Logo
শিরোনাম

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রধান ফেসবুক পেজ বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ ফেব্রুয়ারী 20২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | ১৬৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সহিংসতা উসকে দেয়ার অভিযোগে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর একটি ফেসবুক পেজ বন্ধ করে দিয়েছে c কর্তৃপক্ষ। গালফ নিউজের খবরে বলা হয়, রবিবার কর্তৃপক্ষ ট্রু নিউজ নামে ওই পেজটি বন্ধ করে দেয়।

গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এর পরই ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে মিয়ানমারের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটির রাজধানী নেপিদো, প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনসহ বিভিন্ন শহরে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ চলছে।

মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ধীরে ধীরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে সহিংস আচরণ করতে শুরু করেছে। সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক তরুণীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার ম্যান্ডেলাই শহরে পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয়।

অং সান সুচিকে তার রাজনৈতি দল ন্যাশনাল লীগ ফল ডেমোক্রেসির (এনএলডি) অন্তত ২৪ জন নেতার সঙ্গে কাস্টডিতে নেয়া হয়েছে। সেনা সরকার সুচির বিরুদ্ধে অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা ও পরিবেশ বিপর্যয় আইনে দুটি চার্জশীট গঠন করেছে। গত নভেম্বরে ভোট কারচুপির অভিযোগে অভ্যুত্থান করা হয়েছে বলে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ বৈধ করার চেষ্টা করছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পেজ বন্ধের বিষয়ে গালফ নিউজের খবরে বলা হয়, ওই ফেসবুক পেজে গত নভেম্বরে সুচি ভোট জালিয়াতি করে জয় পেয়েছে দাবি করা হয়। এছাড়া পেজটিতে বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখানো হয়।

ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেন, ট্রু নিউজ ইনফরমেশনটি টিম পেজটি কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘন করার জন্য ডাউন করা হয়েছে। পেজটির মাধ্যমে সহিংসতা উসকে দেয়া হচ্ছিল বলেও জানান তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট সাম্প্রতিক বছরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত শত শত পেজ নিষিদ্ধ করে। ওইসব পেজে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিয়ে বিদ্বেষমূলক পোস্ট করা হচ্ছিল। ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রেহিঙ্গাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায়। বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী প্রায় ১০ রাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

জাতিসংঘ রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনা তদন্ত করে। সংস্থাটির তদন্তে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গণহত্যা সংগঠিত করেছে উঠে আসে এবং তাদের বিচারের মুখোমুখী করার সুপারিশ করা হয়। এরপর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মিয়ামনারের সেনাবাহিনী প্রধান মিন অং হ্লাইং এবং শীর্ষ কিছু সেনা কর্মকর্তাকে ফেসবুক প্লাটফর্ম থেকে বিতাড়িত করে। এছাড়া ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহরত সশস্ত্রগোষ্ঠী এবং কট্টরপন্থি বৌদ্ধ যারা মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা উসকে দিচ্ছিল তাদেরও নিষিদ্ধ করে।


আরও খবর