কাশিমপুর কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যুতে কারা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি আছে কি-না, তা তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের নবনির্মিত কার্যালয় উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘মুশতাক আহমেদ বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানিকর লেখা লিখতেন। এ জন্য তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটা মামলা ছিল। সর্বশেষ ২০২০ সালে দায়ের হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় বৃহস্পতিবার মৃত্যুবরণ করেন। তবে তার মৃত্যুতে কারা কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি আছে কি-না তা তদন্ত করা হবে।’প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার লেখক মুসতাক আহমেদ গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা গেছেন।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জানান, সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মুসতাক আহমেদ কারাগারে মাথা ঘুরে পড়ে যান। দ্রুত তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৮টা ২০ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১১/২৫(১)(খ)/৩১/৩৫ মামলা রুজু ছিল। ২০২০ সালের আগস্ট মাস থেকে তিনি এ কারাগারে বন্দি ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ মে কার্টুনিস্ট কিশোরকে কাকরাইল ও লেখক মুসতাক আহমেদকে লালমাটিয়ার বাসা থেকে আটক করে র্যা বের একটি দল। এরপর তাদের রমনা থানায় হস্তান্তর করা হয়। ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেয়ার অভিযোগে রমনা থানায় তাদের দুই জনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।