি যখন ডেপুটি স্পিকার ছিলাম এবং শেষে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করা পর্যন্ত আপনাদের সঙ্গে আমার খুবই আন্তরিক সম্পর্ক ছিল।

হাওর এলাকার কিছুটা পরিবর্তন আনতে পেরেছেন জানিয়ে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বলেন, কোনো সরকারের আমলেই ব্যক্তির জন্য কিছু চাইনি। প্রতিটি রাজনীতিবিদ যদি এ রকম মনমানসিকতা পোষণ করেন, তাহলে অবশ্যই এলাকার উন্নয়ন হবে।

মো. আবদুল হামিদ আরও বলেন, আর ৪২ দিন পর আমি জনতার মাঝে ফিরে যাব। আমার ভালো লাগছে, আমি সম্মানজনকভাবে বিদায় নিতে পেরেছি। সবার কাছেই আমি কৃতজ্ঞ। এ সময় সাংবাদিকদের হাওর এলাকায় এবং ঢাকার নিকুঞ্জের নিজ বাসভবনে আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- প্রবীণ সাংবাদিক আবেদ খান ও নাঈমুল ইসলাম খান, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, বর্তমান সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টিভির সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ডিবিসির প্রধান সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, এটিএন বাংলার নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন, সাংবাদিক আশিষ সৈকত, নাফিজা দৌলা ও নীলাদ্রি শেখর।


আরও খবর