Logo
শিরোনাম

মহাকাশ শিল্পের বাজার বিস্তৃত হচ্ছে

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৫২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মহাকাশ ঘিরে মানুষের আগ্রহ ও পদচারণা ক্রমে বাড়ছে। পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। প্রতিনিয়ত নতুন সব প্রযুক্তি এতে যুক্ত হচ্ছে। পৃথিবীর বাইরে ব্যবসা বিস্তারের সুযোগ লুফে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীদের অনেকেই। সময়ের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান মহাকাশ শিল্পের বাজার। মহাকাশচারী সেন কেলি তাই মহাকাশকেন্দ্রিক ব্যবসা বৃদ্ধির দিকে জোর দিচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন রকেট প্রতিযোগিতা বৃদ্ধিরও।

একজন মহাকাশচারী হিসেবে অ্যারিজোনা সেন মার্ক কেলি তার ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে চারবার মহাকাশ ভ্রমণ করেছেন। সংগত কারণেই মহাকাশকেন্দ্রিক ব্যবসা ঘিরে আশাবাদ ব্যক্ত করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার বিষয়কে ইতিবাচক আখ্যা দিয়েছেন।  বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাণিজ্যিক মহাকাশ পরিবহনবিষয়ক সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, কিছু অগ্রগতির বিষয় সত্যিই আশ্চর্যজনক, যা দুর্দান্তভাবে সফলও।

কেলি জানান, তিনি যখন নাসার মহাকাশযানে চড়ে ভ্রমণ করেন সে তুলনায় কক্ষপথে স্যাটেলাইট, মানুষ ও কার্গো পাঠানোর খরচ বর্তমানে ভগ্নাংশ পরিমাণে নেমে এসেছে। বর্তমান সময়টি উৎসাহিত ও ত্বরান্বিত করছে মহাকাশ শিল্পের বৃদ্ধিকে। তাই রকেট নির্মাণকারী সংস্থাগুলোকে সুযোগটির যথাযথ ব্যবহার এবং সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজারে দ্রুত নতুন যান আনতে হবে ও নতুন প্রতিযোগিতাকে আলিঙ্গন করতে হবে, বিষয়গুলোকে মোটেও দমিয়ে রাখা যাবে না।

মহাকাশে ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক ভ্রমণ পরিষেবা চালুর বিষয়ে একে অন্যকে টেক্কা দিচ্ছেন টেসলা ও টুইটার প্রধান ইলোন মাস্ক, জেফ বেজোস, রিচার্ড ব্র্যানসনের মতো ধনকুবের। এজন্য প্রতিনিয়ত নতুন কৌশলও আবিষ্কার করছেন তারা। গবেষণার তথ্যানুযায়ী, ২০৪০ সাল নাগাদ মহাকাশ শিল্পের বার্ষিক আয় ১ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছবে। এরই ধারাবাহিকতায় কেলি বলেন, পৃথিবীর কক্ষপথে বেশিসংখ্যক যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন মহাকাশযান উৎক্ষেপণের খরচ কমাতে আমাদের বেশিসংখ্যক যানের প্রয়োজন।

মহাকাশে বাণিজ্যিকভাবে রকেট উৎক্ষেপণের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশে ৮৭টি রকেট পাঠিয়ে নতুন বার্ষিক রেকর্ড তৈরি করেছে। যার বেশির ভাগই  টেসলা ও স্পেসএক্স সিইও ইলোন মাস্কের। বর্তমানে গড়ে প্রতি চারদিনে মহাকাশে রকেট পাঠানোর ব্যবস্থা চালু করছে তার প্রতিষ্ঠান। এদিকে অন্য কোম্পানিগুলোও বসে নেই। তারা মহাকাশযান উৎক্ষেপণের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে। সামনের বছরগুলোয় আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে রকেট ল্যাব, ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স, ব্লু অরিজিন, অ্যাস্ট্রা, ভার্জিন অরবিট, নর্থরপ গ্রুম্যান, ফায়ারফ্লাই ও এবিএলসহ রকেট পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান।

মহাকাশ যাত্রা বেশ খরচের। তবে মহাকাশ ভ্রমণের স্টার্টআপ উদ্যোগে কয়েক হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছেন বেজোস, ব্র্যানসন ও মাস্ক। প্রত্যেকেই গ্রাহককে মহাকাশ ভ্রমণের দারুণ অভিজ্ঞতা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ সম্পর্কে কেলি বলেন, বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ খাত সম্ভাবনাময়, যা আমেরিকার অর্থনীতির ভবিষ্যতের জন্য এবং বিদেশে আমাদের নেতৃত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাণিজ্যিক মহাকাশ খাত ছাড়া, আমরা আমাদের কক্ষপথে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হব না। এটি ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির সামগ্রিক খাত; প্রযুক্তি থেকে টেলিকম, বৈশ্বিক রফতানি বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক হবে না।


আরও খবর

কমেছে রোলেক্স ও প্যাটেক ফিলিপ ঘড়ির দাম

বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | ৮৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চলতি মাসে ভোক্তাপর্যায়ে এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৩৭৭ টাকা থেকে ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) নতুন এ দর ঘোষণা করে। নতুন দর আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে ভোক্তাপর্যায়ে আগস্ট মাসের জন্য ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম জুলাই মাসের তুলনায় ১১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগের মাসে এ দাম বাড়ানো হয়েছিল ৩ টাকা। সে সময় ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৩৬৬ টাকা।

নিউজ ট্যাগ: এলপি গ্যাস

আরও খবর

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3




তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তির সমাধান চান প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতের সঙ্গে যে মতপার্থক্য রয়েছে, তা সমাধানে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পিটিআইয়ের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেছেন। ভারতের বার্তা সংস্থার ওয়েবসাইটে আজ শুক্রবার এ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে।

ঢাকায় তাঁর সরকারি বাসভবনে নেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, বছরের পর বছর এই আলোচনা ঝুলিয়ে রেখে দুই দেশেরই কোনো লাভ হচ্ছে না।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টনের বিষয়টি অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী হতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো ভাটির দেশগুলোর অধিকার সমুন্নত রাখার সুনির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে।

বিষয়টি (পানি বণ্টন) নিয়ে বসে থাকার ফলে কোনো লাভ হচ্ছে না। কতটুকু পানি পাচ্ছি জানা থাকলে যদি সেই পরিমাণ নিয়ে আমি খুশিও না হই, এরপরও (চুক্তিতে) স্বাক্ষর করলে ভালো হবে। এই বিষয়টির সমাধান হতেই হবে, সাক্ষাৎকারে বলেন তিনি।

ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ২০১১ সালে ঢাকা সফরকালে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর অনেকটা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই চুক্তিকে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে চুক্তি আর হয়নি। তখন মমতা দাবি করেছিলেন, তাঁর রাজ্যেই পানির সংকট রয়েছে। এখনও সমাধান হয়নি এ সমস্যার।


আরও খবর

শহীদি মার্চে লাখো ছাত্র-জনতার ঢল

বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শহীদি মার্চে লাখো ছাত্র-জনতার ঢল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৮৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহতদের স্মরণে এবং আওয়ামী সরকারের পতনের একমাস পূর্তি উপলক্ষে ছাত্র-জনতার শহীদি মার্চ শুরু হ‌য়ে‌ছে। লাখো ছাত্র-জনতা এতে অংশ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দি‌কে ঢাকা বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের রাজুর ভাস্ক‌র্যের পাদ‌দেশ থে‌কে‌ এই মার্চ শুরু হয়।

শহীদি মার্চ নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, কলাবাগান, মিরপুর রোড ধরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে ফার্মগেট, কাওরানবাজার, শাহবাগ ও রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হবে।

এর আগে দুপুর থেকেই রাজু ভাস্ক‌র্যের পাদ‌দে‌শে জড়ো হ‌তে থা‌কে বি‌ভিন্ন প্রতিষ্ঠা‌নের শিক্ষার্থীরা। ৩টা ২০ মি‌নি‌টের দি‌কে শেখ হা‌সিনার বিচা‌রের দা‌বি‌তে স্লোগা‌নে উত্তাল হ‌য়ে উ‌ঠে টিএস‌সি এলাকা।

নিউজ ট্যাগ: শহীদি মার্চ

আরও খবর



সরকারি সংবাদমাধ্যমগুলোর স্বায়ত্তশাসন দাবি সম্পাদকদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সরকারি সংবাদমাধ্যমগুলোর স্বায়ত্তশাসন দাবি করেছেন দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকগণ। আজ (মঙ্গলবার) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এক বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের সময় অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন সম্পাদকেরা। এ সময় সাংবাদিকতাবিরোধী সব কালাকানুন বাতিলের দাবি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যেভাবে মামলা করা হচ্ছে, তা বন্ধের দাবিও করা হয়েছে। ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, বিটিভি, বিএসএস এবং রেডিও, যেগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে সেগুলোকে স্বায়ত্ত শাসন দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। তারা যেন পেশাগতভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সারাবিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা উৎসুক বাংলাদেশকে সহায়তা করতে।

দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক বলেন, আমরা কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার আশা করছি। সেই সংস্কারের মধ্যে সংবিধান পরিবর্তন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করা, বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলো, এন্টি করাপশন কমিশন, হিউম্যান রাইটস কমিশন, নির্বাচন কমিশন এগুলোকে সংস্কার করা। সত্যিকার অর্থে গণমুখী সংস্থা আমরা চাই। নির্বাচন কমিশন যাতে ভবিষ্যতে ভোটারদের চিন্তার প্রতিফলন ঘটান, এরকম একটা সংস্থা চাই। আমরা এমন দুর্নীতি দমন কমিশন, তারা যেন স্বাধীন ভাবে দেশের দুর্নীতি দমন করতে পারে।

সাংবাদিকতাবিরোধী সব কালাকানুন বাতিলের দাবি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন, সাইবার সিকিউরিটি আইনের মধ্যে সাংবাদিক নিপীড়নের যে অধ্যায়গুলো আছে সেগুলো কার্যত হবে না। এমনটা যাতে ঘোষণা করা হয়। এটা সংস্কারের জন্য ওনারা সময় নিয়ে করতে পারেন। তিনি সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন সাংবাদিকতা বিশ্বাস করেন। আমাদেরকে যে বিশেষ আবেদন করেছেন, আমরা যেন আমাদের লেখনীর মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা। এ সরকারের ভুল ত্রুটি সোচ্চার ভাবে, নির্দ্বিধায় সেটা যেন কাগজে ছাপি। এই সরকারকে সাহায্য করি।

তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সত্যিকার অর্থে মিডিয়ার স্বাধীনতা বিশ্বাস করেন। মিডিয়াবান্ধব যদি কোনো সরকারপ্রধান আমরা পেয়ে থাকি, তাহলে আমরা এখন পেয়েছি। আমরা এর জন্য অত্যন্ত আনন্দিত।

সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা যদি মনে করেন যে, একটা গ্রুপ করে দেওয়া বা একটা বিশেষ কমিটি করে দিয়ে সব ধরনের আইনের যে পরিবর্তন করা হয়। আমারও সংবিধান সংস্কার চাই। আমরা গণতান্ত্রিক রিফর্ম চাই।

সাংবাদিকদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে এগুলো তার সরকারের কোনো পলিসিগত কিছু না।

মাহফুজ আনাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন থাকবে সেটা সম্পাদকদের কাছে জিজ্ঞেস করেছেন ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। সে বিষয়ে অনেকের মতামত দিয়েছেন। তবে এই সরকারের মূল অ্যাজেন্ডা কী? সেটার অনুপাতে সময়। ২,৩, ৫বছর, ওনার নিজস্ব কোনো চিন্তা নেই। জাতি কী চায়? জনতা কী চিন্তা করছেন? সেটা তিনি জানতে চান৷ তিনি মিডিয়াকে আহ্বান করেছেন। আমরা যেন জনগণের কথা লিখি।


আরও খবর

শহীদি মার্চে লাখো ছাত্র-জনতার ঢল

বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রীষ্মের রেকর্ড গড়লো ২০২৪

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৮০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রীষ্মের রেকর্ড গড়েছে ২০২৪ সাল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পরিবর্তন মনিটর শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে। তাপমাত্রা রেকর্ড শুরু করার পর থেকে দেখা গেছে, বিশ্বের উষ্ণতম উত্তর গোলার্ধের গ্রীষ্মের তাপমাত্রা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এতে বৈশ্বিক উষ্ণতা তীব্রতর হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সি৩এস) তাদের মাসিক বুলেটিনে বলেছে, চলতি বছরের জুন থেকে আগস্টের বোরিয়াল গ্রীষ্মটি গত বছরের তুলনায় উষ্ণ হয়ে উঠেছে।

২০২৪ সালে তাপমাত্রার ব্যতিক্রমী এই রেকর্ড পৃথিবীর উষ্ণতম গ্রীষ্ম হিসেবে ২০২৩ সালকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে।

সি৩এস এর ডেপুটি ডিরেক্টর সামান্থা বার্গেস বলেছেন, ২০২৪ সালের বিগত তিন মাসে পৃথিবী সবচেয়ে উষ্ণতম জুন ও আগস্ট, রেকর্ডে সবচেয়ে উষ্ণতম দিন এবং সবচেয়ে উষ্ণ বোরিয়াল গ্রীষ্মের অভিজ্ঞতা পেয়েছে।

সি৩এস এর তথ্যমতে, বিজ্ঞানীরা অন্যান্য ডেটার সঙ্গে ক্রস-চেক করে নিশ্চিত করেছেন, চলতি বছরের গ্রীষ্মটি ১৮৫০ এর প্রাক-শিল্প যুগের পর থেকে সবচেয়ে বেশি উষ্ণ ছিল।

তিনি বলেছিলেন, দেশগুলো যদি জরুরিভাবে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি হ্রাস করায় কাজ না করে তবে চরম আবহাওয়া শুধু তীব্রতরই হতে থাকবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ হিসেবে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো থেকে গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমনকে দায়ী করেছেন তিনি।

পৃথিবীর পরিবর্তিত জলবায়ু চলতি গ্রীষ্মে বিপর্যয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। সুদানে গত মাসে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় ৩ লাখেরও বেশি মানুষ প্রভাবিত হয়েছিল। ফলে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এই দেশটিতে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

অন্যদিকে, বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইতালির সিসিলি দ্বীপপুঞ্জ এবং সার্ডিনিয়ায় একটি গুরুতর খরা অব্যাহত রয়েছে। এমনকি, এটি টাইফুন গেইমিকে আরও তীব্র করেছে যেটি জুলাইয়ে ফিলিপাইন, তাইওয়ান এবং চীনের মধ্য দিয়ে আঘাত হেনেছিল। এতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়।


আরও খবর