হাসপাতালের চিকিৎসক অঞ্জন জানান, বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা ঢাকায় পাঠানো হবে
খুলনা নগরীতে হোটেলকক্ষে ঢুকে মেয়ের সামনে মাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্তে বিভাগীয় কমিটিও গঠন করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর ছিলেন নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসআই।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান জানান, ধর্ষণের অভিযোগে ডিবির এসআই জাহাঙ্গীরকে বৃহস্পতিবার রাতে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ তোলা নারী খুলনা মেডিক্যাল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চেকআপ করিয়েছেন।
হাসপাতালের চিকিৎসক অঞ্জন জানান, বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা ঢাকায় পাঠানো হবে। প্রতিবেদন আসতে প্রায় দেড় মাস সময় লাগতে পারে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শেখ শাহজাহান জানান, ওই নারী মোংলায় নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন।
নগরীর লোয়ার যশোর রোডের সুন্দরবন হোটেল থেকে বুধবার ভোররাতে এসআই জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়। পরে খুলনা থানায় হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এজাহারের বরাতে খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, মোংলার এক নারী তার ১১ বছরের মেয়েকে ডাক্তার দেখাতে মঙ্গলবার বিকেলে নগরীতে আসেন। সঙ্গে ছিলেন ওই নারীর ভাগনেও। ডাক্তারের সিরিয়াল না পেয়ে তারা রাতে থাকার জন্য সুন্দরবন হোটেলের দুটি কক্ষ ভাড়া নেন। একটি কক্ষে ছিলেন মা-মেয়ে, আরেকটিতে ভাগনে।
রাত সোয়া ২টার দিকে এসআই জাহাঙ্গীর ওই নারীর কক্ষের দরজা ধাক্কা দিতে থাকেন। পুলিশ পরিচয় দিয়ে তিনি দরজা খুলতে বলেন। ওই নারী দরজা খুলে দিলে জাহাঙ্গীর ভেতরে ঢুকে মেয়ের সামনেই তাকে ধর্ষণ করেন। তাদের চিৎকারে ওই নারীর ভাগনে ও হোটেলের কর্মচারীরা মালিককে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ গিয়ে জাহাঙ্গীরকে আটক করে। ওই নারীই পরে খুলনা থানায় ধর্ষণের মামলা করেন বলে জানান ওসি।