Logo
শিরোনাম

মেডিকেলে ভর্তি শুরু ২৭ মার্চ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথমবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী ২৭ মার্চ। ভর্তি চলবে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত।

রোববার (১৩ মার্চ) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৩৫০ জন পরীক্ষার্থীকে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আগামী ২৭ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক গঠিত স্থানীয় ভর্তি কমিটি নির্বাচিত ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রদত্ত সব মূল সনদপত্রগুলো যাচাই করবেন এবং মেডিকেল বোর্ড ভর্তির পূর্বে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। যার ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের সাময়িকভাবে ভর্তি করা হবে।

ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dgme.gov.bd ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dghs.gov.bd এবং সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজ থেকে জানা যাবে। এ ছাড়া আগামী ১৪ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা যাবে। টেলিটক সীমের মাধ্যমে এক হাজার টাকা ফি দিয়ে মোবাইলেই এই আবেদন করা যাবে।


আরও খবর

রাবি ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী মাহবুব আল আমিন মারা গেছেন

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী মাহবুব আল আমিন ডিউ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহবুব আল আমিন ডিউ। মৃত্যুকালে স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গিয়েছেন। বগুড়া গাবতলী উপজেলা নিজ গ্রামে পারিবারিক করব স্থানে তাকে দাফন করা হবে।

মাহবুব আল আমিন ডিউর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নিউজ ট্যাগ: খালেদা জিয়া

আরও খবর



খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী নির্বাচন হবে। নির্বাচনে যদি জনগণ ভোট না দেয়, আমরা স্যালুট দিয়ে চলে যাবো। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

খালেদা জিয়া রাজনীতি কিংবা নির্বাচন করতে পারবেন কি না- বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. রাজ্জাক বলেন, কেন উনি (খালেদা জিয়া) রাজনীতি করতে পারবেন না? উনি জেলে থেকেও রাজনীতি করতে পারবেন, দলকে নির্দেশনা দেবেন। তবে নির্বাচন করতে পারবেন কি না- সেটি নির্বাচন কমিশন নির্ধারণ করবে। আইনে যা আছে সেটা হবে। সেই অনুযায়ী ওনাকে নির্বাচনে আসতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, রাজনীতি উনি (খালেদা জিয়া) করতে পারবেন। গণতান্ত্রিক দেশ, তিনি একটা দলের একজন রাজনৈতিক নেতা, দুবারের প্রধানমন্ত্রী। কেন তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না! রাজনীতিবিদ তো রাজনীতিবিদই।

এ সরকারের অধীনে ফোরটুয়েন্টি মার্কা নির্বাচন করতে দেবেন না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মান্না কেন- সেটা বহুদিন আরও বড় বড় নেতারাও বলেছেন। মান্নার পার্টি তো খুবই ছোট। এই পার্টি কী বলছে সেটা নিয়ে আমরা এতটা মাথা ঘামাচ্ছি না। একই কথার পুনরাবৃত্তি করছি- সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। এর কোনো ব্যত্যয় হবে না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পলাবেন, দেশ ছেড়ে যাবেন- এগুলো হবে না। প্রধানমন্ত্রী আছেন, নির্বাচন পর্যন্ত থাকবেন। নির্বাচনে যদি জনগণ ভোট না দেয় আমরা স্যালুট দিয়ে চলে যাবো। কিন্তু নির্বাচন হবে, সময়ের মধ্যেই হবে। সংবিধানের বাইরে কারো কিছু করার সুযোগ সেই।

মন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৪ সালে টানা ৯ মাস হরতাল করেছে (বিএনপি)। গাড়ি পুড়িয়েছে, মানুষ পুড়িয়েছে পৈশাচিকভাবে। কই আমরা তো পলাইনি। পালানোর কোনো সুযোগ নেই।

আম ও সবজি নেবে জাপান

জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশ থেকে আম নেবে। এছাড়া শাকসবজি এবং অন্যান্য ফলও নেবে। এখন জাপানে বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য যায় না। পণ্য নিরাপদ হতে হবে, মান নিশ্চিত করতে হবে। সেগুলো নিয়ে দুদেশ কাজ করছে। আমের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।

তিনি বলেন, আমরা জাপান থেকে অনেক কৃষি যন্ত্রপাতি আনি। আমরা চাচ্ছি জাপানি কোম্পানিগুলো যেন বাংলাদেশে তাদের ইন্ডাস্ট্রি করে। এরই মধ্যে ইয়ানমার (এগ্রিকালচার মেশিনারি কোম্পানি) বাংলাদেশে কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপার, ট্রান্সপ্ল্যান্টানের কারখানা এসিআইসের সঙ্গে করছে। খুব তাড়াতাড়ি শুরু করবে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানে যাবেন, তখন একটি চুক্তি সই হবে। জাপানের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার পরিধি বাড়ছে। বাংলাদেশে পাওয়ার টিলার প্রথম জাপান থেকেই আসে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর জাপান যাওয়ার কথা। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কাজ চলছে।


আরও খবর



বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ১০ জ‌নের কেউই শঙ্কামুক্ত নন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ১৩৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর গুলিস্তানের নর্থ সাউথ রোডের সিদ্দিক বাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চি‌কিৎসাধীন ১০ জ‌নের কেউই শঙ্কামুক্ত নন ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

বুধবার (৮ মার্চ) বার্ন ইনস্টিটিউটে সাংবা‌দিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

ডা. সামন্ত লাল সেন ব‌লেন, গুলিস্তানে বিস্ফোরণের ঘটনায় আমা‌দের এখানে ১১ জন রোগী ছিলেন, তার ম‌ধ্যে একজন‌কে ঢাকা মে‌ডি‌কেলে স্থানান্তর করা হ‌য়ে‌ছে। কারণ তার বার্নট নাই। যে ১০ জন আছেন তার ম‌ধ্যে তিনজন আই‌সিইউ‌তে, দুইজন লাইফ সা‌পো‌র্টে, বাকিরা এস‌ডিইউ‌তে।

