মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-আদর্শ বাস্তবায়ন করে
দেশের মানুষের জীবনকে উন্নত ও সুন্দর করার অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। বুধবার (০২ মার্চ) ‘জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি)’ সভার (ভার্চ্যুয়াল)
সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত
হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বজন
হারানো বেদনা নিয়েই একটা লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি, যে আদর্শ নিয়ে আমার বাবা স্বাধীনতা
এনে দিয়েছিলেন সেটা আমাকে বাস্তবায়ন করতেই হবে। এটাই আমার প্রতিজ্ঞা। এই একটা জায়গায়
আমি বলবো আমাকে করতেই হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য
আর্থ-সামাজিক উন্নতি নিশ্চিত করা, বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে উন্নত করা। বাংলাদেশের
মানুষের জীবন যেন সুন্দর হয়, সম্মানজনক হয়, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলতে পারে এটাই
হচ্ছে আমার একমাত্র লক্ষ্য।
করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে যখন সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা তখনও আমরা আমাদের অর্থনৈতিক সচল রাখতে পেরেছি। সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি। এই অতিমারির সময়ও সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন।
গত ১৩ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে
ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, উন্নয়নশীল দেশ
হিসেবে এগিয়ে যাবো, ভবিষ্যতে উন্নত দেশ হবো। এইটুকু বলতে পারি এখন আর বাংলাদেশকে মানুষকে
কেউ আর করুণার চোখে দেখে না। সম্মানের চোখে দেখে।
৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর
জন্মদিন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসসহ ঘটনাবহুল এই মাসের তাৎপর্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই মাসটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
এই মাসেই জন্ম নিয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান। যিনি আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্ম-মর্যাদা দিয়েছেন।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গঠনে জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা
পরিকল্পনা নিয়েছি এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা জাতির পিতা শেখ মুজিবের আর্দশ নিয়েই
কিন্তু আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।