Logo
শিরোনাম

মূল্যস্ফীতির চাপে কষ্টে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১১০০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দ্রব্যমূল্য। চাল, ডাল, আটা, চিনি, ভোজ্যতেল, ডিম ও পেঁয়াজের মতো ভোগ্যপণ্যের পাশাপাশি নিত্যব্যবহার্য সাবান, সোডা ও টুথপেস্টের মতো পণ্যসামগ্রীর দামও বাড়ছে। ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা বৃদ্ধির পথে। ওয়াসা পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। জুনেই বেড়েছে গ্যাসের দাম। বিদ্যুতের দামও বাড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে একের পর এক সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে দিশাহারা সীমিত আয়ের মানুষ। আয় না বাড়লেও ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। যার সঞ্চয় নেই, জীবননির্বাহ করতে গিয়ে তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। দুর্বিষহ হয়ে উঠছে জনজীবন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ, যে কোনো জ্বালানির দাম বাড়লে সেই প্রভাব সামষ্টিক অর্থনীতিতে ৯ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে। এ সময় দেশে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি ঘটবে। এর পর পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়ে আসে। মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের সঞ্চয় হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি উঠে আসে সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের তথ্যে। সংস্থাটির হালনাগাদ তথ্যমতে, মার্চ থেকে মে পর্যন্ত তিন মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কমেছে ৪ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা। ২০২১ সালে এই তিন মাসে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি হয়েছিল ৭ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। মূল্যস্ফীতির কারণে ২০২২ সালের একই সময়ে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা। গত মার্চে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয় ১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার, আগের বছরের একই সময়ে নিট বিক্রি ছিল ৩ হাজার ৮৯১ কোটি টাকার। এপ্রিলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি আগের বছরের তুলনায় কম হয়েছে ৫১১ কোটি টাকা। মে মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রির পরিমাণ ৬৩৯ কোটি টাকা, যা আগের বছরে একই মাসে ছিল ২ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা। মে মাসে সঞ্চয় কমেছে ১ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতির কারণে অনেকে সঞ্চয় ভেঙে খেয়েছেন। নতুন করে সঞ্চয় করতে পারেননি।

করোনার ধাক্কা পুরোপুরি সামাল দেওয়ার আগেই এখন মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় নতুন লড়াই শুরু করেছেন দেশের মানুষ। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর পরিবহন খরচ কয়েকগুণ বেড়েছে। যাত্রীবাহী বাসের নির্দিষ্ট ভাড়ার চেয়ে দেড় থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে পরিবহন শ্রমিকরা। কৃষি ও শিল্পপণ্যের উৎপাদনখরচ বেড়ে যাওয়ায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবির তথ্যমতে, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর শতভাগ ভোগ্য ও নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। অর্থমন্ত্রীও দ্রব্যমূল্য বাড়ার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেছেন।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ: দ্রব্যমূল্য কমাতে এ মুহূর্তে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সেটি আর সম্ভব হচ্ছে না। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে দিশাহারা মানুষ। এ কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়েও এ মুহূর্তে ভাবা হচ্ছে না। যদিও চলতি বাজেটে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে তিন মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের ওপরে রয়েছে। এ হার গত ৮-৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সর্বশেষ জুলাইয়ে পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্যসূচকে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। খাদ্যসূচকে গত বছরের একই মাসের চেয়ে বেড়েছে ৩ দশমিক ১১ শতাংশীয় পয়েন্ট। আর জুলাইয়ে খাদ্যবহির্ভূত সূচকে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এ সূচকে এক বছরে বেড়েছে মাত্র ৪৯ শতাংশীয় পয়েন্ট। জ্বালানি তেল ও পরিবহন ভাড়া খাদ্যবহির্ভূত সূচকের মধ্যে পড়ে। ফলে এখন এ সূচকে বাড়তি চাপ তৈরি হবে, পাশাপাশি খাদ্যের দামও বাড়বে জ্বালানি তেলের কারণে। ফলে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ৯ মাসের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এ কারণে গরিব মানুষের কথা চিন্তা করে স্বল্পমেয়াদি বেশকিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন জানান, করোনার পর অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। ইদানীংকালে এমন কিছু ঘটেনি যে, সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমবে। এতে বোঝা যায় মানুষের আয় কমেছে মূল্যস্ফীতির কারণে। আর মানুষ ঋণ করছে ঘাটতির কারণে। গত এক বছরে যা ঘটেছে সব মূল্যস্ফীতির কারণে। ফলে সঞ্চয় কমে যাওয়া এবং ঋণ বৃদ্ধি পাওয়া দুটো সূচকই মূল্যস্ফীতির কারণে হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, কোভিডের কারণে অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে। এর সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে সরবরাহ চেইন বাধাগ্রস্ত হয়েছে, মূল্যস্ফীতি ঘটছে। জিডিপির অনুপাতে গত কয়েক বছরে সঞ্চয়ের পরিমাণ কমেছে। আর ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ দীর্ঘদিন ধরেই স্থবির ছিল। সঞ্চয় কমে যাওয়ায় বিনিয়োগের ওপরও বড় ধরনের চাপ পড়বে। তা হলে বেকারত্ব বেড়ে যাবে। প্রাক-কভিডকালে আনুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান ঋণাত্মক ছিল। করোনার আগেই শিল্প খাতে কর্মসংস্থান ঋণাত্মক ছিল। অর্থাৎ একধরনের বিশিল্পায়ন হচ্ছে। অন্যদিকে কৃষি খাতে জনসংখ্যার তুলনায় চাল ও গমের উৎপাদন বাড়ছে না। ফলে খাদ্য নিরাপত্তায় বড় রকমের চাপ তৈরি হচ্ছে। কোভিডকালে দেখা গেছে বাইরের ধাক্কা সহ্য করার ক্ষমতা কম। ফলে করোনাকালে এ অভিঘাতে দেশে নতুন করে দারিদ্র্য তৈরি হয়েছে। সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি না থাকায়, প্রকৃত মজুরি না বাড়ায় এবং অধিকাংশ মানুষ অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত হওয়ায় দ্রব্য মূল্য বেড়ে যাওয়ায় জীবনযাত্রার ব্যয়নির্বাহের সংকট চলছে।

নিউজ ট্যাগ: মূল্যস্ফীতি

আরও খবর

আতশবাজির আলোতে ঝলমলে রাজধানী

রবিবার ০১ জানুয়ারী ২০২৩

রসগোল্লার জন্মদিন আজ

মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর