Logo
শিরোনাম
অর্থ আত্মসাৎ

নজিবুল বশরের ছেলেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর দুই ছেলেসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে নেওয়া ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকার ঋণ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হবে। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় গতকাল বুধবার মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

মামলায় অভিযুক্ত হতে যাওয়া তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যানের দুই ছেলে হলেন সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী ও সৈয়দ আফতাবুল বশর মাইজভান্ডারী। এ ছাড়া অন্য অভিযুক্তরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান কেএম খালেদ ও তার ছেলে কেএম রাকিব হোসেন এবং স্বজন খন্দকার মো. মোস্তাহিদ। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পরিচালক মুসলিমা শিরিন, জেডএম কায়সার, মো. অলিউজ্জামান, এম শাহাদত হোসেন কিরণ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট গুলশান আরা হাফিজ ও অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট তাজরিয়ান হক। সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদ খান, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আহসান কবির খান, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রেজাউল হক।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ওই ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ করা হয়। পরে তারা এই অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।

দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম। অনুসন্ধান কর্মকর্তার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা ১-এ মামলা করা হবে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শরিক দল তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী মহাজোটের প্রার্থী হয়ে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসন থেকে পর পর দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।


আরও খবর

রাজধানীর ৯০ ভাগ হিজড়াই নকল

রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




বাঙালি জাতির ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৬১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙালি জাতির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষা ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়েছিল।

২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে বাংলাসহ বিশ্বের সব ভাষাভাষী ও সংস্কৃতির মানুষের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইউনেস্কো ২০০০ সাল থেকেই এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করে আসছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বহুভাষায় শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা, যা তাঁর বিবেচনায় অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৫২ সালের এ দিনে আমাদের মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা করতে প্রাণোৎসর্গ করেছিলেন আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালাম, রফিকউদ্দিন আহমদ, শফিউর রহমানসহ আরও অনেকে। আমি বাংলাসহ বিশ্বের সব ভাষা-শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। সেই সঙ্গে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করিবাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব ভাষাসৈনিকদের, যাঁদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ এবং সংগ্রামের বিনিময়ে আমাদের মা, মাটি ও মানুষের মর্যাদা সমুন্নত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ বাঙালির গৌরবময় ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস যুগে যুগে আমাদের জাতীয় জীবনে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করছে। জাতির পিতা ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বার বার কারাবরণ করেছেন। ১৯৪৭ সালের ২৭ নভেম্বর করাচিতে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সম্মেলনে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকায় এ খবর পৌঁছামাত্রই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খাজা নাজিমুদ্দিনের বাসভবনের সামনে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে। এর কিছুদিন পরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র শেখ মুজিব তাঁর সাংগঠনিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ঢাকায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৩ ফেব্রুয়ারি গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলাকে গণপরিষদের ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে এক সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে খাজা নাজিমুদ্দিন আইন পরিষদে ঘোষণা দেয়, পূর্ব বাংলার জনগণকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে মেনে নিতে হবে। কিন্তু নাজিমুদ্দিনের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিস ও অন্যান্য দলের সমন্বয়ে সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ১১ মার্চের ধর্মঘটে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে শেখ মুজিবসহ অনেক ভাষাসৈনিক সচিবালয়ের সামনে থেকে গ্রেপ্তার হন এবং ১৫ মার্চ মুক্তি পান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক আমতলার সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জিন্নাহ ২১ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে উর্দুর পক্ষে বক্তব্য রাখে এবং ২৪ মার্চ কার্জন হলে আয়োজিত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বলে ঘোষণা দিলে ছাত্ররা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে।

ভাষা আন্দোলনকে জাতীয় আন্দোলনে রূপদান করতে শেখ মুজিব দেশব্যাপী সফরসূচি তৈরি করে ব্যাপক প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন এবং সভা-সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর থেকে গ্রেপ্তার হন এবং ১৯৪৯ সালের ২১ জানুয়ারি মুক্তি পান। ১৯ এপ্রিল আবার গ্রেপ্তার হয়ে জুলাই মাসে মুক্তি পান। এরপর তিনি ১৯৪৯ সালের ১৪ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়ে ১৯৫২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান। শেখ মুজিব ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ থেকেও ভাষাসৈনিক ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছেন এবং আন্দোলনকে বেগবান করতে নানা পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ তিনজন দূত মারফত এই মর্মে খবর পাঠান যে ২১ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী হরতাল ডাকতে হবে। শেখ মুজিব আমরণ অনশন ঘোষণা করলে ১৬ ফেব্রুয়ারি কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে ঢাকা থেকে ফরিদপুর জেলে স্থানান্তরিত করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পূর্ব-বাংলা ব্যবস্থাপক পরিষদের বাজেট অধিবেশনের জন্য নির্ধারিত ছিল। শেখ মুজিবের পরামর্শ ও নির্দেশ অনুযায়ী, ওই দিন সারাদেশে সাধারণ ধর্মঘট আহ্বান করা হয়। ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে এবং সেখানে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে কতগুলো তাজা প্রাণ নিমেষেই ঝরে পড়ে, অনেকে আহত হন, অনেকে গ্রেপ্তার হন। ২২ ফেব্রুয়ারি হরতাল পালিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ মন্ত্রিসভা গঠন করে, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়, প্রথম ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, এই দিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে এবং শহীদ মিনার তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করে। দুর্ভাগ্য, ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর সামরিক শাসন জারির ফলে সেই আকাঙ্ক্ষাগুলো আর পূরণ হয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা সব দাপ্তরিক কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের নির্দেশ দেন। তিনি সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করেন। বাংলায় জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে বক্তৃতা দিয়ে আমাদের মাতৃভাষাকে বিশ্ব সভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে কানাডা প্রবাসী রফিক এবং ছালাম নামে দুজন বাংলাদেশি কয়েকজন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদস্য মিলে মাতৃভাষা সংরক্ষণ কমিটি গঠন করে। ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় ভাষা সংরক্ষণ ও তাদের মর্যাদা রক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করেছি। ২০১৭ সাল থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল বইসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করছি।

