ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর দুই ছেলেসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে নেওয়া ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকার ঋণ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হবে। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় গতকাল বুধবার মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
মামলায় অভিযুক্ত হতে যাওয়া তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যানের দুই ছেলে হলেন সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী ও সৈয়দ আফতাবুল বশর মাইজভান্ডারী। এ ছাড়া অন্য অভিযুক্তরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান কেএম খালেদ ও তার ছেলে কেএম রাকিব হোসেন এবং স্বজন খন্দকার মো. মোস্তাহিদ। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পরিচালক মুসলিমা শিরিন, জেডএম কায়সার, মো. অলিউজ্জামান, এম শাহাদত হোসেন কিরণ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট গুলশান আরা হাফিজ ও অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট তাজরিয়ান হক। সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদ খান, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আহসান কবির খান, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রেজাউল হক।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ওই ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ করা হয়। পরে তারা এই অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম। অনুসন্ধান কর্মকর্তার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা ১-এ মামলা করা হবে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শরিক দল তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী মহাজোটের প্রার্থী হয়ে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসন থেকে পর পর দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।