বেঁচে থাকার লড়াইয়ে
দুশ্চিন্তা কিংবা অ্যাংজাইটির মতো সমস্যা এখন বিশ্বব্যাপী। মনের ভেতর অস্থিরতা কাজ
করলে তার প্রভাব শরীরে পড়বেই। এই চাপ নিয়ন্ত্রণে মেডিটেশনের পাশাপাশি কিছু খাবার খেতে
হবে। জেনে নিন সেসব খাবার সম্পর্কে-
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার :
সাইট্রাস এবং
বেরি জাতীয় খাবারে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। মন থেকে অস্থিরতা তাড়িয়ে মন
শান্ত করতে খেতে পারেন এ জাতীয় খাবার। সেইসঙ্গে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রাখুন তালিকায়।
পাশাপাশি ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- কুমড়ো, তরমুজ এবং ফ্ল্যাক্স সিড ইত্যাদি খেতে
পারেন। এসব খাবার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, কমায় বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা।
ডার্ক চকলেট ও হলুদ দুধ :
চকলেট খেতে ভালোবাসেন
না এমন মানুষ কমই আছে। কিন্তু সেই চকলেট যেন ডার্ক হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কারণ,
এই চকলেট আপনার মন শান্ত করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি পান করুন হলুদ মিশ্রিত দুধ। দুধে
থাকে ভিটামিন ডি এবং হলুদে পাবেন কারকিউমিন। এগুলো হলো অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি। এসবে
যেহেতু অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান রয়েছে, তাই এগুলো আপনার মস্তিষ্ক শান্ত রাখতে
সাহায্য করবে।
ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার :
প্রতিদিনের খাবারে
সব ধরনের ভিটামিনের উপস্থিতি নিশ্চিত করুন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন বি
আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের ওপর বিশেষ প্রভাব রাখতে পারে। তাই নিয়মিত ভিটামিন বি সমৃদ্ধ
খাবার রাখুন তালিকায়। যেমন- মাছ, ডিম এবং বিভিন্ন সবজি খেতে পারেন। এ ধরনের খাবার আপনার
অ্যাংজাইটি কমিয়ে দেবে।
প্রোবায়োটিক্স এবং ভালো ফ্যাট :
আমাদের পেটের
স্বাস্থ্য ভালো রাখে প্রোবায়োটিক্স। তবে শুধু পেটই নয়, এটি মন শান্ত রাখতেও সাহায্য
করে। প্রতিদিন খাবারের তালিকায় প্রোবায়োটিক্স রাখলে বাড়ে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই আপনার
খাবারে প্রোবায়োটিকের পাশাপাশি যোগ করুন ভালো ফ্যাটও। হতে পারে তা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি
অ্যাসিড। বিভিন্ন ধরনের মাছ, ফ্ল্যাক্স সিড, বাদাম ও নারিকেল তেলে পেতে পারেন এই ফ্যাট।
অন্ত্র এবং গাট এর ব্যাকটেরিয়া সেরোটোনিনের মতো হরমোন নিঃসরণ করে। এই হরমোন আমাদের মেজাজের ওপর প্রভাব ফেলে। তাই নিয়মিত প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খেলে তা আপনার মস্তিষ্কেও প্রভাব ফেলবে। নিয়মিত টক দই রাখুন পাতে। এটি আপনার মন শান্ত রাখবে।