মহান ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠিত হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শকে ধারণ করে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশকে আমরা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছি। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ, যা স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে অর্জিত হবে। সেই সঙ্গে আমরা বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়ন করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেনজাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবেন।

সূত্র : বাসস


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘর্ষ, ২ শিশু গুলিবিদ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৬৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আট নম্বর ওয়েস্ট এ -ব্লকে এই সংঘর্ষ বাধে। গোলাগুলিতে দুই রোহিঙ্গা শিশু গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

 

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আট নম্বর ওয়েস্টের এ-ব্লকে হঠাৎ করে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ শুরু হয়। আধাঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে ক্যাম্পের ওবায়দুল হকের মেয়ে উম্মে হাফসা (১১) এবং আব্দুল খালেকের ছেলে আবুল ফয়েজ গুলিবিদ্ধ হয়। প্রথমে উখিয়া এমএসএফ হাসপাতালে আহত দুই শিশুর প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা চলে। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আরও জানান, ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার ঘটাতে নতুন করে দুটি গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারাই ক্যাম্পের উক্ত এলাকায় এই গোলাগুলি ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশ ও উখিয়া থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্হলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

 

পুলিশের দাবি, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। একইসঙ্গে এলাকায় এপিবিএন পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।


আরও খবর

গলায় ফাঁস দিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

মঙ্গলবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




জ্বালানির উচ্চমূল্যে অতিদরিদ্র হবে ১৪ কোটি মানুষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জ্বালানি নিয়ে গোটা বিশ্বই এক ধরনের সংকটের মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠেছে। জ্বালানির দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই তার রেশ পড়ে অন্য নিত্যপণ্যের দামের ওপর। এর ধারাবাহিকতায় বেড়ে যায় জীবনযাপনের ব্যয়, দরিদ্র মানুষ হয়ে পড়ে আরো দরিদ্র। সম্প্রতি জার্নাল নেচার এনার্জিতে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি ব্যয়ের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে অতিদরিদ্র হবে ১৪ কোটির বেশি মানুষ।

 

গবেষণাটিতে অংশ নিয়েছেন নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক। বিশ্বের ১১৬টি দেশের মানুষের ওপর ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দামের প্রভাব নিয়ে কাজ করেন তারা। এসব দেশের পরিবারগুলো কীভাবে এ বাড়তি ব্যয় সমন্বয় করছে, কতটুকু বেড়েছে পরিবারের খরচ সেসব উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। গবেষণায় দেখা গেছে, যুদ্ধের কারণে কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় এসব দেশের পরিবারগুলোর ব্যয় বেড়েছে গড়ে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

 

নিম্ন আয়ের দেশগুলোর দরিদ্র পরিবারগুলো এরই মধ্যে ভয়াবহ খাদ্য সংকটে ভুগতে শুরু করেছে। জ্বালানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এসব দেশের দরিদ্ররা আরো দরিদ্র হয়ে উঠছে। উচ্চ আয়ের দেশগুলোতেও পরিবারগুলোয় পড়তে শুরু করেছে জ্বালানির উচ্চমূল্যের প্রভাব। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা বাজেটে কাটছাঁট করে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন। যা নিম্ন আয়ের দেশগুলোর মানুষের পক্ষে অসম্ভব। এ পরিস্থিতি চলমান থাকলে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৪ কোটি ১০ লাখ মানুষ দরিদ্র থেকে অতিদরিদ্র শ্রেণীর কাতারে পড়বে।

 

