Logo
শিরোনাম

নিজের প্রতিষ্ঠানে মিললো নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মরদেহ

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ১২৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কক্সবাজারের উখিয়ার মরিচ্যা বাজারের নিখোঁজের ছয়দিনের মাথায় ব্যবসায়ী জসিম আহমদের (৩৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার হলদিয়াপালং মরিচ্যা বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গোডাউন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত জসিম উদ্দিন(৩৫) কক্সবাজারে হলদিয়াপালং ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ সলিমউল্লাহর ছেলে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সঞ্জুর মোর্শেদ ব্যবসায়ী জসিমের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে উখিয়া থানা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের ক্রাইম সিন বিশেষজ্ঞ ও পিআইবি ফরেনসিক টিম উপস্থিত ছিল।

স্থানীয় ব্যবসায়ী নুরুল আমিন বলেন, সকালে কয়েকজন ব্যক্তি জসিমের গোডাউনের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ পেয়ে বাজারের ব্যবসায়ীদের জানান। ব্যবসায়ীরা দ্রুত বিষয়টি উখিয়া থানায় অবহিত করলে পুলিশ এসে তালা ভেঙ্গে জসিমের মরদেহ উদ্ধার করে।

জসিমের পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে জসিম মরিচ্যা বাজার এলাকা থেকে বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হন। এরপর থেকে পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্নস্থানে খোঁজ নিয়েও সন্ধান পাওয়া যায়নি। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মরিচ্যা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতারাও জসিমকে জীবিত ফেরত পেতে মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনের পরদিন মঙ্গলবার নিজের গোডাউন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

ব্যবসায়ী আমিন বলেন, জসিম উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম মরিচ্যা এলাকার বাসিন্দা ছলিম উল্লাহর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মরিচ্যাবাজারস্থ নাঈমা এন্টারপ্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন কোম্পানির ডিলার হয়ে পরিচালনা করে আসছেন।

এ সময় নিহত ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনের স্ত্রী জোসনা আকতার বলেন, আমার স্বামীর সঙ্গে কারো বিরোধ ছিলো না। ঘটনার দিন রাত ১১টার দিকে স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়। ওইদিন রাত সাড়ে ১২টা বাজলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পুনরায় তাকে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। সারারাত বাড়ি না ফেরায় ভোর পৌনে ৫টার দিকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখি অফিস কক্ষে একটি তালা লাগানো। পাশে গোডাউনের শার্টারটি খোলা ছিল। পরে অনেক খোজাঁখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছিল।

স্ত্রী জোসনা আকতার দাবি করেন, কেউ তাকে হত্যা করেছে। আমার স্বামীর হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আমি কঠিন শাস্তি চাই।

হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক। দেখে মনে হচ্ছে তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন। ঘটনায় কারা জড়িত তা শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, ঘটনাস্থলের আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল আমরা সেটি খতিয়ে দেখছি।


আরও খবর