Logo
শিরোনাম

মাদ্রাসা ছাত্রকে ৪র্থ তলা থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ১৮৫৫জন দেখেছেন
Image

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় একটি মাদ্রাসার ভবনের ৪র্থ তলা থেকে এক ছাত্রকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ছাত্রকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী আশরাফুল ইসলাম জিহাদ (১৫)। সে সদর উপজেলা মুরাদপুর গ্রামের মো.জিলনের ছেলে এব ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে সুধারাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এর আগে গত শনিবার ভোর ৪ টার দিকে মাইজদী জহুরুল হক মিয়ার গ্যারেজের জান্নাত প্লাজার মাদ্রাসাতুস সুফ্ফাহ আল ইসলামিয়ার মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে মাদ্রাসার একটি সিসি ফুটেজে দেখা যায়, শনিবার রাত ভোর ৪ টার পরে ওই মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষক মোসলেহ উদ্দিন ওই ছাত্রকে ঘুম থেকে ডেকে উঠাতে দেখা যায় তার রুমের একটি বিছানা নিয়ে যেতে দেখা যায় এবং ওই শিক্ষকের অফিস অর্থাৎ থাকার রুমের জানালা দিয়ে ছাত্রটি লাফিয়ে নিচে পড়ে। বিষয়টি রহস্যজনক বলে অনেকে মন্তব্য করেন। অপর দিকে ৩য় তলা ভবনের একটি সিসি ফুটেজে দেখা যায় ওই ছাত্রটি লাফিয়ে পড়ার পর নিচে মুখোশ পরা চাদর দিয়ে ঢাকা একটি ব্যক্তি ভোরে ছাত্রটিকে  টানার চেষ্টা করে,  একবার চলে যায়, একবার আসে।

ছাত্রটির স্বজনদের অভিযোগ হয়তো, আভ্যন্তরীণ কোন বিরোধ অথবা শিক্ষকের অন্যয়ের প্রতিবাদ করায় এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।এ ঘটনায় তারা সবগুলো সিসি ফুটেজ দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্বাস কামাল বলেন, ৬ষ্ঠ তলা থেকে আসা একটি ব্যানারের রশির সাহায্যে লাফ দিয়ে পড়ে যায়। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে।

সুধারাম থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন জানান, অভিযোগের আলোকে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। সিসি ফুটেজ গুলো পর্যালোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: নোয়াখালী

আরও খবর