Logo
শিরোনাম

মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ, আজ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ১৬২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সম্প্রতি ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে রাজপথে উত্তাপ ছড়িয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি লাগাতার কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। আগামী দিনে সরকার পতনের জন্য লাগাতার কর্মসূূচির ঘোষণাও দিচ্ছে। অন্যদিকে ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ইতোমধ্যে পৃথক পৃথক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দকে সতর্ক করেছে। এমনকি আন্দোলনের নামে আপত্তিকর বক্তব্য, সহিংসতা করার দায়ে মামলা করারও ইঙ্গিত দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। আগামী ৪ জুন দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আরও কঠোর বার্তা আসতে পারে বলে জানা গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের যৌথসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন ঘিরে সারাদেশের মানুষের মনে উৎসব কাজ করছে। সারাদেশেই উৎসব হবে। এই উৎসবকে ম্লান করতে বিএনপি ছাত্রদলকে দিয়ে রাজপথে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। বিএনপি ছাত্রদলকে ব্যবহার করে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে- কিন্তু সবকিছুর শেষ আছে। বেশি বাড়াবাড়ি ভালো না। রাজপথে আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।

গতকাল বিকালে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান জানান, আন্দোলনের নামে বিএনপি সন্ত্রাসী মনোভাব ও কার্যক্রমের প্রতিবাদে ৪ জুন সারাদেশে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। রাজধানীতে বেলা ১১টায় কর্মসূচি শুরু হবে।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, বিএনপি আন্দোলনের নামে আপত্তিকর বক্তব্য দিলে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে, সন্ত্রাসী কর্মকা- চালালে সঙ্গে সঙ্গে কর্মসূচি বানচাল করে দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করলে বিন্দু পরিমাণ ছাড় না দেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে মামলা করতেও বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের হাতে তো ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের অস্ত্র চলে এসেছে। তারা বলছে পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। এই স্লোগানের মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয় এই অস্ত্র তাদের পকেটে আছে। এই অস্ত্র দিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি এবং আমাদের আক্রমণ করার ইঙ্গিত দিয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই তাদের আন্দোলন হচ্ছে সহিংস আন্দোলন। অস্ত্র দিয়ে গুলি করে মানুষ মারার আন্দোলন। এই অস্ত্র দিয়ে গ্রেনেড দিয়ে, গুলি করে হামলা করে যারা রাজপথে জনগণের শান্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে, শান্তিভঙ্গ করবে সহিংসতা সৃষ্টি করবে অতীতের মতোই তাদের প্রতিহত করা হবে।

খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হলে এক কথা। কিন্তু আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকা- করলে এর বিরুদ্ধে দাঁড়াবে দেশের জনগণ। বিএনপি নেতাকর্মীদের মনে রাখা উচিত আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যন্ত সংগঠিত একটি রাজনৈতিক দল। সুতরাং বিএনপি বা অন্য কোনো দল দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি করলে জনগণের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।

রাজশাহী বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, যারা ৭৫র হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার স্লোগান দেয় তাদের এদেশে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। ওরা খুনি চক্র, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। স্বাধীন বাংলাদেশে খুনিদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। যারা পঁচাত্তরের কায়দায় আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীকে হত্যা করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই আইনি এবং রাজনৈতিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার এই স্লোগান দিয়ে তারা দেশে আরেকটা ১৫ আগস্ট সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। যেভাবে তারা ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছে তাতে সবাই ধারণা করছেন যে বিএনপি নেতারা অতীতের পথ ধরেই হাঁটছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের সেই আহ্লাদ পূরণ করতে দেবে না। তাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য সারাদেশের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত।

দলের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, তারা (বিএনপি) আন্দোলন করবেন এটি তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তারা যুক্তিযুক্ত ও শিষ্টাচারের সঙ্গে সরকারের বিরোধিতা করবেন সেটিও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তারা সেই অধিকারের ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবেন। কিন্তু অরাজকতা ও নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা অথবা শিষ্টাচারের সীমানা অতিক্রম করলে যথোপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে ও প্রতিকার করা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয় সরকার দেখবে, রাজনৈতিক বিষয় আওয়ামী লীগ মোকাবিলা করবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর