গত ৮ আগস্ট আন্তর্জাতিক
বিড়াল দিবস মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসাও সাড়ম্বরেই পালন করেছে। বলতে গেছে বিশেষ একটা
সম্পর্ক রয়েছে নাসা এবং বিড়ালের মধ্যে। আগেই মহাকাশে একটি নীহারিকার নামকরণ করা হয়েছে
বিড়ালের সঙ্গে। সেই ক্যাটস আই নেবুলার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন বিজ্ঞানীরা।
আন্তর্জাতিক বিড়াল
দিবসেই সেই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওতে একটি শব্দ শোনা গেছে। যা ‘বিড়ালের শব্দ’ বলে দাবি করা হয়েছে। মূলত নীহারিকা থেকে
নির্গত তরঙ্গ কীভাবে শব্দে রূপান্তরিত হচ্ছে, তাই ভিডিও আকারে প্রকাশ করে দেখিয়েছেন
বিজ্ঞানীরা। মূলত স্পেস ডেটা দেখেই বিজ্ঞানীরা এই জিনিসগুলো বোঝেন। তবে সেগুলো সাধারণ
মানুষের বোধগম্য হয় না। তাই, বিজ্ঞানীরা মানুষের কাছে আরও সহজ ভাবে বিষয়টি বোঝানোর
জন্য ওই তরঙ্গকে সোনিফিকেশনে রূপান্তরিত করেছেন।
নাসার জানিয়েছে,
ক্যাটস আই নেবুলা হল একটি গ্রহের নীহারিকা। এখানে সূর্যের মতোই তারা গঠিত হয়। ভিডিওটি
দেখলেই বুঝতে পারবেন যে, শব্দতরঙ্গ যতই উজ্জ্বল আলোর দিকে এগিয়ে যায়, ততই তার শব্দ
আরও প্রকট হতে থাকে। একই সময়ে নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরির এক্স-রে ডেটাতে একটি
কর্কশ শব্দও শোনা যায়। এটি যৌগিক তরঙ্গ দৈর্ঘ্যে আরও ভাল ভাবে শোনা যায়।
ক্যাটস আই নেবুলার
অবস্থায় ঠিক কোথায়?
পৃথিবী থেকে তিন
হাজার ২৬২ আলোকবর্ষ দূরে ড্রাকোর উত্তর নক্ষত্রমন্ডলে অবস্থিত ক্যাটস আই নেবুলা। এই
নীহারিকার নামকরণ যেহেতু বিড়ালের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তাই সেখান থেকে আগত শব্দ পৃথিবীর
মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবসকেই বেছে নিয়েছে নাসা। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক
প্রাণী কল্যাণ তহবিল ২০০২ সাল থেকে প্রতি বছর ৮ অগস্ট আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবস উদযাপন
করে। এর উদ্দেশ্য হল, বিড়ালদের সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা এবং তাদের
সংরক্ষণের উপায় সম্পর্কে মানুষকে শিখতে সাহায্য করা।
নীহারিকা কী?
আমাদের সূর্যের
মতোই মিল্কিওয়েতে কোটি কোটি নক্ষত্র রয়েছে। সূর্যের মতোই কোনও নক্ষত্রের যখন জ্বলতে
জ্বলতে হিলিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়, তখনই সেটি বিস্ফোরিত হয়। এই কারণেই গ্যাস ও ধূলিকণার
মিশেলে একটি বিশাল মেঘের সৃষ্টি হয়। প্রতিবার বিস্ফোরণ ঘটলে একটি নতুন কাঠামো তৈরি
হয়। মুন অবজারভেটরির মাধ্যমে এর এক্স-রে এবং হাবল টেলিস্কোপের মাধ্যমে এর দৃশ্যমান
আলোর ছবি তোলা হয়েছে।