Logo
শিরোনাম

মিয়ানমারে বাড়ছে আফিমের উৎপাদন: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জান্তা শাসনাধীন মিয়ানমারে বাড়ছে আফিমের উৎপাদন। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০২২ সালে মোট ৭৯৫ টন আফিম উৎপদিত হয়েছে দেশটিতে। আগের বছর ২০২১ সালে দেশটিতে উৎপাদিত হয়েছিল ৪২৩ টন আফিম। ওই বছরেরই ফেব্রুয়ারি এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং সে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর গত এক বছরে মিয়ানমারে আফিমের উৎপাদন শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৪১ শতাংশ এবং গত বছর দেশটিতে যে পরিমাণ আফিম উৎপাদিত হয়েছে, তা গত ৯ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। মাদক ও অপরাধ বিষয়ক জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনাইটেড নেশন্স অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) প্রস্তুত করেছে এই প্রতিবেদনটি। ইউএনডিসির আঞ্চলিক প্রতিনিধি জেরেমি ডগলাস জানান, স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অবলম্বন করে প্রস্তুত করা হয়েছে এটি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, মিয়ানমারে আফিম উৎপাদনের সাম্প্রতিক যে উল্লম্ফণ তার সঙ্গে দেশটির বিদ্যমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের সরাসরি সম্পর্ক আছে। ২০২১ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটিতে অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও প্রশাসনগত পরিস্থিতি প্রায় ভেঙে পড়েছে এবং এই পরিস্থিতিতে আসলে দেশটির প্রান্তিক অঞ্চলের কৃষকদের সামনে আফিম উৎপাদন করা ছাড়া আর তেমন কোনো উপায় নেই। খাদ্য-বস্ত্র ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদা মেটাতেই তাদের এ কাজ করতে হচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম দামী মাদক হেরোইন এবং কোকেনের প্রধান কাঁচামাল এই আফিম। এছাড়া নেশাদ্রব্য ও ওষুধের উপকরণ হিসেবেও এটির ব্যাপক চাহিদা আছে বিশ্বজুড়ে।

ইউএনওডিসির প্রতিবেদন অনুসারে, আফিম উৎপাদনে বর্তমানে শীর্ষে আছে আফগানিস্তান, তারপরেই আছে মিয়ানমার। আগের বছর ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে দেশটিতে আফিম চাষ বেড়েছে নতুন ৪০ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে এবং বর্তমানে মিয়ানমারে প্রতি হেক্টর জমিতে গড়ে উৎপাদিত হচ্ছে ২০ কেজি আফিম।

ইউএনওডিসির মিয়ানমার শাখার ব্যবস্থাপক বেনেডিক্স হফম্যান জানান, সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে ডলারের বিপরীতে মিয়ানমারের মুদ্রা কিয়াটের মান ব্যাপকভাবে পড়ে গেছে, সেই সঙ্গে দেশটিতে বাড়ছে খাদ্য-ওষুধ ও জ্বালানির দাম। মিয়ানমারে বর্তমানে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বলতে আর কিছু অবশিষ্ট নেই, এ কারণেই বাড়ছে আফিমের উৎপাদন। যদি এই অস্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকে, তাহলে সামনের দিনগুলোতে সেখানে আফিমের উৎপাদনও বাড়বে।

নিউজ ট্যাগ: আফিম জাতিসংঘ

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