খাওয়া নেই, ঘুম
নেই, দিনরাত খাটিয়ে মারছে মার্ভেল স্টুডিয়ো। পারিশ্রমিকও উপযুক্ত নয়। এমনই অভিযোগ
ভিএফএক্স শিল্পীদের। থর, ডক্টর স্ট্রেঞ্জ, অ্যাভেঞ্জার্স, স্পাইডারম্যানের চাবি যার
হাতে, সেই বিশ্ববিখ্যাত প্রযোজনা সংস্থা কি এ বার পথে বসতে চলল? দেখা দিচ্ছে সেই আশঙ্কাও।
মার্ভেল-এ কর্মরত
শিল্পীরা সম্প্রতি কঠোর সমালোচনা শুরু করেছেন সেই সংস্থার। অভিযোগ, বাইরে থেকে দেখে
যেমনই মনে হোক, ভিতরে ক্লান্তিকর কাজের পরিবেশ। নিম্নমানের ব্যবস্থাপনা ও প্রযোজনা,
যা তাঁরা দিনের পর দিন দেখে আসছেন। কিন্তু এই সব আর তাঁরা নিতে পারছেন না। তাই যে যাঁর
মতো করে প্রতিবাদ করছেন নেটমাধ্যমকে ব্যবহার করে।
এক জন লিখেছেন,
‘আমি অসুস্থ এবং
মার্ভেল-এ কাজ করে ক্লান্ত। অনেকেই কঠোর নিন্দা করে বুঝিয়েছেন, এত কম সময়সীমার মধ্যে
তাঁদের যে পরিমাণ কাজ করতে হয়েছে এবং হচ্ছে, তাতে ক্রমাগত অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিল্পীরা
এবং এই অবস্থা দীর্ঘ দিন ধরে চলছে।
আর এক জন লিখেছেন,
মার্ভেল-এই সম্ভবত প্রযোজনা এবং ভিএফএক্স ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে খারাপ পদ্ধতি অবলম্বন
করা হয়। এখানে শিল্পীদের কাজ অনুযায়ী পারিশ্রমিক প্রদান করা হয় না।
দেখা যায়, আরও
এক জন হতাশা প্রকাশ করে ভিডিয়ো করেছেন। সেখানে বলেছেন,এই নিয়ে আমি মার্ভেল-এর তিনটি
প্রকল্পে কাজ করেছি। শনিবার সকাল সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে যা বুঝলাম, আমি কাজ করার
অবস্থায় নেই। প্রবল ক্লান্তি। মানসিক চাপ। এখন সকাল ৬টা বাজে এবং আমি সকলকে জানাচ্ছি
যে, নতুন কাজ খুঁজছি। এখানে আর কাজ করা যাচ্ছে না।
উদাহরণ এখানেই
শেষ নয়। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ধ্রুব গোভিল একজন প্রাক্তন ভিএফএক্স শিল্পী, যিনি মার্ভেল-এর
সঙ্গে ‘গার্ডিয়ানস অব
দ্য গ্যালাক্সি’-তে কাজ করেছেন। তিনিও একটি নিবন্ধে
অভিযোগ জানিয়ে লিখেছেন, মার্ভেলের সঙ্গে কাজ করাই আমাকে ভিএফএক্স শিল্প ছেড়ে যেতে
বাধ্য করেছে। তারা ভয়ঙ্কর ক্লায়েন্ট। এবং আমি দেখেছি যে অনেক সহকর্মীই অতিরিক্ত কাজ
করার পরে ভেঙে পড়েন। তবু কারও ভ্রুক্ষেপ নেই।
এই প্রথম নয়, মার্ভেল প্রায়ই তাদের বিভিন্ন প্রকল্পে ভিএফএক্সের গুণগত মানের জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। ২০১৮ সালে, ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’-এ চূড়ান্ত যুদ্ধের দৃশ্যের ভিজ্যুয়াল এফেক্টগুলি হাসির খোরাক হয়েছিল। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ছবি ‘থর: লাভ অ্যান্ড থান্ডার’ এর জন্যও কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে মার্ভেল স্টুডিয়ো।