Logo
শিরোনাম

মানুষকে ভোটকেন্দ্রমুখী করাকেই বড় চ্যালেঞ্জ: নতুন সিইসি

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, তার নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর মূল প্রয়াস হবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন (জাতীয় সংসদ নির্বাচন) করা এবং দলগুলোর আস্থা অর্জন করা। মানুষের মধ্যে যে ভোট বিমুখতা তৈরি হয়েছে, সেটি লক্ষ্য করেছেন সদ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ জন্য মানুষকে ভোটকেন্দ্রমুখী করাকেই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন তিনি।

শনিবার (২৬ ফেব্রুযারি) বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ নতুন কমিশন নিয়োগ দেওয়ার পর রাতে হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের কাছে এ প্রয়াসের কথা জানান।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটা আমাদের একটা হেরিটেজ যে (নির্বাচনে) কিছুটা সহিংসতা হয়। কারণ সবাই তার প্রার্থীকে জয়ী করতে চায়। এটা করতে গিয়ে সমর্থকদের মধ্যে ‍উল্লাসের কারণে হোক বা স্বতঃস্ফূর্ততার কারণেই হোক অনেক সময় সাংঘর্ষিক হয়ে যায়, সেই জিনিসটা আমরা চাইব না। সহিংসতা ও সাংঘর্ষিক অবস্থাটা যতটা কমিয়ে আনা যায়, যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে সেই দায়িত্বটা পালন করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন চেষ্টা করবে।

মানুষকে ভোটমুখী করতে কী উদ্যোগ নেবেন, এ প্রশ্নে হাবিবুল আউয়াল বলেন, মানুষকে ভোটকেন্দ্রমুখী করার চেষ্টাই তো আমাদের করতে হবে। সেটাই তো বড় একটা চ্যালেঞ্জ। মানুষের মধ্যে যেন আস্থা ফিরে আসে, নির্বাচন হবে এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ হবে, ভোটাধিকার যে গুরুত্বপূর্ণ অধিকার, সম্পদ, এটা যে একটা পাওয়ার, ভোটারদের মধ্যেও এই সেনসেটাইজেশনটা ক্রিয়েট করা দরকার। প্রত্যেকটা মানুষের একটা ভোটের অধিকার আছে, সেটাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। কিছুটা ভোট বিমুখতা আমরা লক্ষ্য করেছি। নিজেদের ভোটারদের ভোটকেন্দ্র নিয়ে যেতে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলেরও দায়িত্ব রয়েছে।’

রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন নিয়ে যাতে প্রশ্ন তুলতে না পারে, সে জন্য কী পদক্ষেপ নেবে, এমন প্রশ্নে হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা সকলের সঙ্গে কথা বলব। আমার বিশ্বাস আমার সহকর্মীরাও এগ্রি করবেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড যেটা সেটা তো আরও নিচে গিয়ে, ওপরের যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আমরা তো একটি দলের সঙ্গে কথা বলব তা নয়, সব দলের সঙ্গে কথা বলব, তাদের সহায়তা কামনা করব, তাঁরা কী প্রত্যাশা করেন, আমরা কতটুকু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব— এটা কিন্তু টু ওয়ে ট্রাফিক— এটা আলোচনা হবে। আমি আশা করি বিএনপিও আসবে।’

নির্বাচন বর্জন করে নয়, নির্বাচনে দৃঢ় ও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে— নির্বাচনের ক্ষেত্রটা কিন্তু মন্থর না— আমার শৈশব থেকে আমি দেখে এসেছি, গ্রামে যে বাপ-চাচাদের ইলেকশন, ইউনিয়ন কাউন্সিলের (পরিষদের) মেম্বার-চেয়ারম্যান (নির্বাচন) সেখানেও কিন্তু আজ থেকে ৬০-৭০ বছর আগেও আমি ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখেছি। সেটাকে মেনে নিয়েই আমাদের নির্বাচন করতে হবে। এটা নির্বাচনের একটা অপরিহার্য অনুষঙ্গ— কিছুটা সাংঘর্ষিক হবে, সে জন্য আমি মাঠ ছেড়ে চলে যাব, নির্বাচন করব না…আপনি মাঠ ছেড়ে দিয়ে বলবেন নির্বাচন হয়নি, তাহলেও কিন্তু হবে না। যোগ করেন সিইসি।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, আন্তরিকভাবে যদি আমি দায়িত্ব পালন না করি নিশ্চয়ই আমার বিবেকের কাছে দায়ী থাকব। আমি চাইব শপথের প্রতি অনুগত থেকে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করি। প্রতিবন্ধকতা আসবে কী আসবে না তা তো আগাম বলতে পারব না।

এদিকে সার্চ কমিটি যখন বিভিন্ন পক্ষের কাছ থেকে নাম আহ্বান করেছিল তখন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছিলেন তিনি কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ আটজনের নাম প্রস্তাব করেছেন। হাবিবুল আউয়ালকে সিইসি করায় ডা. জাফরুল্লাহ খুশি হয়েছেন বলেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

তবে সিইসি হিসেবে নিয়োগের জন্য নাম কে প্রস্তাব করেছিলেন তা জানেন না হাবিবুল আউয়াল। নিজেও নাম প্রস্তাব করেননি বলে জানান তিনি। হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের ওপর শক্ত দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে।

নবনিযুক্ত সিইসি বলেন, শপথ নেওয়ার পর বিগত কমিশন কতটা সফল, কতটা বিফল সেটা পর্যালোচনা করতে হবে। কোনো ক্ষেত্রে বিফল হলে কেন বিফল হলো, সফল হলে কোন কৌশল অবলম্বন করে সফল হয়েছে সেটাও আমাদের দেখতে হবে। কিছুটা অভিজ্ঞতা আমরা আগের কমিশন থেকে নিতে পারব। বিগত কমিশনে যারা ছিলেন তাঁদের আমন্ত্রণ জানাব, পরামর্শ নেব।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর