Logo
শিরোনাম

মহাকাশ শিল্পের বাজার বিস্তৃত হচ্ছে

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ১৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মহাকাশ ঘিরে মানুষের আগ্রহ ও পদচারণা ক্রমে বাড়ছে। পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। প্রতিনিয়ত নতুন সব প্রযুক্তি এতে যুক্ত হচ্ছে। পৃথিবীর বাইরে ব্যবসা বিস্তারের সুযোগ লুফে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীদের অনেকেই। সময়ের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান মহাকাশ শিল্পের বাজার। মহাকাশচারী সেন কেলি তাই মহাকাশকেন্দ্রিক ব্যবসা বৃদ্ধির দিকে জোর দিচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন রকেট প্রতিযোগিতা বৃদ্ধিরও।

একজন মহাকাশচারী হিসেবে অ্যারিজোনা সেন মার্ক কেলি তার ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে চারবার মহাকাশ ভ্রমণ করেছেন। সংগত কারণেই মহাকাশকেন্দ্রিক ব্যবসা ঘিরে আশাবাদ ব্যক্ত করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার বিষয়কে ইতিবাচক আখ্যা দিয়েছেন।  বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাণিজ্যিক মহাকাশ পরিবহনবিষয়ক সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, কিছু অগ্রগতির বিষয় সত্যিই আশ্চর্যজনক, যা দুর্দান্তভাবে সফলও।

কেলি জানান, তিনি যখন নাসার মহাকাশযানে চড়ে ভ্রমণ করেন সে তুলনায় কক্ষপথে স্যাটেলাইট, মানুষ ও কার্গো পাঠানোর খরচ বর্তমানে ভগ্নাংশ পরিমাণে নেমে এসেছে। বর্তমান সময়টি উৎসাহিত ও ত্বরান্বিত করছে মহাকাশ শিল্পের বৃদ্ধিকে। তাই রকেট নির্মাণকারী সংস্থাগুলোকে সুযোগটির যথাযথ ব্যবহার এবং সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজারে দ্রুত নতুন যান আনতে হবে ও নতুন প্রতিযোগিতাকে আলিঙ্গন করতে হবে, বিষয়গুলোকে মোটেও দমিয়ে রাখা যাবে না।

মহাকাশে ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক ভ্রমণ পরিষেবা চালুর বিষয়ে একে অন্যকে টেক্কা দিচ্ছেন টেসলা ও টুইটার প্রধান ইলোন মাস্ক, জেফ বেজোস, রিচার্ড ব্র্যানসনের মতো ধনকুবের। এজন্য প্রতিনিয়ত নতুন কৌশলও আবিষ্কার করছেন তারা। গবেষণার তথ্যানুযায়ী, ২০৪০ সাল নাগাদ মহাকাশ শিল্পের বার্ষিক আয় ১ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছবে। এরই ধারাবাহিকতায় কেলি বলেন, পৃথিবীর কক্ষপথে বেশিসংখ্যক যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন মহাকাশযান উৎক্ষেপণের খরচ কমাতে আমাদের বেশিসংখ্যক যানের প্রয়োজন।

মহাকাশে বাণিজ্যিকভাবে রকেট উৎক্ষেপণের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশে ৮৭টি রকেট পাঠিয়ে নতুন বার্ষিক রেকর্ড তৈরি করেছে। যার বেশির ভাগই  টেসলা ও স্পেসএক্স সিইও ইলোন মাস্কের। বর্তমানে গড়ে প্রতি চারদিনে মহাকাশে রকেট পাঠানোর ব্যবস্থা চালু করছে তার প্রতিষ্ঠান। এদিকে অন্য কোম্পানিগুলোও বসে নেই। তারা মহাকাশযান উৎক্ষেপণের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে। সামনের বছরগুলোয় আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে রকেট ল্যাব, ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স, ব্লু অরিজিন, অ্যাস্ট্রা, ভার্জিন অরবিট, নর্থরপ গ্রুম্যান, ফায়ারফ্লাই ও এবিএলসহ রকেট পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান।

মহাকাশ যাত্রা বেশ খরচের। তবে মহাকাশ ভ্রমণের স্টার্টআপ উদ্যোগে কয়েক হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছেন বেজোস, ব্র্যানসন ও মাস্ক। প্রত্যেকেই গ্রাহককে মহাকাশ ভ্রমণের দারুণ অভিজ্ঞতা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ সম্পর্কে কেলি বলেন, বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ খাত সম্ভাবনাময়, যা আমেরিকার অর্থনীতির ভবিষ্যতের জন্য এবং বিদেশে আমাদের নেতৃত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাণিজ্যিক মহাকাশ খাত ছাড়া, আমরা আমাদের কক্ষপথে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হব না। এটি ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির সামগ্রিক খাত; প্রযুক্তি থেকে টেলিকম, বৈশ্বিক রফতানি বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক হবে না।


আরও খবর

কমেছে রোলেক্স ও প্যাটেক ফিলিপ ঘড়ির দাম

বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ঘরে বসেই পাওয়া যাচ্ছে ই-ভিসা!

শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




মিয়ানমারে বৌদ্ধ মঠে সেনাবাহিনীর হামলা, নিহত ৩০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৫৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের এক বিদ্রোহী গোষ্ঠী জানিয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী শান রাজ্যের এক মঠে হামলা চালিয়ে ৩০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে।

কারেনি ন্যাশনালিটিস ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ) জানিয়েছে, সেনারা শনিবার নান নেইন গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে।

বিবিসি জানিয়েছে, দুই বছর আগে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের জান্তা ক্ষমতা দখল করার পর থেকে দেশটির সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রাণঘাতী লড়াইয়ের ঘটনা বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে তীব্র কিছু লড়াই হয়েছে শান রাজ্যে, মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদো ও প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের সঙ্গে রাজ্যটির সীমান্ত আছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

কেএনডিএফ জানিয়েছে, গোলাবর্ষণের পর শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার দিকে জান্তার বিমান বাহিনী ও গোলন্দাজ বাহিনী গ্রামটিতে প্রবেশ করে এবং মঠে লুকিয়ে থাকা গ্রামবাসীদের খুঁজে বের করে এনে হত্যা করে।

তারা অন্তত ৩০ বেসামরিক ও তিনজন বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যা করেছে বলে গোষ্ঠীটি জানিয়েছে।

স্থানীয় সংবাদপত্র কান্তারাওয়াদ্দি টাইমসের প্রতিবেদনে দেওয়া উদ্ধৃতিতে কেএনডিএফ এর মুখপাত্র বলেছেন, সামরিক বাহিনীর তাদের মঠের সামনে এনে লাইন ধরে দাঁড়াতে বাধ্য করে তারপর ভিক্ষুদেরসহ সবাইকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে।

কেএনডিএফ এর এক ভিডিওতে অন্তত ২০টি মৃতদেহ দেখা গেছে। লাশগুলো মঠের পাশে স্তূপ করে রাখা ছিল। নিহতদের কয়েকজনের পরনে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ব্যবহৃত কমলা রঙের পিরান দেখা গেছে।

মৃতদেহগুলোর শরীরে বন্দুকের গুলির আঘাতের মতো অনেক চিহ্ন দেখা গেছে। ভিডিওতে মঠের দেয়ালে গুলির আঘাতে তৈরি হওয়া গর্তও দেখা গেছে।

মঠের চারপাশের কয়েকটি ভবন ও বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এগুলো গ্রামটিতে সামরিক বাহিনীর হামলার নজির বলে জানিয়েছে কেএনডিএফ।

মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর যে বাহিনীগুলো যোগ দিয়েছে কেএনডিএফ তাদের মধ্যে একটি।

বিবিসি জানিয়েছে, ঘটনাটির বিস্তারিত যাচাই করা কঠিন হলেও মিয়ানমারের এই অংশে নিরস্ত্র বেসামরিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের বর্বরতার ঘটনা নতুন নয়। অভ্যুত্থানের পর থেকে এখানে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে প্রবল প্রতিরোধের কিছু ঘটনা ঘটেছে।

ওই এলাকার অন্যান্য গ্রামে সামরিক বাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন।

মিয়ানমারের জান্তা সরকার চলতি বছর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশা করছে। এটি তাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় কিছু বৈধতা এনে দেবে বলে মনে করছে তারা।

কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ব্যাপক বিমান হামলা সত্ত্বেও তাদের শাসনের বিরোধীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা, এতে নির্বাচন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরেই গৃহযুদ্ধ চলছে, এ যুদ্ধ ২০২১ এর সামরিক অভ্যুত্থানের পর আরও ছড়িয়ে পড়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, এসব লড়াইয়ের ঘটনায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, ৪০ হাজার বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ৮০ লাখ শিশু স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এবং প্রায় দেড় কোটি লোক খাদ্যের অভাবের মুখোমুখি হয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আছেন।

ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে জান্তার দমনপীড়নে এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দেশটির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী অ্যসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স গোষ্ঠী জানিয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: হত্যা বৌদ্ধ মঠ

আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




শ্রদ্ধা জানাতে সাইকেলে চড়ে কলকাতা থেকে ঢাকায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কলকাতা থেকে বাইসাইকেল চালিয়ে ঢাকায় এসেছেন একদল ভারতীয়। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।

দলের সদস্যরা জানান, পশ্চিমবঙ্গের হান্ড্রেড মাইলস নামে একটি সংগঠনের আয়োজনে তারা সাইকেল চালিয়ে ঢাকায় এসেছেন। ২০১২ সাল থেকে তারা নিয়মিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঢাকা এসে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। করোনার কারণে দুই বছর পর বাংলাদেশে এসেছেন তারা। এটি তাদের নবম যাত্রা।

এর আগে, কলকাতা প্রেসক্লাব থেকে ভালোবাসা দিবসের দিন (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভাষার প্রতি ভালোবাসা থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা করেন তারা। কলকাতা-সোদপুর-বারাসাত-বনগাঁ-পেট্রাপোল স্থলসীমান্ত বন্দর পেরিয়ে এই সাইকেল র‌্যালিটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। পরে বেনাপোল-নরাইল-ভাঙা-মাওয়া হয়ে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা পৌঁছেন তারা।

১৯ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা। আজ ২১ ফেব্রুয়ারি খালি পায়ে হেঁটে শহীদ মিনারে এসে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ভাষা শহীদদের প্রতি। আজই ভারতের উদ্দেশে রওনা হবেন বলেও তারা জানিয়েছেন। ১৫ জনের এই প্রতিনিধি দলে চিকিৎসক, শ্রমিক, কলেজ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সরকারি চাকরিজীবীরাও রয়েছেন।

দলের সদস্য গৌতম মৃধা বলেন, আমাদের স্লোগান হলো বাংলা কখনও হয় না ভাগ, বাংলা ভাষায় আমরা এক। এই স্লোগানকে বুকে ধারণ করেই আমাদের এই যাত্রা। এপার-ওপার যে নামেই ডাকি, ভাষার বাঁধনে বাঁধা দুই দেশ। সেই বাঁধন থেকেই আমরা বাংলাদেশে আসি ভাষা দিবসে। আগামীতেও নিয়মিত আসবো।

দলের সদস্য তপন কুমার রায় (৭০) বলেন, এর আগেও আমি তিন বার এসেছি। এদেশে আসতে ভালো লাগে। এদেশের মানুষ অনেক আন্তরিক। দুই দেশে ভাষা-সংস্কৃতিতে আমরা এক। ভাষার প্রতি ভালোবাসা থেকে আমাদের এই সাইকেল র‌্যালি।


আরও খবর

অরণ্যযাপনের আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন

বৃহস্পতিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

চলুন দেখে আসি ঐতিহ্যবাহী ভাসমান হাট

বৃহস্পতিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




রোজার আগে কেজিতে ৩০-৫০ টাকা বেড়েছে খেজুরের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৯৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ডলার সংকটে আমদানি কমাসহ নানান অজুহাতে রমজানকে সামনে রেখে হু হু করে বাড়ছে খেজুরের দাম। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রমজানে খেজুরের চাহিদা তুঙ্গে থাকে বলে প্রতিবছরই এই সময় পণ্যটির দাম বাড়ে।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের রমজানে চট্টগ্রামের ফলমন্ডির পাইকারি বাজারে পাঁচ কেজি ওজনের মরিয়ম খেজুর বিক্রি হয়েছিল তিন হাজার টাকায়। এবার তা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিন হাজারে। খুচরায় কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। আমদানিকারকরা বলছেন, ডলারের সংকটে আমদানিতে সৃষ্ট জটিলতা, তেলের দাম বাড়ায় জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে- এসব কারণে আমদানি করা খেজুরের দাম বেড়েছে।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে খেজুর আমদানি হয়েছে। যেসব খেজুর আমদানি করা হয়েছে সেগুলো খালাসের আগে আমরা যাচাই-বাছাই করেছি। নষ্ট, পচা খেজুর এবার আমদানি করা হয়নি।

