Logo
শিরোনাম

নাইজেরিয়াও এখন শ্রীলংকার পথে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ জুন 2০২2 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রায় ২০ কোটি নাগরিকের দেশ নাইজেরিয়াকে ধরা হয় আফ্রিকার সবচেয়ে বড় অর্থনীতি হিসেবে। দেশটির ঋণের বোঝা এখন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আইএমএফের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষে দেশটির মোট রাজস্ব আয়ের ৯২ শতাংশই প্রয়োজন হবে ঋণ পরিশোধে। চার বছরের মধ্যেই দেশটির সরকারের মোট আয় ও ঋণ পরিশোধে ব্যয় দাঁড়াতে পারে সমান পর্যায়ে। নাইজেরিয়ায় বেকারত্বের সমস্যা দিনে দিনে আরো প্রকট হয়ে উঠেছে। প্রতি বছরই বিপুলসংখ্যক তরুণ দেশটির শ্রমশক্তির অংশ হচ্ছে। কর্ম জুটছে না তাদের অনেকেরই। শুধু তরুণ নয়, দেশটির গোটা শ্রমশক্তির এক-তৃতীয়াংশই এখন কর্মহীন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এখন মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ শতাংশে। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে। অর্থনীতির প্রায় সব সূচকেই দেশটির পারফরম্যান্স খুবই খারাপ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের আশঙ্কা, শ্রীলংকার মতোই দ্রুত দেউলিয়াত্বের পথে হাঁটছে নাইজেরিয়া। কোভিডসহ নানা কারণে কয়েক বছর ধরেই মন্দা ও শ্লথতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে নাইজেরিয়ার অর্থনীতি। চলতি বছরের শুরুতে এ পরিস্থিতি থেকে কিছুটা পরিত্রাণের আভাস থাকলেও ইউক্রেন যুদ্ধ দেশটির জন্য পরিস্থিতিকে আরো কঠিন করে তুলেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শ্রীলংকার সংকটেরই পুনরাবৃত্তি ঘটছে নাইজেরিয়ায়। দেশটির রিজার্ভ এখন দ্রুতগতিতে কমে আসছে। নাইজেরীয় মুদ্রা নায়রার ক্রমাগত অবমূল্যায়ন ঠেকাতে সম্প্রতি এর বিনিময় হার শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয় দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ক্রমবর্ধমান আমদানির সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ও দেশটির রিজার্ভের পরিমাণ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। তবে এ উদ্যোগেও খুব একটা লাভ হয়নি। মুদ্রাবাজারে নায়রার বিনিময় হারে পতন অব্যাহত রয়েছে।

দেশটি ২০২২ সাল শুরু করেছিল তুলনামূলক শক্তিশালী রিজার্ভ নিয়ে। গত জানুয়ারির শুরুতে নাইজেরিয়ার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এরপর কিছুদিন তা নিম্নমুখী ছিল। মধ্যে দেশটির প্রধান রফতানি পণ্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় রিজার্ভের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছিল। এখন তা আবারো ফিরে এসেছে নিম্নমুখী ধারায়। বর্তমানে দেশটিতে রিজার্ভের পরিমাণ ৩৮ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। রিজার্ভ নিয়ে দেশটির শিগগিরই বিপদে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও সার্বিক পরিস্থিতি উদ্বিগ্ন করে তুলছে বিশেষজ্ঞদের। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, শিগগিরই কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়া হলে নাইজেরিয়ার চলমান অর্থনৈতিক সংকট ভয়াবহ পরিণতির দিকে টেনে নিতে পারে।

দেশটির ঋণের বোঝা এখন ক্রমেই ভারী হয়ে উঠছে। এরই মধ্যে স্থানীয় মুদ্রায় তা ৫০ ট্রিলিয়ন নায়রার (১২ হাজার কোটি ডলারের বেশি) মাইলফলক ছাড়িয়েছে। এ ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে গত বছর দেশটির মোট রাজস্বের ৭৬ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। এ বছর তা দাঁড়াতে পারে ৯২ শতাংশে। লাগাম টেনে ধরা না হলে শিগগিরই দেশটির রাজস্ব আয় ও ঋণ পরিশোধের ব্যয় সমান হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা আইএমএফের। গত বছর থেকে প্রিমিয়াম মোটর স্পিরিট (পিএমএস) সাবসিডি নামে বিশেষ এক ভর্তুকি চালু রয়েছে নাইজেরিয়ায়। এর আওতায় দেশটিতে পরিবহন জ্বালানি খাতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেয়া হয়। এ কর্মসূচির কারণে দেশটির রাজস্ব খাতে বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে বলে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যে উঠে এসেছে।

রাজস্ব ঘাটতি ও ক্রমবর্ধমান ঋণের চাপ দেশটিকে দেউলিয়াত্বের পথে ঠেলে দিচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি বিনিয়োগ ব্যাংক জেপি মরগান উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর তালিকা থেকে নাইজেরিয়ার নাম বাদ দিয়েছে। সংস্থাটির ভাষ্য হলো, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও এর সুযোগ নিয়ে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন করতে পারেনি নাইজেরিয়া। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নাইজেরিয়ার অবস্থান এখন খাদের কিনারে বলে মনে করছে বিনিয়োগ ব্যাংকটি। দেশটিতে জীবনযাপনের ব্যয় নির্বাহ করাও এখন সাধারণ নাইজেরিয়ানদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। দেশটির আবুজা শহরেও চলতি বছরের শুরুতে ১ ডলার ৪৩ সেন্টের সমান মূল্যের একটি ফ্যামিলি সাইজ বড় রুটি কিনতে পাওয়া যেত। বর্তমানে একই রুটির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ ডলার ২ সেন্টের সমান। ক্রমবর্ধমান খাদ্য মূল্যস্ফীতি দেশটির সার্বিক মূল্যস্ফীতিকে করে তুলেছে লাগামহীন। বর্তমানে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ।

বর্তমানে গোটা বৈশ্বিক অর্থনীতিই মন্দার দিকে যাচ্ছে বলে বিশ্বব্যাংকের এক সাম্প্রতিক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। নাইজেরিয়ার অর্থনৈতিক খাতসংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, সেক্ষেত্রে দেশটির জন্য পরিস্থিতি আরো শোচনীয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। নাইজেরিয়ার সেন্টার ফর প্রমোশন অব প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজ ড. মুদা ইউসুফ সম্প্রতি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে নাইজেরিয়ার অর্থনীতিতে দুর্যোগ নেমে আসতে পারে। নাইজেরিয়া এমনিতেই অর্থনৈতিক অনেক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নিশ্চিতভাবেই বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিকে আরো প্রতিকূল করে তুলবে। আমরা এখন মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ, বৈদেশিক বাণিজ্যসহ সামষ্টিক অর্থনীতির অনেক বিষয়েই নানা ধরনের সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। বৈশ্বিক মন্দার মধ্যে তা আরো খারাপের দিকে যাবে। এর সঙ্গে ব্যষ্টিক পর্যায়েও অভ্যন্তরীণ অনেক সংকট রয়েছে। সে হিসাবে এমন পরিস্থিতিতে সামনের দিনগুলোয় শুধু অর্থনীতি নয়, বরং নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, বিনিয়োগ পরিবেশসহ আরো অনেক কিছুর ওপরই মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব দেখা যেতে পারে।

নাইজেরিয়াকে ধরা হয় আফ্রিকার অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউজ হিসেবে। বলা হয়, দেশটির অর্থনীতিতে যেকোনো সংকট গোটা আফ্রিকার অর্থনীতিতেই তোলপাড় তুলে দিতে পারে। এরই মধ্যে মহাদেশটির বিভিন্ন দেশে তা দৃশ্যমানও হয়ে উঠেছে। ঘানা, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইথিওপিয়াসহ আফ্রিকার বৃহৎ দেশগুলোর প্রায় সবই এখন মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: নাইজেরিয়া

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর