৭ দিনের এই লকডাউনে
কেউ বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বাইরে বের হলেই কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলে সরকার এক তথ্য
বিবরণীতে জানিয়েছে।
সরকারি আদেশ অমান্য
করে বাইরে বের হলে কী শাস্তি-এই প্রশ্ন এখন মুখে মুখে।
সংশ্লিষ্টদের
সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৮ সালের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল
আইন প্রয়োগ করতেও বাধা নেই লকডাউন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে।
সংক্রামক রোগ
(প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ১৬ (গ) ধারার বিধিনিষেধ অনুযায়ী, কোনো
স্থানে জন সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ বা সীমিত করণ করে বা ১৪৪ ধারা জারি করে জনবিচ্ছিন্ন
করতে পারে। কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘আইসোলেশন’, ‘কোয়ারেন্টিন’ ও ‘লকডাউন’ বাস্তবায়ন নিশ্চিত
করতে এই আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে সুপ্রিম
কোর্টের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল)
আইন, ২০১৮ এর ১১ (২) ধারা অনুযায়ী, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত
কোনো কর্মচারী কোনো এলাকা লকডাউন ঘোষণা করতে পারেন। ১৬ (ক) ধারা অনুযায়ী সন্দেহজনক
স্থান জীবাণুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট স্থানে জনসাধারণের প্রবেশ ও ব্যবহার
নিষিদ্ধ বা সীমিতকরণও করা যায়।
কোনো ব্যক্তি
যদি লকডাউন না মেনে সংক্রামণ ছড়ায় তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা
বা ছয় মাসের জেল দিতে পারবেন। এছাড়া আইনের ২৫(৩) ধারা অনুযায়ী, সংক্রামণ নিয়ন্ত্রণে
দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তাকে কোনো ব্যক্তি যদি দায়িত্ব পালনে বাধা দেন বা নির্দেশ
পালনে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন তাহলে তাকে তিন মাসের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করতে
পারেন।
অ্যাডভোকেট নজরুল
আরও বলেন, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন-২০১৮ এর ২৪(২) ধারা অনুযায়ী,
যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামণ জীবানুর বিস্তার ঘটান বা বিস্তার ঘটাতে সহায়তা করেন তাহলে
তিনি অনূর্ধ্ব ছয় মাসের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত
হবেন।