তিনি বলেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৭৩ টন খেজুর আমদানি করা হয়েছে। এর আগের বছর ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯১ হাজার ৯০৪ টন ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬২ হাজার ২৭৪ টন খেজুর আমদানি করা হয়।

চট্টগ্রামের খেজুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এস কে ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ শফিউল আজম টিপু বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার মান ভেদে খেজুরের দাম কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ডলার সংকট, জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধিসহ আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় খেজুরের দাম বেড়েছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে খেজুর এবার আমদানি হয়েছে। সংকট হবে না।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (মেট্রো) মো. আনিছুর রহমান বলেন, খেজুরের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে, বিষয়টি আমরাও শুনেছি। ইতিমধ্যে কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বিষয়টি যাচাই করেছি। এতে দেখেছি, গত বছরের তুলনায় এবার খেজুরের দাম কিছুটা বেশি। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, তাদের কেনা বেশি পড়ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেছে- আমদানিকারকদের কাছ থেকে তারা বেশি দামে খেজুর কিনেছে। তবে এখন পর্যন্ত আমদানিকারকদের কাছ থেকে বিষয়টি যাচাই করা হয়নি। খেজুরের দাম কেন বাড়ছে তা আমরা তদারকি করছি।

নিউজ ট্যাগ: খেজুরের দাম

আরও খবর



স্বর্ণের দাম আরেক দফা কমল

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯১ হাজার ৯৬ টাকা। সোমবার থেকে নতুন এ দর কার্যকর হবে।

রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীয়দের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সংগঠনটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার কারণে নতুন এ দর নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংগঠনটির নির্ধারণ করা নতুন দর অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৪৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৭ হাজার ১৩ টাকা। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৭৫ টাকা কমিয়ে করা করা হয়েছে ৭৪ হাজার ৫৯১ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম ৭০০ টাকা কমিয়ে ৬২ হাজার ১৬৯টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে রূপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপার এক হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রূপা এক হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রূপা এক হাজার ৪০০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির রূপা এক হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে। এর আগে চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়। এর ফলে চলতি মাসে দেশের বাজারে দুই দফায় সোনার দাম কমানো হলো। 

তার আগে অবশ্য কয়েক মাস ধরে স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। গত বছরের ৩০ ও ৪ ডিসেম্বর, ১৮ ও ১৩ নভেম্বর দেশে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি আবারও বাড়ানো হয়। তখন দেশে প্রথমবারের মতো ভালো মানের (২২ ক্যারেট) প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯০ হাজার টাকা ছাড়ায়। সপ্তাহ না ঘুরতেই ১৪ জানুয়ারি সেই রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন উচ্চতায় পৌঁছায় দাম। তখন দাম গিয়ে ঠেকে ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকায়। এভাবে গত দুই মাসে ৬ দফা বাড়ার পর দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস। ৪ ফেব্রুয়ারি স্বর্ণে দাম কিছুটা কমার পর আবার রোববার আরেক দফা দাম কমল। 


আরও খবর



বিশ্ব নারী দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ১৩৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন- প্রতিপাদ্য সঙ্গে নিয়ে আজ বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হবে নারী দিবস। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, নারী-পুরুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করা, নারীর কাজের স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য উদযাপনের উদ্দেশ্যে নানা আয়োজনে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় দিনটি।

তথ্যপ্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে নারীকে অনুপ্রেরণা জোগাতে এই বছরের নারী দিবসের স্লোগান নির্বাচন করা হয়েছে। স্লোগানের তাৎপর্য তুলে ধরে জাতিসংঘ বলছে, বর্তমানে আমাদের জীবন শক্তিশালী প্রযুক্তিগত একীকরণের উপর নির্ভর করে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যেকোনো কাজ যেমন প্রিয়জনকে কল করা, ব্যাংক লেনদেন করা বা একটি মেডিক্যাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করা সবকিছু একটি ডিজিটাল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। তা সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী ৩৭ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। পুরুষদের তুলনায় ২৫৯ মিলিয়ন নারীর ইন্টারনেটে কমপ্রবেশাধিকার রয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে যে যদি নারীরা ইন্টারনেটে ব্যবহার না করেন অথবা অনলাইনে নিরাপদ বোধ না করেন তবে তারা ডিজিটাল দুনিয়ায় জড়িত থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ডিজিটাল দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবেন না, যা তাদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত সম্পর্কিত পেশা অর্জনের সুযোগ হ্রাস করবে। ধারণা করা হচ্ছে ২০৫০ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ চাকরি এই ক্ষেত্রগুলোর সাথে সম্পর্কিত হবে। ফলে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর কম পদচারনার কারণে উন্নয়ন ও লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরই সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় নানা আয়োজন। তবে এ বছর ৮ মার্চ শবে বরাত উপলক্ষে সরকারি ছুটি। তাই কর্মসূচিতেও কাটছাঁট করা হয়েছে। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে প্রতি বছর ৮ মার্চ যে আয়োজন থাকে তা অনুষ্ঠিত হবে ৯ মার্চ।

বেলা আড়াইটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির যে প্রতিপাদ্য তা হলো- ডিজিটাল বিশ্ব হোক সবার: নারীর অধিকার সুরক্ষায় ও সহিংসতা মোকাবিলায় চাই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন বৈষম্যহীন সৃজনশীল প্রযুক্তি।

'নারীজন্ম ধন্য হোক আপনভাগ্য গড়ার অধিকারে স্লোগানে নাট্যসংগঠন স্বপ্নদলের আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে স্বপ্নদল প্রযোজনা হেলেন কেলার-এর বিশেষ মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতি বছর দিবসের প্রথম প্রহরে মোমবাতি জ্বালিয়ে আঁধার ভাঙার শপথ নেয় `আমরাই পারি' জোট। ৮ মার্চ রাত ঠিক ১২টা বেজে এক মিনিটে শহীদ মিনারে সম্মিলিতভাবে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে এই শপথ নেওয়া হয়। তবে এ বছর এই কার্যক্রম হবে না। নারীপক্ষসহ ৫২টি সংগঠন দিবসটি পালন করবে সন্তানের ওপর মায়ের অভিভাবকত্বের অধিকার প্রতিপাদ্য নিয়ে। ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় রমনা পার্কের অরুণোদয় গেটের সামনে জমায়েত হয়ে শুরু হবে পদযাত্রা।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে আজ সকাল সাড়ে দশটায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এছাড়া জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করবে।

উল্লেখ্য, এই দিনটির শুরু ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সুচ কারখানার নারী শ্রমিকেরা দৈনিক শ্রম ১২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে আট ঘণ্টায় আনা, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। আন্দোলন করার অপরাধে সেসময় গ্রেফতার হন বহু নারী। কারাগারে নির্যাতিত হন অনেকেই। তিন বছর পরে ১৮৬০ সালের একই দিনে গঠন করা হয় নারীশ্রমিক ইউনিয়ন। ১৯০৮ সালে পোশাক ও বস্ত্রশিল্পের কারখানার প্রায় দেড় হাজার নারীশ্রমিক একই দাবিতে আন্দোলন করেন। অবশেষে আদায় করে নেন দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার অধিকার। ১৯১০ সালের এই দিনে ডেনমাকের্র কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে জার্মানির নেত্রী ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই সারা বিশ্বে দিবসটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারীবর্ষে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। এর দুই বছর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। নারী দিবস হচ্ছে সেই দিন, যেই দিন জাতিগত, গোষ্ঠীগত, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক কিংবা রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রে বৈষম্যহীনভাবে নারীর অর্জনকে মর্যাদা দেবার দিন। এদিনে নারীরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাসকে স্বরণ করে এবং ভবিষ্যতের পথ পরিক্রমা নির্ধারণ করে, যাতে আগামী দিনগুলো নারীর জন্য আরও গৌরবময় হয়ে ওঠে।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