কিছু কিছু দেশ জ্বালানির উচ্চমূল্যের কারণে সৃষ্ট সংকটে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে এস্তোনিয়া, পোল্যান্ড ও চেক রিপাবলিকের কথা বলা যায়। এসব দেশে জ্বালানির দাম বেড়েছে বৈশ্বিক গড় দামের চেয়ে বেশি। এর কারণ হলো এ দেশগুলো শক্তিভিত্তিক শিল্প খাতের ওপর বেশি নির্ভরশীল। ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, পোল্যান্ড জ্বালানি উৎপাদনের জন্য কয়লার ওপর ৬৮ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ভরশীল।

 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ জ্বালানির দাম বাড়ানোর পাশাপাশি বাড়িয়েছে নিত্যপণ্য, প্রয়োজনীয় খাদ্যের দামও। এক বছর আগের সঙ্গে বর্তমানের দামে বিরাট পার্থক্য দেখা যাচ্ছে, আর তা বিশ্বব্যাপীই। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এক বছরের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ৭০ দশমিক ১ শতাংশ, মার্জারিনের ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ, মাখনের ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ, ময়দার ২০ দশমিক ৪ শতাংশ, রুটির ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ, চিনির বেড়েছে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ, দুধের ১১ শতাংশ, মুরগির ১০ দশমিক ৫ শতাংশ।

 

চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এ সময়ের ব্যবধানে দেশটিতে ফল ও সবজির দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, শিগগিরই দাম কমার কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।

 

বহুজাতিক কোম্পানি নেসলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পণ্যের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে ইউনিলিভার ও প্রোক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বলের মতো প্রতিষ্ঠানও দাম বৃদ্ধির কথা জানায়। এসব দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা সংকটের কথা বলা হচ্ছে।

 

ইউনিলিভারের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা গ্র্যামি পিটক্যাথি বলেন, ‘‌সম্ভবত আমরা মূল্যস্ফীতির চূড়ায় রয়েছি। তবে সর্বোচ্চ দামের চূড়ায় এখনো পৌঁছিনি। একই সময়ে চলতি বছর খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন ইউনিলিভারের প্রধান নির্বাহীও।’

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের সরকার পরিবারগুলোর ওপর জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব কমাতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানির ওপর থেকে কর কমানো, জ্বালানির বিলে ছাড়, প্রণোদনা ইত্যাদি।

 

গবেষকরা বলছেন, সরকারগুলোর পক্ষে আরো পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। যেমন জ্বালানির দামে ভর্তুকি, টেকসই উৎস থেকে জ্বালানি সরবরাহ ইত্যাদি। ক্ষতিগ্রস্ত দেশে সরকার পাশে না দাঁড়ালে সাধারণ মানুষের জন্য জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষ করে দরিদ্ররা আরো দরিদ্রের পথে এগিয়ে যাবে।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




গুলির ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে নিজেই গুলিতে নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | ৫১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরল্যান্ডোতে গুলি চালিয়ে এক নারীকে হত্যা করেছিলেন এক ব্যক্তি। সেই খবর সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন একটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যান। হঠাৎ করে সন্দেহভাজন হত্যাকারী হাজির হয়ে আবারও গুলি চালান। এতে নিহত হন ওই সাংবাদিক। প্রাণ যায় নয় বছরের এক শিশুর। ওই সন্দেহভাজন হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার সকালে, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মধ্যাঞ্চলের পাইন হিলে। সেখানকার অরেঞ্জ কাউন্টির শেরিফ জন মিনা বলেন, গুলি চালিয়ে তিনজনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কেইথ মেলভিন মোজেস নামের এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বয়স ১৯ বছর।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নারীর বয়স ২০ বছর। সকালে তাঁকে গুলি করে হত্যার পর ঘটনাস্থল থেকে চলে যান কেইথ। পরে সেখানে পুলিশ ও সাংবাদিকেরা যান। বিকেলে ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহে যান স্থানীয় স্পেকট্রাম নিউজ ১৩ চ্যানেলের এক সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যান।

ওই সময় কেইথ ঘটনাস্থলে ফিরে এসে আবারও গুলি চালান। এতে গুলিবিদ্ধ হন ওই সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যান। পরে পাশের একটি বাড়িতে ঢুকে গুলি ছোড়েন কেইথ। এতে গুলিবিদ্ধ হন এক নারী ও তাঁর নয় বছর বয়সী মেয়ে। দ্রুত তাঁদের সবাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে শিশুটি এবং ওই সাংবাদিকের মৃত্যু হয়।

শেরিফ জন মিনা জানান, এই ঘটনায় শুরুতে নিহত নারীর সঙ্গে সন্দেহভাজন হামলাকারী কেইথের আগে থেকেই পরিচয় ছিল। তবে হতাহতো অন্যদের তিনি চিনতেন না।

পুলিশের পক্ষ থেকে হতাহত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে এই হত্যাকাণ্ডের কারণও জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। আটক কেইথের আগে থেকেই অপরাধে সম্পৃক্ততার ইতিহাস রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: গুলিতে নিহত

আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরেছেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার রাতে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৫৮৫ ফ্লাইটযোগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ঢাকায় পৌঁছান।

উল্লেখ্য, ওবায়দুল কাদের গত ১ মার্চ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যান।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর