Logo
শিরোনাম

নোয়াখালীতে চিকিৎসককে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, গ্রেফতার ৫

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১৭০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে এক পল্লী চিকিৎসককে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও পরে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন।

গ্রেফতাররা হলেন- মোল্লাগ্রামের আবদুল হোসেন মেকারের ছেলে জিয়া বাহিনী প্রকাশ জিহাদ (৩০), আদর্শ গ্রামের খবির উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন (৩০), একই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আবু তাহের (২৭), আবুল কালামের ছেলে নবীর উদ্দিন (৩২) ও মিয়াজী গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪০)।

জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এক গৃহবধূ (৩২) জনতা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিল। এসময় ফারুক ও তার সহযোগীরা ওই গৃহবধূর দিকে টর্চলাইট মারলে সে দৌঁড়ে ওই চিকিৎসকের মুরগির খামারের সামনের একটি ঘরে ঢুকে যান। তখন চিকিৎসক ওই ঘরের ভেতরে ছিলেন। 

এসময় ফারুক তার লোকজন নিয়ে ঘরের বাইরে তালা লাগিয়ে চিৎকার করে আরও লোকজন জড়ো করে। ঘরের ভিতরে থাকা ওই চিকিৎসক জানালা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে ফারুক, তার লোকজন ও স্থানীয়রা নারীসহ তাকে বাহিরে এনে অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে বিবস্ত্র করে মারধর করে একটি সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে মোর্শেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে।

পুলিশ সুপার জানান, এলাকার কিছু উশৃঙ্খল বখাটে যুবক অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে পল্লী চিকিৎসক ও একজন গৃহবধূকে মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পুরুষ নির্যাতনের ঘটনাটি তারা মোবাইলে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে রোববার তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার পল্লী চিকিৎসক বাদী ১১ জনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন রাতেই অভিযান চালিয়ে পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

অপরদিকে, নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ তাকে নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে গত ৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার জিহাদ, ফারুক, এনায়েত, ভুট্ট মাঝি ও ফারুক হোসেনকে আসামি করে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক।


আরও খবর