Logo
শিরোনাম

মিয়ানমারের প্রতিনিধি নির্বাচন নিয়ে সংকটময় পরিস্থিতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৩ | ৬৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাজনীতিবিদদের সরিয়ে গত বছর সামরিক ক্যু'র মাধ্যমে মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজি) প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে চলতি মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশন ডাকা হয়েছে। এই অধিবেশনে মিয়ানমারের সরকারের প্রতিনিধি কে হবেন এবং তার কার্যক্রম কতটুকু থাকবে এ নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে।

এর মাধ্যমে দেশটির সরকার ব্যবস্থাকে এক ধরনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। অন্যদিকে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এই সরকার সামরিক শাসকের প্রভাবমুক্ত। এ নিয়ে খোদ জাতিসংঘের মধ্যেই মতেদ্বৈততা রয়েছে। সব মিলিয়ে এবারের অধিবেশনে মিয়ানমারের অংশগ্রহণ নিয়ে এক সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ায় মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্যের সরকারের প্রতিনিধি ড. তুন-অং শের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, আমন্ত্রণ জানালে জাতিসংঘকে এনইউজের প্রতিনিধি দলকে প্রত্যেক অধিবেশ ও সেশনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। এভাবে জাতিসংঘের অন্য সংস্থাগুলোতেও তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। 

তবে এ নিয়ে মিয়ানমারের অবস্থান তুলে ধরে ড. তুন-অং শে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই জাতীয় ঐক্যের সরকারকে সমর্থন দেওয়া উচিত, যে সরকার মিয়ারমারের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। তিনি আরও বলেন, এনইউজে মিয়ানমারের জনসাধারণের প্রতিনিধিত্ব করে, জাতিসংঘে মিয়ানমারের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করা সামরিক জান্তার বৈধতা নেই।

খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং সামরিক অভুত্থানের মাধ্যমে ২০২১ সালে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী অং সাং সু কিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দলটির রাজনীতিবিদদের একাংশকে নিয়ে এনইউজে গঠন করা হয়।

ক্ষমতা টিকে থাকতে সামরিক সরকার তার শাসনের বিরোধিতাকারী দমনে খড়গহস্ত হয়। তখন এনইউজে মন্ত্রণালয় সংগঠিত হয়ে জোটকে দেশে ও বিদেশে আরও সুসংহত করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও জাতি সংঘ মিয়ানমারের সামরিক এই সরকারকে সংস্থায় পুরোপুরো অংশগ্রহণ করানো থেকে এড়িয়ে চলে।

জাতিসংঘ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ঘোষণা করেছিল যে তারা মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলেছে যে দেশটির  অবনতিশীল পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সমর্থনের প্রতিক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে। এ ছাড়া এর মাধ্যমে সামরিক শাসনকে বৈধতা দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে প্রতিনিধিত্ব করা নিয়ে জাতিসংঘের কর্তা ব্যক্তিরা মারাত্মক অসংগতি খুঁজে পেয়েছেন।

মিয়ানমার অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি প্রজেক্টের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কাছে এই সমস্যাটি সমাধানের ক্ষেত্রে গুরুতর অসঙ্গতি রয়েছে। মিয়ানমারের এনইউজে সরকারকে প্রতিনিধিত্ব করার অনুমতি দিলেও, তারা কোনো শীর্ষ বৈঠকে অংশ নিতে পারবে না।

এই প্রাতিষ্ঠানিক অসংগতি মিয়ানমারের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ, জাতিসংঘে তাদের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হওয়াটা খুব দরকার ছিল। একই সঙ্গে দেশের জনগণের প্রতি সহিংস দমন ও সশস্ত্র সংঘাতের কারণে মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি দিন দিন সংকটে পড়ছে।স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনসহ জাতিসংঘের নয়টি দেশের একটি কমিটির দ্বারা সাধারণ পরিষদে অংশগ্রহণের অনুমতির সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

তবে সর্বশেষ অধিবেশনে জাতীয় ঐক্যের শরিকদের প্রতিনিধি সেনাপ্রধান কিয়াও মোয়ে তুনকে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিলেও গণহত্যার প্লট রচানাকারী হিসেবে তাকে শীর্ষ পর্যায়ের সংলাপে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে এখন কিয়াও মোয়ে তুন তার নিজের পছন্দের রাষ্ট্রদূত দিয়ে অধিবেশনে দেশটির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান।

অন্যদিকে এনইউজের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের ১৭ জন মন্ত্রীর মধ্যে ১০ জন মিয়ানমারের অংশগ্রহণ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের ওপর সামরিক সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে উদ্ভুত সমস্যা নিয়ে হার্ভাড ল স্কুলের অধ্যাপক টাইলার জিয়ানিনি বলেন, এ নিয়ে জাতিসংঘের মধ্যে বিভক্ত এবং অসম্পূর্ণ স্বীকৃতি রয়েছে।

তবে জিয়াননি বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে প্রতিনিধিত্বের ধারাবাহিকতা থাকা উচিত, যা জনগণের ইচ্ছার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। সে হিসেবে মিয়ানমার অধিবেশনে অংশ নিতে দেওয়া উচিত। তবে এই সংকট উত্তরণের জন্য একটা সমাধানে পৌঁছার দায়িত্বও জাতিসংঘের।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর