মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা
পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা বাতিলও চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়। রোববার (৩০ জানুয়ারি) পরীমনির
আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ ধারা অনুযায়ী এ আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
তারও আগে ২ জানুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের
আলোচিত নায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য
করেন আদালত। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।
এরপর তিনজনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে ৫ জানুয়ারি ঢাকার ১০ নম্বর
বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন করেন।
গত ১৫ নভেম্বর পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর
দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। একই সঙ্গে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত ১০-এ বদলি করা হয়।
গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা
কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তার আগে গত ৩১ আগস্ট
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে প্রতিবেদন দাখিল হওয়া পর্যন্ত
পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে
মুক্ত হন এই চিত্রনায়িকা।
গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার
বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেলে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক
রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে বনানী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর র্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। সেই মামলায় পরীমনিকে আদালতে হাজির করা হলে প্রথমে চারদিনের রিমান্ড ও পরে আরও দুই দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।