চি‌কিৎসাধীন ১০ জ‌নের ম‌ধ্যে কেউই শঙ্কামুক্ত নয় জা‌নি‌য়ে তিনি ব‌লেন, দগ্ধদের কারও ৮০ শতাংশ, কারও ৯০ শতাংশ; কারও ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। সবারই শ্বাসনালী পু‌ড়ে গে‌ছে। যেহেতু সবারই শ্বাসনালী‌ পুড়ে গেছে তাই আমরা শঙ্কামুক্ত বল‌তে পারব না।

বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৭ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে ১৯ জন চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও সরকারপ্রধান করতে মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে’

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৩৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও সরকারপ্রধান করতে সারা দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, সবার জন্য রাজনৈতিক অঙ্গন মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যে যেভাবে পারছে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, আমরা বাঁধা দিচ্ছি না।

আজ শনিবার (৪ মার্চ) দুপুর দেড়টায় যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান ও খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মইনুল হক।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করেএকটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে আবারও নতুন সরকার নির্বাচিত হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনই বিশ্বাস করে না যে তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে, পেশীশক্তির মাধ্যমে, বন্দুকের নলের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে। আওয়ামী লীগ সব সময় চিন্তা করেজনগণই তার শক্তি।

মন্ত্রী বলেন, নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করতে সারা দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে। কারণ, তারা আর অন্ধকারের দিকে যেতে চায় না। তারা আলোকিত বাংলাদেশ দেখতে চায়। আলোকিত বাংলাদেশের নাগরিক হতে চায়।

মন্ত্রী বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি ভাল, স্বনির্ভর, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ দিয়ে যেতে চাই।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ডাক্তার মো. নাসির উদ্দিন, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার, জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




গর্ভধারণ-সন্তান প্রসবে বিশ্বে ২ মিনিটে ১ নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব সংক্রান্ত জটিলতায় বিশ্বজুড়ে প্রতি দুই মিনিটে এক নারীর মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর: এএফপির।

তবে ২০ বছরের ইতিহাসে মাতৃত্বজনিত মৃত্যু এক-তৃতীয়াং কমেছে। ২০০০ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত এই মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমলেও ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কমতির হার অনেক কম। তবে কিছু এলাকায় তা বেশ কমেছে।

২০ বছরে বিশ্বে গড় মাতৃত্বজনিত মৃত্যুহার ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। ২০০০ সালে যেখানে এক লাখ সন্তান জন্মদানের ঘটনায় ৩৩৯ মায়ের মৃত্যু ঘটত, ২০২০ সালে এসে তা ২২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ তথ্য জানানো হয়ে। এর মানে ২০২০ সালে প্রতিদিন ৮০০ নারীর মৃত্যু হয়েছে অর্থাৎ প্রতি দুই মিনিটে একজন।

বেলারুশ এক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে। দেশটিতে মাতৃত্বজনিত মৃত্যু সাড়ে ৯৫ শতাংশ। অন্যদিকে ভেনিজুয়েলায় এই কারণে সবচেয়ে বেশি নারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে মাতৃত্বজনিত মৃত্যু ব্যাপকহারে বেড়েছে।

ডব্লিউএইচও প্রধান ডা. টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়াসুস বলেন, গর্ভধারণ যেখানে নারীর সবচেয়ে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা ও আশাবাদী হওয়ার সময়, সেখানে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি নারীর জন্য এটিই সবচেয়ে আতঙ্কজনক অভিজ্ঞতা হিসেবে রয়ে গেছে। নতুন পরিসংখ্যান বলছে, নারী ও মেয়েদের গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরি। তাহলে তারা সুষ্ঠুভাবে সন্তান জন্মদানের অধিকার চর্চা করতে পারবেন।

জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যকার সময়ে আট অঞ্চলের মধ্যে মাত্র দুটিতে মাতৃত্বজনিত মৃত্যুহার কমেছে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে ৩৫ শতাংশ এবং মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় ১৬ শতাংশ কমেছে।

ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে এবং লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে ১৫ শতাংশ বেড়েছে।

ইউরোপের গ্রিস ও সাইপ্রাসে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে প্রতিবেদনটির লেখক জেনি ক্রসওয়েল সাংবাদিকদের বলেছেন। বিশ্বের দরিদ্রতম অঞ্চলে এবং সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাতৃত্বজনিত মৃত্যুকে এখনও গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়।

২০২০ সালে মৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশ ঘটেছে সাব-সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের তুলনায় তা ১৩৬ গুণ বেশি।

নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত আফগানিস্তান, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চাদ, ডিআর কঙ্গো, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনে মাতৃত্বজনিত মৃত্যুহার বিশ্বের গড় হারের চেয়ে দিগুণ।

মারাত্মক রক্তক্ষরণ, সংক্রমণ, অনিরাপদ গর্ভপাত এবং এইচআইভি/এইডসের মতো অন্যান্য সমস্যা মাতৃত্বজনিত মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখা গেছে। ডব্লিউএইচও বলছে, এগুলোর প্রায় সবই প্রতিকার ও চিকিৎসাযোগ্য।

জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাটালিয়া কানেম বলেন, বিনা কারণ এই নারী মৃত্যু একদমই অগ্রহণযোগ্য। পরিবার পরিকল্পনায় বিনিয়োগ করে আমাদের আরও ভাল অবস্থা তৈরি করা উচিত। বিশ্বজুড়ে ৯ লাখ ধাত্রী সংকটের সমাধানও করা সম্ভব।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