Logo
শিরোনাম

মরিয়ম মান্নান ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করার দাবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১০৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আলোচিত মরিয়ম মান্নান, তার মা রহিমা বেগম ও পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে তাদের করা অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের পরিবার। একই সঙ্গে মরিয়ম মান্নানদের করা হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিও জানান তারা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন মরিয়ম মান্নানদের করা মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে রহিমা অপহরণ মামলার আসামি মো. মহিউদ্দীনের নবম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ে মালিহা মাহি। সংবাদ সম্মেলনে অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, মো. মহিউদ্দিন, রফিকুল ইসলাম ওরফে পলাশ, নুরুল আলম ওরফে জুয়েল এবং হেলাল শরীফের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  তাদের সবার বাড়ি খুলনা পৌর শহরের দৌলতপুরের থানাবাড়ি এলাকায়।

সংবাদ সম্মেলনে মালিহা মাহি বলে, খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা খানাবাড়ির রহিম বেগম নিখোঁজ হওয়ার ২৯ দিন পর উদ্ধার হয়। রহিমার উদ্ধারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মরিয়ম মান্নানসহ তার পরিবার কথিত অপহরণের নাটক মঞ্চস্থ করেছেন। কিন্তু আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত যে, অপরাধ করেও পুলিশ প্রশাসনসহ নিরপরাধ ব্যক্তিদেরকে এখনো পর্যন্ত তারা হয়রানি ও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যাচ্ছেন।

মাহি বলে, অপহরণের নাটক সাজানো রহিমা বেগম ও তার মেয়ে মরিয়মসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। রহিমার মেয়ে আদুরী আক্তার বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় যে মামলা করেন, তাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। মামলায় প্রতিবেশী খানাবাড়ি এলাকার মো. মহিউদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, রফিকুল ইসলাম পলাশ, মো. জুয়েল, হেলাল শরীফ অপহরণ করতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়।

সে বলে, তবে রহিমা বেগমের বাড়ির চারপাশে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে র‌্যাব-৬ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা একাধিকবার পাঁচজনকে ডেকে নিয়ে কয়েকদফা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ না পেয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার এক সপ্তাহ পর মরিয়ম মান্নান প্রভাব খাটিয়ে দৌলতপুর থানা-পুলিশকে দিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করান।

মালিহা মাহি বলেন, নিখোঁজের ২৯ দিন পর গত ২৪ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুরে রহিমা বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়া কুদ্দুস মোল্লার গ্রামের বাড়ি থেকে রহিমাকে জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রশাসন। উদ্ধারের সময় তার কাছ থেকে ব্যবহারের যেসব কাপড়-চোপড়, ওষুধ ও প্রসাধনীসামগ্রী উদ্ধার করা হয়, তা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলেছে যে, তিনি অপহরণ না-ও হতে পারেন। তারা বলেছেন যে কেউ অপহৃত হলে কীভাবে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ব্যাগে করে নিয়ে যান?

মাহি বলে, রহিমা বেগম ফরিদপুরে যে এলাকায় ছিলেন, সেখানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জন্মনিবন্ধন বানাতে গিয়েছিলেন। আমরা মনে করি, রহিমা বেগম নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পরিবর্তন করে ময়মনসিংহের ফুলপুরে অজ্ঞাত যে নারীর মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল, ওই মরদেহের পরিচয় দেওয়ার জন্যই জন্মনিবন্ধন আনতে গিয়েছিলেন। এখান থেকে আবার নতুন করে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল।

লিখিত বক্তব্যে গ্রেপ্তার মহিউদ্দিনের মেয়ে মালিহা মাহি বলে, রহিমা বেগম এর কাছে কোনো মোবাইল ফোন ছিল না। তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে খুলনায় না এসে কেন ফরিদপুর গেলেন? রহিমা বেগমের ছেলে মিরাজের মোবাইল নম্বরে ফরিদপুর থেকে কল করে জানানো হয় তার মা ফরিদপুরে আছেন। অথচ মিরাজের স্ত্রী মৌ ইসলাম কল রিসিভ করে এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে চান না বলেও জানান। কেন মিরাজের স্ত্রী বিষয়টি প্রশাসন ও মরিয়ম মান্নানকে জানাননি?

মাহি অভিযোগ করে, উদ্ধারের পর রহিমা প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সামনে মুখ বন্ধ রেখে রহস্যজনকভাবে নির্বাক থাকেন। পরে রহিমা বেগম যার জিম্মায় ছিলেন, সেই নারী পুলিশ কর্মকর্তা দোলা দে জানিয়েছেন, রহিমা তার মেয়ে ও স্বামীর কাছে যেতে চান না। কিন্তু মেয়েদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পরই তিনি তার বক্তব্য পাল্টে ফেলেন। পরে আদালত থেকে মেয়ের সঙ্গেই তিনি বাড়ি চলে গেছেন। এ থেকে স্পষ্ট রাহিমা বেগম তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে নতুন নাটক করছেন।

আদালতে রহিমা বেগমের দেওয়া জবানবন্দি প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রহিমা বেগম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন যে, তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। স্ট্যাম্পে সই করানোর কথা বলা হয়েছে। এটাও নতুন ষড়যন্ত্র বলে মনে করছি আমরা।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মালিহা মাহি বলে, রহিমা বেগম, তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান ও আদুরী আক্তারসহ অপহরণ নাটক ও মিথ্যা মামলা দিয়ে পাঁচজনকে জেল খাটানোয় জড়িতদের বিরুদ্ধে তারা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

রহিমা বেগম অপহরণ মামলায় গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন খানাবাড়ি এলাকার মো. মহিউদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, রফিকুল ইসলাম পলাশ, মো. জুয়েল ও হেলাল শরীফ।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর