Logo
শিরোনাম

`মিয়ানমারকে অস্ত্র তৈরিতে সহায়তা করছে ভারত,যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৩ দেশ'

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ভারত, জাপানসহ বিশ্বের অন্তত ১৩টি দেশের কোম্পানি অস্ত্র তৈরিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে সহায়তা করছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। জাতিসংঘের এক সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। 

এতে বলা হয়, মিয়ানমারের যেসব নাগরিক সেনাবাহিনীর বিরোধিতা করে, তাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালাতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী স্বদেশে উৎপাদিত অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে। এর পর থেকে দেশটিতে সহিংসতা চলছে।

সম্প্রতি জাতিসংঘের দেওয়া মিয়ানমার-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে সংস্থাটির বিশেষ উপদেষ্টা পরিষদ বলেছে, জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। তবে এটিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী নিজেরাই বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তৈরি করতে পারে এবং সেসব অস্ত্র বেসামরিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশগুলো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে কাঁচামাল, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহ করে। ফলে দেশে উৎপাদিত অস্ত্র মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষায় ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক ইয়াংহি লি বলেছেন, মিয়ানমারে কখনোই কোনো বিদেশি রাষ্ট্র আক্রমণ করেনি। এমনকি মিয়ানমার কোনো দেশে অস্ত্র রপ্তানি করে না। ১৯৫০ সাল থেকে দেশটি নিজের জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য নিজেরাই অস্ত্র তৈরি করছে।

মিয়ানমারের সরকারি হিসাবমতে, সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক বাহিনীর হাতে ২ হাজার ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছে। তবে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ১০ গুণ বেশি বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা। সামরিক অভ্যুত্থাপের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তারপরও দেশটির শাসকদের জন্য স্নাইপার রাইফেল, বিমান বিধ্বংসী বন্দুক, ক্ষেপণাস্ত্র, গ্রেনেড, বোমা, ল্যান্ডমাইনসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তৈরি করতে সমস্যায় পড়তে হয়নি।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনটিতে ইয়াংহি লির সহলেখক ছিলেন ক্রিস সিডোতি ও মারজুকি দারুসমান। তাঁদের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র সাবেক সেনাদের সাক্ষাৎকার, অস্ত্র কারখানার স্যাটেলাইট চিত্র ও সামরিক নথি ফাঁস করেছে। ২০১৭ সালে তোলা ছবিগুলো প্রমাণ করে, সেনা অভ্যুত্থানের আগেও দেশে তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।  ক্রিস সিডোতি বলেছেন, সম্প্রতি সাগাইং অঞ্চলে একটি স্কুলে বোমা হামলা হয়েছে এবং অনেক শিশু নিহত হয়েছে। ওই হামলার পর ঘটনাস্থলে যে অস্ত্রগুলো পাওয়া গেছে, সেসব দেশীয় কারখানায় তৈরি বলে স্পষ্টভাবে শনাক্ত করা গেছে।

জাতিসংঘের বিশেষ উপদেষ্টা পরিষদ বলছে, অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত কিছু সরঞ্জাম অস্ট্রিয়া থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অস্ট্রিয়ার জিএফএম স্টেয়ার যে অস্ত্রগুলো সবরাহ করেছে, সেগুলো বিভিন্ন সময়ে বিদ্রোহ দমন করকে সেনাবাহিনী ব্যবহার করেছে। 

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্রগুলো যখন রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়, তখন তাইওয়ানে পাঠানো হয়। সেখানে জিএফএম স্টেয়ারের প্রযুক্তিবিদেরা অস্ত্রগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করেন বলে জানা গেছে। তবে অস্ট্রিয়ার প্রযুক্তিবিদেরা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গিয়ে কাজ করেন কি না, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। জাতিসংঘের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে তারা জিএফএম স্টেয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু তারা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

প্রতিবেদনের লেখকেরা স্বীকার করেছেন যে তাঁরা অস্ত্র উৎপাদন নেটওয়ার্কের একটি ভগ্নাংশ উন্মোচন করেছে। তাঁরা মনে করছেন, বেশ কয়েকটি দেশ মিয়ানমারের অস্ত্র উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। চীন ও সিঙ্গাপুর থেকে কাঁচামাল নিয়ে মিয়ানমারে অস্ত্র উৎপাদন করা হচ্ছে বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এসব কাঁচামালের মধ্যে তামা ও লোহা রয়েছে। ভারত ও রাশিয়া বৈদ্যুতিক ডেটোনেটরের মতো সরঞ্জাম সরবরাহ করে থাকে। এ ছাড়া অস্ত্র কারখানার অন্যান্য যন্ত্রপাতি জার্মানি, জাপান, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে বলে জানা গেছে। ইসরায়েল ও ফ্রান্স থেকে প্রযুক্তিগত যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার আসে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুর একটি ট্রানজিট হাব হিসেবে কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলো মিয়ানমারের সামরিক ক্রেতা এবং বহিরাগত সরবরাহকারীদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে থাকে। কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার শিকার হলেও তারা কখনো অস্ত্র উৎপাদন বন্ধ করেনি। কারখানার সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ১৯৮৮ সালে দেশটিতে মাত্র ছয়টি অস্ত্র কারখানা ছিল। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে ২৫টি হয়েছে।

ক্রিস সিডোটি বলেছেন, মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা খুব একটা কাজে আসেনি। অন্যদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। ফলে অনেক কোম্পানির জন্য নিষেধাজ্ঞা এড়ানো সহজ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমার অন্য দেশে অস্ত্র রপ্তানি করে না। তবে ২০১৯ সালে থাইল্যান্ডের একটি অস্ত্র বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র প্রদর্শন করেছিল মিয়ানমার।

নিউজ ট্যাগ: মিয়ানমার

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর