Logo
শিরোনাম

মৌলভীবাজারের সাপের রাজ্যে বিষের চিকিৎসা কতদূর!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ২০৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা মৌলভীবাজারের বনাঞ্চলে বেড়েছে সাপের সংখ্যা। পাওয়া গেছে ৫২ প্রজাতির সরিসৃপের অস্তিত। প্রায় ঘটছে সর্প ধ্বংসনের ঘটনা। ইতিমধ্যে মারাও গেছেন একজন। সাপের কামড় খেয়েছেন আরো অনেকে। সাপের এমন উপদ্রব থাকলেও এই জেলায় নেই কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা। বিষধর সাপ কামড়ালে দ্রুত অ্যান্টিভেনম নেওয়ার ব্যাপারে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিলেও বন ও চা বাগান অধ্যূষিত এ জেলায় নেই সেই সুযোগ।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য মতে, দেশে ২৭টি বিষধর সাপসহ ৭৯ প্রজাতির সাপের সন্ধান পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ৫২ প্রজাতির সরিসৃপের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে মৌলভীবাজারে। যেগুলোর বেশিভাগের অস্তিত্ব লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সহ মৌলভীবাজারের বিভিন্ন বনে রয়েছে।

চিকিৎসকদের মতে, বিষাক্ত সাপ কামড়ালে দ্রুত এন্টিভেনম দিতে হয়। না হলে সাপে কামড়ানো ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব নয়। কিন্তু মৌলভীবাজার জেলার হাসপাতালে নেই সেই এন্টিভেনম গ্রহনের সুযোগ। তাই সাপে কামড়ানো ব্যক্তিকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সেখান থেকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌছাতে অন্তত দুই/তিন ঘন্টা সময় প্রয়োজন। ততক্ষনে সাপে কামর খাওয়া ব্যাক্তির পুরো রক্তে বিষক্রিয়া ছড়িয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

বনবিভাগ সুত্রে জানা যায়, সম্প্রতি প্রচুর পরিমানে সাপ মৌলভীবাজারের পাহাড়ী এলাকায় বিশেষ করে শ্রীমঙ্গলের দোকান, বাড়ি, বাজার ও গাড়ি থেকে উদ্ধার হচ্ছে। সাপের কামড়ে তিনজন এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। সর্বশেষ গত ২৪ জুলাই শ্রীমঙ্গল নোয়াগাঁও গ্রামে সাপের কামড়ে ৮ বছরের এক শিশু আহত হয়েছে। ২৩ জুলাই শ্রীমঙ্গল ডুলুছড়া এলাকায় একটি দোকানের আলমারি থেকে বিশাল একটি দাঁড়াশ সাপ উদ্ধার করা হয়। ১৯ জুলাই শ্রীমঙ্গল জেরিন চা বাগান থেকে ৩টি জীবিত ও ২টি মৃত সাপ উদ্ধার করা হয়। যার কামরে একজন মারা যান। ৫ জুলাই শ্রীমঙ্গল এম আর খান চা বাগানে সাপের কামড়ে আহত হন চা শ্রমিক প্রবাসী নেপালী। ১১ জুলাই শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কাঁচা বাজারের ২য় তলা থেকে ও ১০ জুন শ্রীমঙ্গল নতুন বাজার কাঠালবাহী জীপ গাড়ি থেকে বিপন্ন প্রজাতীর দুটি আইড ক্যাট সাপ উদ্ধার করা হয়।

চলতি বছর অসংখ্যা সাপ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে বলে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল বলেন, জীবনের ঝুকি নিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে সাপ উদ্ধার করে যাচ্ছি। গত বছর কুলাউড়ায় সাপের কামড়ে চা শ্রমিকসহ দুই নারী মারা যান। প্রায়ই সাপের কামড়ের শিকার হচ্ছে এ জেলার মানুষ।

শ্রীমঙ্গলের জেরিন চা বাগানের ব্যবস্থাপক সেলিম রেজা চৌধুরী জানান, তার বাগানের এক শ্রমিককে বিষধর সাপে কাটার পর শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার হাসপাতাল ঘুরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। কিন্তু পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়। যদি মৌলভীবাজারে এর ব্যবস্থা থাকত তাহলে হয়ত তাকে বাঁচানো যেত।

সাপে কাটা চিকিৎসার ব্যবস্থা না হওয়ায় আক্ষেপ করে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সিতেশ রঞ্জন দেব জানান, বহুদিন ধরে মৌলভীবাজারে সাপে কাটার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হলেও কোনো কাজ হয়নি। শুধু বন-জঙ্গলেই নয় ইঁদুর খেতে বাড়িঘরেও প্রচুর সাপ চলে আসে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শ্রীমঙ্গলের সহকারী বন সংরকক্ষ শ্যামল কুমার মিত্র জানান, এ এলাকায় বিষাক্ত সাপে কাউকে কামড় দিলে সিলেট পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে বাঁচানো সম্ভবনা। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করা হবে।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, এক গবষেণায় ৫২ প্রজাতির সরিসৃপের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এসব সাপের মধ্যে লাউয়াছড়া বনে অজগর, কিং কোবরা, দাঁড়াশ, আইড ক্যাট স্নেক, সবুজ বোড়া, লাউডগা, কালনাগিনী, দুধরাজ, ঢোঁড়া, হিমালয়ান ঢোঁড়াসহ ৩৯ প্রজাতির সাপের সন্ধান পাওয়া যায়। অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন সাপের সংখ্যা বেড়েছে। বনকর্মীরা টহলে গিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন প্রজাতির সাপ দেখতে পান।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে দায়িত্ব প্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা: বিনেন্দু ভৌমিক জানান, মৌলভীবাজারে সাপে কামরের এনন্টিভেনম নেই। এ ভেনম প্রদানের বেশ কৌশল রয়েছে, প্রশিক্ষন ছড়া এটি দেয়া সম্ভব না। এর জন্য জনবল প্রয়োজন। আইসিউ বেড থাকলে ভালো। কারন এ এন্টিভেনম প্রদানের সময় এনাফাইলেকটিক শক হয়ে (বিরুপ প্রতিক্রিয়া) রোগী মারা যেতে পারেন।

এ ব্যপারে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা: জালাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, মৌলভীবাজার জেলায় সম্প্রতি সাপের কামড় ও উপদ্রবের বিষয়টি তিনি অবগত রয়েছেন। ইতিমধ্যে অনলাইনে সাপে কামড়ের ব্যাবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষন দেয়া হয়। বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরাও এতে অংশ নেন। মৌলভীবাজারে সাপের কামড়ের চিকিৎসা চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে জানান।



আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর