দেশের উপকূলের
দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। যা মোকাবিলায় এরই মধ্যে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন, মোংলা
বন্দর কর্তৃপক্ষ, সুন্দরবন বিভাগ ও কোস্টগার্ড ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। মোংলা
সমুদ্র বন্দরে জারি করা হয়েছে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত। বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে।
সকাল থেকে বাগেরহাট জেলাজুড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন
আয়ের মানুষ।
এদিকে, বাগেরহাটের
উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসার খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বাগেরহাটে প্রস্তুত রাখা
হয়েছে ৩৪০টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ স্বেচ্ছাসেক ও মেডিকেল টিম। রবিবার বিকালে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়
সিত্রাং মোকাবিলায় দুর্যোগ প্রস্তুতি সভা করেছে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন।
দুর্যোগ প্রস্তুতি
সভায় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঘড়ে রূপ নিতে যাওয়া
সিত্রাং মোংলা বন্দর থেকে ৭৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৪০টি
আশ্রয় কেন্দ্র। দূর্যোগের সময়ে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ২ লাখ ৮ হাজার ৪৩০ জন আশ্রয় নিতে
পারবে। প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে নগদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও দুইশো ৯৮ মেট্রিক টন চাল
মজুদ রয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের
হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় মোংলা বন্দর
প্রস্তুত রয়েছে। এই মুহূর্তে সার, কয়লা, গ্যাস ও সিমেন্টের কাঁচামাল ক্লিংকারসহ বন্দরে
১৩টি বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। সেসব জাহাজে স্বাভাবিক নিয়মেই কাজ চলছে। সংকেত
বাড়লে পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মোংলা কোস্টগার্ড
পশ্চিম জোন জানিয়েছে, সাম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতামূলক প্রস্তুতি হিসেবে সকল ফিশিং
ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয় নিতে নির্দেশ দেয়ার পাশাপশি কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহকে প্রস্তুত
রাখা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে মোংলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান অমরেশ চন্দ্র ঢালী জানান,
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভোর থেকে বাগেরহাটসহ উপকূল জুড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
আগামীকাল ও পরশু মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। এছাড়া নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে
৫ ফুট পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।