কয়েকদিন গ্যাস ছিল না। আজ রাতে হঠাৎ গ্যাসের চাপ বেড়ে যায়। এ সময় বাড়ির মালিকসহ নিজেরাই গ্যাস রাইজার পরিষ্কার করছিলেন। সে সময় হঠাৎ করে বিস্ফোরণ হয়ে
রাজধানীর মিরপুরে ১১ নম্বর সেকশনের একটি বাসার নিচতলায় বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্টি আগুনে শিশুসহ সাত জন দগ্ধ হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণ হয়।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন— বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলামের মা রওশনারা বেগম (৭০), ভাই শফিকুল ইসলাম (৩৫), রিনা বেগম (৫০), বাসার নিচতলার ভাড়াটিয়া নাজনীন আক্তার (২৫), তার মেয়ে নওশীন (৫), পাশের বাসার ভাড়াটিয়া রেনু বেগম (৩৫) ও পথচারী সাজ্জাদ হোসেন (৩০)।
রফিকুল ইসলাম জানান, তাদের ছয়তলা বাড়ির নিচতলায় তিতাস গ্যাসের লাইনে লিকেজ ছিল। দুদিন আগে লিকেজ মেরামত করা হলেও গত রাত ১২টার দিকে হঠাৎ বিকট আওয়াজ করে আগুন ধরে যায়। ঘটনার পরে আহতদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'মিরপুর থেকে শিশুসহ দগ্ধ সাত জনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের সবার অবস্থাই গুরুতর।'
পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, 'কয়েকদিন গ্যাস ছিল না। আজ রাতে হঠাৎ গ্যাসের চাপ বেড়ে যায়। এ সময় বাড়ির মালিকসহ নিজেরাই গ্যাস রাইজার পরিষ্কার করছিলেন। সে সময় হঠাৎ করে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে সাত জন দগ্ধ হন। পরে ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে।'
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন বলেন, 'আগুন লাগে আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিভিয়ে ফেলে।'
তিনি জানান, তারা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন গ্যাস পাইপ লিকেজ থেকে গ্যাস জমে আগুনের সংস্পর্শে আসার পরে বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়।