মামুনুল হক আমার মাকে কু-প্রস্তাব দেয়। তখন আমার মা তাকে বাধা দেয় পরে মামুনুল হক ফিরে আসে কিন্তু তার মধ্যে তখন থেকেই কাম ভাব জেগে ওঠে, সে লোভ সামলাতে পারছিলনা, সে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের কথিত সেই স্ত্রী’র প্রথম ঘরের বড় ছেলে আব্দুর রহমান সম্প্রতি সোস্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি দিয়েছেন। ওই ভিডিও বক্তব্যে বলেছেন, আমার বাবা হাফেজ শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল্লাহ মামুনুল হককে নিজের প্রাণের চেয়েও ভালোবাসতো আর এই ভালোবাসার সুযোগ নিয়ে তিনি (মামুনুল হক) বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। কতবড় গাদ্দার হলে মামুনুল হক এটা করতে পাবে।
আমার বাবা-মায়ের মধ্যে যখন ডিভোর্স হয়নি তখন আমার বাবার অনুপস্থিতিতে মামুনুল হক একবার আমাদের বাসায় আসে, তখন আমার মা ছোট ভাইকে বুকের দুধ পান করাচ্ছিল। এই দৃশ্য দেখে মামুনুল হক আমার মাকে কু-প্রস্তাব দেয়। তখন আমার মা তাকে বাধা দেয় পরে মামুনুল হক ফিরে আসে কিন্তু তার মধ্যে তখন থেকেই কাম ভাব জেগে ওঠে, সে লোভ সামলাতে পারছিলনা, সে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।
কিন্তু সেই সুযোগ এত তারাতারি হয়ে যাবে তা মামুনুল হক বুঝতে পারে নি। যখনই সে সুযোগ পেয়েছে তখনই আমার বাবা-মায়ের মধ্যে দূরত্ব তৈরী করেছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতেই পারে কিন্তু মামুনুল হক সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভাঙন সৃষ্টি করেছে। এই ভাবে করে সে একটা পরিবারের খুশি-ভালোবাসা-আনন্দ-মিলমিশ পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। একই ভাবে মামুনুল হক যে কত পরিবারের-মানুষের সম্পর্ক ধ্বংস করেছে তার ঠিক নেই।
আমি বাংলাদেশের মানুষের কাছে আশা করবো এর যেন সঠিক বিচার হয়। আপনারা কারোর অন্ধ ভক্ত হয়েন না, কাউকে অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করবেন না। কেননা সবারই মুখোশের আড়ালে একটা চেহারা থাকে। এই লোকটা আলেম নামধারী একটা মুখোশধারী জানোয়ার। এর মধ্যে কোন মনুষ্যত্ব নেই। সবসময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকে কাকে কখন কিভাবে দূর্বল করা যাবে।
প্রসঙ্গত, শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রয়াল রিসোর্টের ৫ম তালার ৫০১ নম্বর কক্ষে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে ‘নারীসহ’ অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।