২১ ফেব্রুয়ারি
শহীদ দিবসে নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে একটি সড়ক দ্বীপের নামকরণ হবে ‘লিটল বাংলাদেশ
অ্যাভিনিউ’। ২১ ফেব্রুয়ারি
দুপুর দেড়টায় এই নামফলক উম্মোচন করছেন সিটি কাউন্সিলম্যান জেমস এফ জিনারো।
উল্লেখ্য, জ্যামাইকায়
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশিদের বসতি বেড়েছে। তারই আলোকে হিলসাইড অ্যাভিনিউ এবং
হোমলোন অ্যাভিনিউর কর্নার (সাগর চাইনিজ রেস্টুরেন্টের নিকটে) কে নতুন নামে অভিষিক্ত
করা হচ্ছে।
এ উপলক্ষে ইতিমধ্যেই
নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে একটি বিল (আইএনটি২৪৭৭) পাশ হয়েছে। এটি উত্থাপন করেছিলেন কাউন্সিলম্যান
জেমস এফ জিনারো। অন্য সকলে তা সমর্থন দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য
যে, জ্যামাইকায় ক্যাপ্টেন টিলি পার্কে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের জন্যে ইতিপূর্বে
সিটি কাউন্সিলে বিল উত্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু শহীদ মিনারের আদলে কোন স্থাপনা নির্মাণের
সুযোগ নিউইয়র্ক সিটিতে না থাকায় ‘মনুমেন্ট’ আকারে একটি স্থাপনা
তৈরীর অনুমতি মিলেছিল।
কিন্তু তৎকালিন
কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা-সহ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ রাজি হননি। ফলে এই সিটিতে
স্থায়ী শহীদ মিনারের স্বপ্ন এখন পর্যন্ত অপূর্ণই রয়েছে। তেমন একটি দাবির মধ্যেই ‘লিটল বাংলাদেশ
অ্যাভিনিউ’র নামফলক উম্মোচন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা দিবস তথা ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালির শহীদ দিবসের দুপুরে।
নিউইয়র্ক সিটিতে
৩ লাখের অধিক বাংলাদেশি বাস করছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ নামে কোন কিছু হয়নি।
এটি হবে প্রথম ঘটনা। এই সিটিতে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান কাউন্সিলওম্যান
শাহানা হানিফ ১ জানুয়ারিতে দায়িত্ব শুরুর পরই বাংলাদেশ প্রতিদিনকে প্রদত্ত সাক্ষাতকারে
উল্লেখ করেছেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকা তথা চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডকে
‘লিটল বাংলাদেশ’এ পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি।
আগে বিশ্বখ্যাত স্থাপত্যবিদ এফ আর খানের স্মৃতি বিজড়িত শিকাগোতে ‘শেখ মুজিব ওয়ে’ হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা
দিবসে ‘লিটল বাংলাদেশ
অ্যাভিনিউ’র নামফলক আনুষ্ঠানিকভাবে উম্মোচনের
তথ্য কাউন্সিলম্যান জেমস জিনারোর অফিস থেকে জানানো হয়েছে।