র্যাপিড অ্যাকশন
ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, গোয়েন্দা
তথ্য, সাইবার মনিটরিংসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে নববর্ষকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার
সুনির্দিষ্ট তথ্য পাইনি। তবু আমরা আত্মতুষ্ঠিতে ভুগছি না। গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার
মনিটরিং বৃদ্ধির মাধ্যমে জঙ্গি বা যেকোনো নাশকতার পরিকল্পনা নশ্চাৎ করে দিতে আমরা প্রস্তুত
রয়েছি।
আজ বুধবার
(১৩ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখ-১৪২৯ ‘বাংলা নববর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা
ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
নিরাপত্তার
কড়াকড়ির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি, বিভিন্ন ধরনের নাশকতা
হয়েছে। তাই আমরা সবসময় সবকিছু মাথায় রেখেই প্রস্তুত থাকি। কিছু ঘটার আশঙ্কা থাকলেও
নিই, কোনো কিছু আশঙ্কা না থাকলেও প্রস্তুত
থাকি।
সারাদেশেই অন্যান্য
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে বরাবরের মতোই র্যাব নিরাপত্তা ব্যবস্থা
করেছে উল্লেখ করে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুলিশের সঙ্গে আমাদের সমন্বয় রয়েছে। আমরা
সভা করছি, সারাদেশেই একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ যাতে সব অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে করতে পারে সে জন্য র্যাবসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। র্যাব ডিজি বলেন, পহেলা নববর্ষ একটি সার্বজনীন উৎসব। এটি জাতীয়ভাবে পালিত হয়। এটি প্রাণের আয়োজন। সবাই মিলে এই উৎসবে মিলিত হই।
তিনি বলেন, দুই বছর ধরে মহামারির কারণে এই প্রাণের উৎসব করতে
পারিনি। তবে এবার সীমিত হলেও আয়োজন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, দেশবাসী সবাই এই অনুষ্ঠানে
মিলিত হবে।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে র্যাব ফোর্সেস নিরাপত্তা বলায় তৈরি করেছে বলেও জানান তিনি। ঢাকা মহানগর, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সব জায়গায় র্যাবের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
অনুষ্ঠান স্থলে র্যাবের বোমডিস্পোজাল টিম, ডগ স্কয়ার, ওয়াচ টাওয়া, টহল ফোর্ট, মোটরসাইকেল ফোর্স ও সাদা পোশাকে র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এ ছাড়া র্যাবের হেলিকপ্টার প্রস্তুত থাকবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায়। সারাদেশেই আয়োজকদের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানান র্যাব ডিজি।
রমনা বটমূলে
নিরাপত্তার বিষয়ে দেখছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব। দুপক্ষের
মধ্যে সমন্বয় আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, অবশ্যই সমন্বয়
আছে। আমরা সমন্বয় সভা করি। দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলার মেট্রোপলিটনের বিভিন্ন জায়গায়
বিভিন্ন ফোর্সের সাথে কাজ করি। সব জায়গায় সমন্বয় করে কাজ করছি।
নাশকতার প্রস্তুতি বা এ ধরনের থ্রেট মাথায় নিয়েই নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করেছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় নাশকতা সংঘটিত হয়েছিল। এজন্য আমরা সবসময় প্রস্তুত থাকি। কোনো রকমের ঘটনা যাতে সংঘটিত না হতে পারে। এর মানে এই নয় যে, হুমকি আছে দেখে প্রস্তুত থাকি। হুমকি না থাকলেও প্রস্তুত থাকি। সব সময় আমরা প্রস্তুত। মানুষের নিরাপত্তা আমাদের দায়িত্ব। দায়িত্ববোধ থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
র্যাবের সীমিত
জনবল নিয়ে সারাদেশে নিরাপত্তা দেওয়ার সক্ষমতা র্যাবের আছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে
র্যাব ডিজি বলেন, সবার সাথে সমন্বয় করে আমরা দায়িত্ব পালন করছি। এর আগে সবার সাথে
মিলে আমরা সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছি।