Logo
শিরোনাম

নির্বাচনের দিন না.গঞ্জের রাস্তায় চলতে লাগবে এনআইডি কার্ড

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | ১০৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

এক দিন বাদে রবিবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ উপলক্ষে নেওয়া হচ্ছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নির্বাচনের দিনে সিটিতে বহিরাগতদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে পুলিশ প্রশাসন। একইসঙ্গে ভোটের সার্বিক পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে নগরীতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) নিয়ে চলাচল করতে বলেছে জেলা পুলিশ।

শনিবার নারায়ণগঞ্জের পুলিশ লাইন্সে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে নির্বাচনী সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশনা দেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জায়েদুল আলম।

এসপি জায়েদুল বলেন, আমি বলতে চাই, কোনো বহিরাগতকে আমরা আগামীকাল নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করতে দেব না। প্রতিটি পাড়া মহল্লায় আমাদের যে মোবাইল টিম থাকবে, আমাদের তল্লাশি চৌকি থাকবে, জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে আমরা মানুষকে চলাচল করতে দেব। কালকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর এলাকার যে বা যারা বের হবেন দয়া করে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে বের হবেন, যাদের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে।

নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে পাঁচ হাজারেরও বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়োজিত করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার। কেউ যেন নির্বাচনের উৎসব, আমেজ বিনষ্ট করার চেষ্টা না করে। কোনো ধরনের দুষ্কৃতিকারী, অতি উৎসাহীমহল যদি ভোট কেন্দ্রে, ভোট কেন্দ্রের বাহিরে কোনো পাড়া মহল্লায় কোনো অরাজকতা তৈরির চেষ্টা হলে কঠোর তাতে তাদের দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন এসপি।

নির্বাচনে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে জানিয়ে এসপি বলেন, জায়েদুল আলম বলেন, আমরা চাচ্ছি এই নির্বাচন যেন সারা দেশে একটি মডেল নির্বাচন হিসেবে রূপ লাভ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নিরাপত্তা বলয় গঠন করেছি। শুরু থেকেই আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ের ভেতরে ছিলাম। নিরাপত্তায় নিয়জিত সদস্যরা আজ প্রত্যেকটি কেন্দ্রে চলে যাবেন। তাদের সঙ্গে আনসার সদস্যরা কাজ করবেন। তা ছাড়া, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন কাজ করবেন। সেই সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কাজ করবে।

প্রতিটি কেন্দ্রে ৫ থেকে ৬ জন পুলিশ সদস্যের নেতৃত্বে আরও ১৫ থেকে ১৭ জন আনসার সদস্য, অর্থাৎ ২০ থেকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২২ থেকে ২৩ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করবেন। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে এপিবিএন'র ৩টির মতো মোবাইল টিম, একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাবের একটি টিম থাকবে।

সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতিকারীদের উদ্দেশে এসপি জায়েদুল আলম বলেন, কোনো ধরনের ছাড় আমরা দেব না। কাউকে কোনো ধরনের অরাজকতা করতে দেব না। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী কঠোর অবস্থানে আছে, থাকবে।

সাধারণ ভোটাররা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারবেন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, কোনো বাধা বিপত্তি থাকবে না। কেউ বাধা দিতে আসলে আমরা প্রতিহত করব।

সার্বিক সহযোগিতায় কোনো ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই প্রচারণা শেষ হয়েছে বলেও দাবি করেন জায়েদুল আলম।

নির্বাচনে সাতজন মেয়র ও ১৮২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটের দিন সবার কাছ থেকে সহযোগিতা চান এসপি জায়েদুল আলম।

নির্বাচনের আগে নৌকার বিরোধী প্রার্থীর সমর্থকদের গণহারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে- তৈমূর আলম খন্দকারের এমন অভিযোগ নাকচ করেন এসপি।

পুলিশ সুপার বলেন, কারও প্রার্থীকে কিংবা নির্বাচনে কোনো দল, ব্যক্তি, গোষ্ঠীর পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করছি না। যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে, অবৈধ অস্ত্রধারী, মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি।

নিউজ ট্যাগ: নারায়ণগঞ্জ

আরও খবর