Logo
শিরোনাম

মেট্রোরেল-১ নির্মাণ কাজ শুরু জুলাইয়ে

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৩১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানী ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে সরকারের নানান পদক্ষেপের অন্যতম একটি হচ্ছে মেট্রোরেল প্রকল্প। ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমেটেডের অধীনে রাজধানী জুড়ে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনে নির্মাণ করা হচ্ছে মেট্রোরেল। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ শেষ করতে মেট্রোরেলের চারটি রুটকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পে। তারপরও মেট্রোরেলের নতুন রুটগুলোর নির্মাণ কাজে দেখা দিয়েছে ধীর গতি।

ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পভুক্ত মেট্রোরেল লাইন-১ এর কাজ আটকে আছে চার কারণে। ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের মনিটরিং টাস্ক ফোর্স এর ১৬তম সভায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

অবশ্য মেট্রোরেলকর্তৃপক্ষ বলছে, সংকটগুলো আপাতত দূর হয়ে গেছে। আগামী জুলাই মাসে মেট্রোরেল লাইন-১ এর কাজ শুরু হবে। ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে এই লাইনটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য চালু করে দেওয়া হবে-এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

ডিএমটিসিএল এর আওতায় বাস্তবায়নাধীন চারটি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের কাজের সর্বশেষ অগ্রগতি ও ফাস্ট ট্যাক প্রকল্পের মনিটরিং কমিটির ১৪ ও ১৫তম সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানতে গত মাসে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ওই বৈঠকের কার্যপত্রে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ি জানা গেছে, কর্পরিকল্পনা অনুযায়ী এই প্রকল্পের কাজে অগ্রগতি খুবই ধীর। এ জন্য দুটি প্রধান কারণকে দায়ি করা হয়েছে। এর একটি হচ্ছে-বাংলাদেশ রেলওয়ে হতে কমলাপুর আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন বক্স, প্রবেশ ও বহির্গমন পথ এবং ভেন্টিলেশন শ্যাফট এর অবস্থান চূড়ান্ত করতে বিলম্ব হওয়া। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক কমলাপুর স্টেশনের ইউটিলিটি ভেরিফিকেশন সার্ভে কাজের অনুমোদন না পাওয়া।

মনিটরিং কমিটির সভায় মেট্রোরেল লাইন-১ এর কাজের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এখন মেট্রোরেল-১ বাস্তবায়নে চারটি চ্যালেঞ্জ এর মুখে রয়েছে ডিএমটিসিএল। এই চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে-চারটি লানসিং শ্যাফট ও ১২তম আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন এলাকায় ওপেন কাট পদ্ধতিতে নির্মাণকালীন ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট; প্রবেশ/বহির্গমন পথ ও ভেন্টিলেশন শ্যাফট এর অবস্থান; অস্থায়ী কনস্ট্রাকশন এর অবস্থান নির্ধারণ এবং পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের সদ্য নির্মিত ভেহিকল আন্ডারপাস এর অবকাঠামো (পিয়ার) নির্মাণ।

অবশ্য ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ, এ এন ছিদ্দিক বলেন, আপাতত লাইন-১ এর নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে আর তেমন সমস্যা নেই। কমলাপুরের কাজ শিগগির শুরু করা যাবে। এখানে আন্ডারগ্রাউন্ডে (পাতাল) থাকবে মেট্রোরেল-১ এবং উপরে থাকবে মেট্রোরেল-৬ এর স্টেশন।’

ডিএমটিসিএল এর এমডি জানান, এখন শুধু দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে রাইট অব ওয়েভ’ হস্তান্তরের অপেক্ষায় আছি। সিটি করপোরেশনের কাছে তারা একটা প্রস্তাব দিয়েছে। সেখানে রাইট অব ওয়েভ’ হস্তান্তরের জন্য লিখেছি। দুই সপ্তাহ আগে লেখা ওই চিঠিতে আমরা বলেছি, নির্মাণকালীন হস্তান্তর করতে। তারা হস্তান্তর করলে আমরা কাজ শুরু করব। যেকানো রি-লোকেশন প্রয়োজন সেখানে রি-লোকেশন করা হবে। আর যেখানে প্রয়োজন নেই সেখানে আমরা কাজ শুরু করে দেব।

ডিএমটিসিএল তথ্য অনুযায়ী, মেট্রোলাইন-১ দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি হচ্ছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত। এই অংশের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার। এই অংশে মোট ১২টি স্টেশন হবে, যার সবগুলোই হবে আন্ডারগ্রাউন্ড (পাতাল)। এটিই হবে দেশের প্রথম পাতাল রেল।

বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর অংশে যে ১২টি স্টেশন নির্মাণ হবে সেগুলো হচ্ছে- বিমানবন্দর, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩, খিলক্ষেত, নর্দ্দা, নতুনবাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরিঝিল ইস্ট, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর। এই স্টেশনের সবগুলোই নির্মাণ হবে আন্ডারগ্রাউন্ডে (পাতাল)। অপর অংশটি হবে পূর্বাচল রুটে। নতুন বাজার থেকে থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত। এই অংশের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১১ দশমিক ৩৬৯ শতাংশ। এই অংশটি পুরোপুরি উড়াল পথে হবে। এই অংশে নয়টি স্টেশনের দুটি হবে পাতাল বা আন্ডারগ্রাউন্ডে। বাকি সাতটি হচ্ছে উড়াল।

নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত স্টেশন হচ্ছে নয়টি। এর মধ্যে দুটি হচ্ছে আন্ডারগ্রাউন্ড। এ দুটি হচ্ছে-নতুনবাজার ও নর্দ্দা। বাকি সাতটি স্টেশন হচ্ছে উড়ালপথে। এগুলো হচ্ছে-জোয়ারসাহারা, বোয়ালিয়া, মাস্তুল, শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, পূর্বাচল সেন্ট্রাল, পূর্বাচল ইস্ট ও পূর্বাচল টার্মিনাল। নতুন বাজারে থাকবে ইন্টারচেঞ্জ। যেটি ব্যবহার করে যাত্রীরা বিমানবন্দর, পূর্বাচল এবং কমলাপুরের দিকে যাতায়াত করতে পারবেন।

মেট্রোরেল-১ এর নির্মাণ কাজে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাপানি সাহায্য সংস্থার (জাইকা) ঋণের পরিমান হচ্ছে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত। বর্তমানে মেট্রোরেল-১ এর পূর্ণাঙ্গ নকশা তৈরির কাজ চলছে। ইতিমধ্যে নকশা তৈরির কাজ ৯২ শতাংশ শেষ হয়েছে।

ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের ডিপো নির্মাণের জন্য নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ ও ব্রাহ্মণখালি মৌজায় ৯২দশমিক ৯৭২৫ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশের কাজ প্রক্রিয়াধীন। সাতটি প্যাকেজে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রকল্পের নির্মাণকাজ তদারকির জন্য পরামর্শমক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের লক্ষ্যে আএফপি মূল্যায়ন প্রতিবেদন সম্মতির জন্য গত ২৬ জানুয়ারি জাইকাতে পাঠানো হয়েছে। ডিপোর ভূমি উন্নয়নের জন্য প্যাকেজ সিপি-১ এর কারিগরি দরপত্র মূল্যাযন প্রতিবেদনের উপর জাইকার সম্মতির পাওয়া গেছে গত ফেব্রুয়ারি মাসে।

প্যাকেজ সিপি-৫, সিপি-৬, সিপি-৪ এর প্রাক-যোগ্যতার আবেদন আহ্বান করা হয়েছে গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্যাকজ সিপি-১২ এবং গত মার্চ মাসে প্যাকেজ সিপি-৯, ১০ ও ১১ এর প্রাক যোগ্যতা দলিল এবং ফেব্রুয়ারি মাসে প্যাকজ-সিপি-৩ এর সংশোধিত প্রাকযোগ্যতার দলিল জাইকার সম্মতির জন্য পাঠানো হয়েছে।

মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, আগামী জুলাই মাসে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হবে। ডিপো নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অধিগ্রহণকৃত ভূমি বুঝে পেয়েছি। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝে পাওয়ার অপেক্ষায়। ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে এই রুট মানুষের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: মেট্রোরেল

আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর