Logo
শিরোনাম

নির্বাচনে ইভিএম না রাখার প্রস্তাব জাতীয় পার্টির

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ১৪২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোটগ্রহণের ঘোর বিরোধিতা করেছে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)। তাদের দলসহ দেশের মানুষের ইভিএমে আস্থা নেই দাবি করে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কোনও যৌক্তিকতা নেই। ইভিএমে ভোট হলে আসন্ন গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথাও বলেছেন জাপা নেতারা। অবশ্য ইভিএম বিষয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল কোনও মন্তব্য করেননি।

রবিবার (৩১ জুলাই) জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে সিইসিসহ অন্য কমিশনার ও ইসি সচিব অংশগ্রহণ করেন।

ইভিএমের বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ইভিএমে আমাদের আস্থা নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমারও এতে কোনও আস্থা নেই। মানুষ মনে করে ইভিএমে ভোট পাল্টে দেওয়া হলে কিছু করার নেই। কারণ ফলাফল রি-চেক করা যায় না।

নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ইভিএম সম্পর্কে আপনাদের এক্সপার্টদের কথা আমার মাথায় ঢোকেনি। জনগণের আস্থা বিশ্বাস ছাড়া ইভিএম ব্যবহার যৌক্তিক হবে না।

প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ইভিএম খুবই কঠিন পদ্ধতি। অনেক দেশ ইভিএম বাতিল করেছে।

প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু নিজের নির্বাচনে ইভিএমের অভিজ্ঞতার বর্ণনা করে বলেন, তার এলাকায় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরুর ১০ মিনিটের মাথায় ইভিএম মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এর সমাধান কী হবে, কে এটা ঠিক করবে সেই লোক খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ইসিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় ইভিএম নষ্ট হলে সেটা আপনারা ঠিক করবেন? না নির্বাচনের অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম করবেন?

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবীব খান এক পর্যায়ে ইভিএমের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, তাদের মেয়াদকালে ইভিএমে কোনও সমস্যা হয়নি। তারা ৪ থেকে ৫০০ ভোট ইভিএমে করেছে।  অবশ্য এই কমিশনারকে থামিয়ে দিয়ে জাপা মহাসচিব বলেন, ইভিএম খুবই স্পর্শকাতর। এটা নিয়ে যুক্তি দিয়ে লাভ নেই।

ইসিকে উদ্দেশ করে সংলাপে চুন্নু আরও বলেন, আপনাদের দোষারোপ করে লাভ নেই। রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা না পেলে নির্বাচনে আপনারা অসহায়। সমস্যা আমাদের সিস্টেমের। কিছু সমস্যা নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য না হলে যতই শক্ত আইন করা হোক, কোনও লাভ হবে না। নির্বাচনে ভালো হোক, সেটা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কেউই চায় না।

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন ব্যালট পেপারে গ্রহণের দাবি করে চুন্নু বলেন, আমরা চাই ওই নির্বাচনটি ব্যালট পেপারে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হোক। নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। নির্বাচন ইভিএমে হলে জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নেই বলেও জানান দলটির মহাসচিব।

নির্বাচনের দিন ভোরে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর প্রস্তাব করে তিনি বলেন, এখন প্রত্যেকটি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। কাজেই চাইলে ভোটের দিন সকালেই ব্যালট পৌঁছানো সম্ভব।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতের বেলা ব্যালটবাক্স ভর্তির প্রসঙ্গে টেনে জাপা এমপি চুন্নু বলেন, নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর প্রস্তাব করছি। তাহলে রাতের বিষয়টি আর আসে না। কিন্তু কাজটা হয়। কী বলবো, এটাও আমরাও করিয়েছি। হয় না- এটা ঠিক না।

জাতীয় পার্টি প্রস্তাবে আরও বলেছে, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন, নির্বাচনি কর্মকর্তারা নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ না করে নিজস্ব ক্ষমতাবলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে আইন প্রণয়ন করতে হবে।

দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচনি খরচ ২৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে করে ৫০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রয়োজনে সর্বোচ্চ সীমা তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বকেয়া ইউটিলিটি বিল, ক্রেডিট কার্ডের বিলের জন্য প্রার্থিতা বাতিলের বর্তমান বিধান বাতিল করা; সরকারি কর্মচারীদের অবসরের যাওয়ার পরে সরকারি মালিকানাধীন ও স্বায়িত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত ব্যক্তিদের তিন বছর না গেলে নির্বাচন করতে না পারার বিধান করারও প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় পার্টি।

মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, ফখরুল ইমাম, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ভূইয়া, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু।


আরও খবর



ভারী বর্ষণের আভাস দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৭৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দেশের আট বিভাগেই বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ বৃষ্টির প্রবণতা আগামী দু-তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সব বিভাগেই বৃষ্টির হয়েছে। তবে বেশিরভাগ স্থানেই বৃষ্টির পরিমাণ কম ছিল। চট্টগ্রাম ও খুলনার কয়েকটি অঞ্চলে বৃষ্টিও হয়নি। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে। ঢাকায় ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকার আকাশে রোদ ছিল। তবে সাড়ে ১১টার দিকে ঘণ মেঘে ঢাকার আকাশ ঢেকে গেছে। বেলা পৌনে ১২টার দিকে শুরু হয় বৃষ্টি।

ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সারাদেশে কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটার বা এরও বেশি) বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে পূর্ব মধ্য প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী দুদিন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) বৃষ্টির এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চাঁদপুরে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অন্যদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়- রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষি বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



রাজনীতি করুন, তবে বিচার বিভাগকে জড়াবেন না: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ১১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজনৈতিকভাবে বিচার বিভাগ ব্যবহার হচ্ছে না উল্লেখ করে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, রাজনীতিবিদদের বলব রাজনীতি করুন, তবে বিচার বিভাগকে জড়াবেন না, পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখুন। আজ বুধবার দুপুরে দায়িত্বভার গ্রহণের পর তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগসহ দেশের সব বিভাগে দুর্নীতি ক্যান্সারের মতো ছেয়ে গেছে। আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতি মিলে যদি একসঙ্গে উদ্যোগ নেই তাহলে এসব দুর্নীতি অপসারণ করা সহজ হবে।

এ সময় তিনি আদালতকে রাজনীতির সঙ্গে না জড়ানোর জন্য রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগের ওপর আস্থার যে কমতি হয়েছে তা শুধু বিচারকদের কারণে নয়, এ বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের জন্য এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যা কাজের মাধ্যমে দূর হবে।

তিনি বলেন, দেশের জনগণকে ন্যায়বিচার দিতে কাজ করে যাব, সামাজিক পরিবর্তন না আসলে শুধু মামলা করে অপরাধ দূর করা যাবে না।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পান।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন। শপথগ্রহণের তারিখ থেকে তা কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। এর আগে, ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।


আরও খবর



নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার ৪ কারণ চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশে বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। দাম বাড়ার চারটি কারণ চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক। গত আগস্টে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে পৌঁছেছে। মূল্যস্ফীতি এখন প্রধান মাথাব্যাথার কারণ হয়েছে দেশবাসীর কাছে।

নিত্যপণ্যের চড়া দামে দিশেহারা ক্রেতারা। দেশে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য চারটি বিষয়কে দায়ী করেছে বিশ্বব্যাংক। যেসব কারণে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে সেগুলো হলো, অভ্যন্তরীণ জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়া, দুর্বল মুদ্রানীতি, টাকার অবমূল্যায়ন ও বৈদেশিক মুদ্রা কমে যাওয়ায় আমদানি কমে যাওয়া।

একই প্রতিবেদনে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কিছুটা কমিয়ে এনেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির নতুন এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অর্থবছর জিডিপি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সংস্থাটির ঢাকা অফিসে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক প্রতিবেদনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশে ২০২৫ সালে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতে ৬ দশমিক ৩ ও মালদ্বীপে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কায় প্রবৃদ্ধি ছিল নেতিবাচক, মাইনাস ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৪ সালে দেশটি ঘুরে দাঁড়াবে প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

এর আগে বাংলাদেশে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৭ দশমিক ১ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে দারিদ্র্য কমে ৫ শতাংশ হয়েছে ২০১৬ সালে যা ছিল ৯ শতাংশ।


আরও খবর



‘তারা কীভাবে খালেদা জিয়ার জন্য আমার কাছ থেকে আরও সহানুভূতি আশা করে’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৯৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে তার পক্ষ থেকে আর কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আইন অনুযায়ী যা করতে পারেন খালেদা জিয়ার জন্য তাই করেছেন। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, তারা কীভাবে খালেদা জিয়ার জন্য আমার কাছ থেকে আরও সহানুভূতি আশা করে।

লন্ডনের মেথোডিস্ট সেন্ট্রাল হল ওয়েস্টমিনস্টারে তার সম্মানে আয়োজিত একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই এখন যুক্তি দিচ্ছেন, আইন নিজের গতিতে চললেও খালেদা জিয়ার প্রতি আমি বেশি সহানুভূতি দেখাতে পারি।

শেখ হাসিনা এসময় ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ড, ২১ আগস্ট, ২০০৪ গ্রেনেড হামলা, শেখ রেহানার বাড়িটিকে একটি পুলিশ ফাঁড়িতে পরিণত করা, যা তিনি জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য প্রণীত আইনের অধীনে পেয়েছিলেন এবং তা বিএনপি সরকারের লংঘনের ঘটনা উল্লেখ করেন। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর তাকে (শেখ হাসিনা) বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কীভাবে খালেদা জিয়ার জন্য আমার কাছ থেকে আরও সহানুভূতি আশা করে।

সরকার প্রধান প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পটভূমিতে, অনুমোদন এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, তিনি খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরতা কমাতে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে না দেওয়ার জন্য সবাইকে বলেন।

বাংলাদেশ স্মার্ট হবে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল ও ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত করেছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে এটিকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি।


আরও খবর

আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




এদেশে জন্ম নেওয়া কেউই সংখ্যালঘু নয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ৯৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

এদেশে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তারা যে ধর্মেরই হোক, কেউই সংখ্যালঘু নয়। নিজেদের সংখ্যালঘু না ভাবতে সনাতন ধর্মের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার দুপুরে গণভবনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কে জাতীয় পার্টি, কে বিএনপি, কে আওয়ামী লীগ, বা কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে খ্রিষ্টান, তা দেখে সেবা করি না আমরা। সব রক্তের রং লাল। মুক্তিযুদ্ধে সবার রক্ত মিশে গেছে এক স্রোতে। তাই এই দেশ সবার।

সরকারপ্রধান বলেন,  যোগ্যতা দেখেই মূল্যায়ন করা হয়, এখানে ধর্মীয়ভাবে কোনো চিন্তা করা হয় না। বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। এদেশে সব ধর্মের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ। ধর্ম যার যার উৎসব সবার- এই নীতিতে সরকার বিশ্বাস করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণভবনের মাটি আজ ধন্য হয়েছে। যারা এই দেশের মাটিতে জন্ম নিয়েছেন, তারা সবাই এই মাটিরই সন্তান ও নাগরিক। এই মাটির ওপরই আপনাদের অধিকার। কেন সংখ্যালঘু বলেন নিজেদের?

শেখ হাসিনা বলেন, শ্রী কৃঞ্চের আবির্ভাব হয়েছিল দুষ্টের দমন শিষ্টের লালনের জন্য। সব ধর্মের মর্মবাণী এক ও অভিন্ন। ভাষা হয়ত ভিন্ন হতে পারে।

এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ভূলুণ্ঠিত করেছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালায়।

প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার সব ধর্মের উন্নয়নে সমানভাবে কাজ করছে। মসজিদভিত্তিক শিক্ষার যেমন ব্যবস্থা করা হয়েছে তেমনি মন্দিরভিত্তিক শিক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। হিন্দুরা মন্দিরে যাবে, মুসলিমরা মসজিদে যাবে। সবাই প্রাথমিক শিক্ষা পাবে।


আরও খবর