Logo
শিরোনাম

মায়াবী চুম্বক লাউয়াছড়ায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৮১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

থ্রিলিং আছে ফরেস্টে, জল-পাথর আর চা-বাগানে। সে কারণে বেছে নেওয়া লাউয়াছড়া। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় এ জাতীয় উদ্যান। রাতের গাড়িতে উঠে পরলে ভোরে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পার হয়ে মিরপুর দিয়ে রশিদপুর গ্যাসফিল্ডের রাস্তা। একটু পার হলেই শ্রীমঙ্গল সীমানায় স্বাগত জানাবে চায়ের দেশে স্বাগতম বলে।

এরপর শ্রীমঙ্গল। শ্রীমঙ্গল ৪ রাস্তা থেকে ভানুগাছমুখী রোড। শহরের রেলগেট পেরোতেই বিজিবি ক্যান্টিন। মায়াবী দুপাশ। শহর পেরিয়েই ফিনলে চা-বাগান। তার আগেই শ্রীমঙ্গল ৭১-এর বধ্যভূমি। এরপর কালো রাস্তার দুপাশে সবুজের ঢেউ। ঝলমলে চা-বাগান। সবুজের মাঝ দিয়ে ৩ কিমি. যেতেই ডান পাশে রাস্তা দেখিয়ে দেবে চা রিসার্স কেন্দ্রের আঁকাবাঁকা রাস্তা। দুদিকেই চা-বাগান। পাখির ওড়াউড়ি, শ্রমিকের চা-পাতা তোলার দৃশ্য। বেশিরভাগ শ্রমিকই নারী। পাহাড়ি মেয়েদের চা-পাতা তোলার দৃশ্য মুগ্ধ করবেই। সবুজের ডাকাডাকি। চা-বাগানের অবারিত সবুজ আর আঁকাবাঁকা রাস্তা বেয়ে সামান্য যেতেই বাঁ পাশে চা মিউজিয়াম। মেইন রোডের সঙ্গে এই জাদুঘরে আছে চা-শিল্প সম্পর্কিত যন্ত্রপাতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে চিত্রকর্ম, বই। কিছুদূর যেতেই পাঁচতারকা নিবাস গ্রান্ড সুলতান। চা-বাগান আর সবুজের মধ্যে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা। অনেক ব্যয়বহুল। এরপর সবুজ গাছ গাছালি ও ঢেউ খেলানো সবুজ পাহাড়ের মধ্য দিয়ে। আঁকাবাঁকা ও উঁচু-নিচু পিচ রাস্তা দিয়ে আরও কিলো তিনেক গেলেই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান।

পাহাড় আর বনের মিতালি উপভোগ করার মতো। বনের ভেতর দিয়ে যেতে যেতে মাথার ওপর বানরের লাফালাফি-দাপাদাপি আর নিচে লেজ তুলে যাওয়া হনুমান এবং বিভিন্ন পাখির কলতানে নির্জন পথ দিয়ে হেঁটে চলুন। রোমাঞ্চ জাগাবে। বনের ভেতর বয়ে চলেছে ঢাকা-সিলেট রেলপথ ওপরে পাখ-পাখালির ডাক। ভাগ্য ভালো হলে ময়না-টিয়ার মনমাতানো ডাক। ৫০ টাকার টিকিট কেটে ঢুকে পড়লাম জঙ্গলের ভেতর। কিছু ফরেনার-পর্যটক দেখলাম ফল ও ডাবের পানি পান করছে। দুপাশে গাছগাছালি ও পাখ-পাখালি। বয়ে চলেছে লাল রাস্তা।

পাশেই মাঝে মধ্যে ঝিরি সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। কিছুদূর যেতেই রেললাইন। সিলেট-ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ। মাঝে মধ্যে ট্রেনের হুইসেল! কী সুন্দর, মায়াবী রেলপথটি। এখানে সাত কালারের চা উপভোগ করতে পারবেন পাহাড়ের গা বেয়ে একটু ওপরে এ চা-ঘর। পাশেই ছোট্ট একটি দোকান। হস্তশিল্পসহ খেলনা পাবেন। বাচ্চারা কিনে আনন্দ পাবে। রেলিং বেয়ে নিচে নেমেই রেললাইন ঘেঁষে একটা সাইনবোর্ড। তাতে লেখা অস্কার বিজয়ী একটি সিনেমার শুটিং হয়েছিল বলে লেখা আছে।

রেলপথের ডানে-বাঁয়ে গিয়ে চা-বাগান থেকে ট্রেন যাওয়ার ছবি তুলতে মজাই লাগবে। এরপর থ্রিলিং পথ। লুকানো পথ; ভয় লাগে। সূর্যের আলোর লুকোচুরি। টিলা বেয়েও বন। মাঝে মধ্যে ঘন বনাঞ্চল। সূর্যের আলোও সব সময় পৌঁছায় না। হঠাৎ মিথুন বলল, ওই যে দেখুন চশমা পরা হনুমান। চারদিকে বাহারি রঙের প্রজাপতি। উঁচু গাছে ঝুলছে অজানা সাপ। লতা বা পাতায় জড়িয়ে। কী রোমাঞ্চকর! থেকে থেকে পাখির ডাক। ঝিঁঝির শব্দ বন মাতিয়ে রেখেছে। আনমনে হারিয়ে যাচ্ছি। হঠাৎ সফরসঙ্গীর ডাক। ভাই, কাঠবিড়ালিটা খুব সুন্দর তো! রঙিন ঝরাপাতা বিছানো পথ বেয়ে বনপথে। আমরা চলেছি। এদিক-ওদিকে কিশোর-কিশোরীর দল। দেশ-বিদেশের পর্যটক। বনের মধ্যেই কলরোল। ডালে ডালে ঝুলে থাকে উল্লুক ও হনুমান। দাঁত বের করে ভয় দেখায় বানর। দারুণ রোমাঞ্চকর, না?

হঠাৎ ট্রেনের হুইসল। তড়িঘড়ি করে রেলপথের কাছাকাছি। হেলে দুলে ট্রেন চলে যাচ্ছে। ট্রেনে বেশ কয়েকবার সিলেটে যাতায়াত করেছি এ বন দিয়েই। চা-বাগান, অন্ধকার এ অরণ্যের বাঁশবাগান আর সুবুজে মোড়া দুপাশের এ পথ বেয়ে যেতে কতই রোমাঞ্চ লাগে, তা বলে বোঝানো যাবে না! মধ্যেই সাত কালারের ঐতিহ্যবাহী চায়ের স্বাদ নিলাম। নাস্তাও সেরে নিলাম। নিরাপত্তার জন্য পুলিশের চলাচলও দেখলাম। বনের মধ্যে বা আশপাশে ভালো থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। শ্রীমঙ্গল ও একটু দূরে বিভিন্ন রিসোর্টে থাকতে পারেন। সবুজেমোড়া রিসোর্টে থাকতে রোমাঞ্চ হবে। এরপর শ্রীমঙ্গল হয়ে ঢাকা। একদিনের এ ভ্রমণ স্মৃতির পটে থাকবে বহুদিন। চম্বুকময়তা আছে এ বনে। মায়াবী ভরা আশপাশে। তাই, ডাকছে আমার বারেবারে...। ভ্রমণ শেষে মিথুনের কথাই মনে হলো, ফরেস্টে আছে মায়াবী চম্বুক, আছে থ্রিলার!

যাওয়া-আসা: ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে যাত্রা শুরু করা যাবে। বাসে করে শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজারগামী বাসে শ্রীমঙ্গল নামতে হবে। ট্রেনে এলে শ্রীমঙ্গল স্টেশনে নেমে পড়ুন। তারপর সকালের নাস্তা করে যাত্রা শুরু করুন। ৬-৭ কিমির পথ।

থাকা ও খাওয়া: থাকা ও খাওয়ার জন্য শ্রীমঙ্গলে প্রচুর হোটেল ও রিসোর্ট আছে। আপনার বাজেট অনুযায়ী যে কোনো হোটেলে রাত যাপন ও খাওয়া-দাওয়া করতে পারেন। শ্রীমঙ্গল থেকে চা কিনতে ভুলবেন না। মনিপুরিদের বিভিন্ন জিনিস এখান থেকে কিনতে পারেন। পানসী হোটেলে (যাত্রার শুরুতেই) বিভিন্ন রকমের ভর্তার স্বাদ নিতে পারেন।

সতর্কতা: বন-পাহাড়ে ট্রাকিং বা হাঁটতে হলে স্যান্ডেল নিয়ে এলে আরামদায়ক হবে। সাপ ও বিষাক্তপ্রাণী থেকে সতর্ক থাকতে হবে। হোটেলগুলোতে দামদর করে নিতে হবে। অনেক হোটেল-রিসোর্টে থাকা-খাওয়ার জন্য অত্যধিক ব্যয় করতে হয়। তাই পছন্দ অনুযায়ী বাছাই করুন। একদিন থাকলে তো অত হিসাব না করলেও চলে!

নিউজ ট্যাগ: লাউয়াছড়া বন

আরও খবর

অরণ্যযাপনের আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন

বৃহস্পতিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর