ফেইসবুকে ধর্ম অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়ার সাহাপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ও মন্দিরে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে লোহাগড়া থানার ওসি আবু হেনা মিলন জানান, রোববার অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা
হলেন- লোহাগড়া উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামের সাঈদ শেখ (৫৫), দিঘলিয়া গ্রামের রাসেল মৃধা
(৩৮), লুটিয়া গ্রামের কবির গাজী (৪০), বাটিকাবাড়ি গ্রামের রেজাউল শেখ (৪০) এবং বয়রা
গ্রামের মাসুম বিল্লাহ (৩০)।
শুক্রবার রাতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের পর রোববার রাতে লোহাগড়া থানার এসআই মাকরুফ রহমান বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় দুই থেকে আড়াইশ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। রাতে জেলা পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছিলেন।
সোমবার তিনি
বলেন, “এখন পর্যন্ত এ মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে তাদের আদালতে
পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার
আরও বলেন, এ ঘটনায় পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে কাজ করছে। সবার সমন্বিত
তথ্য-উপাত্ত, ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
স্থানীয়রা জানান,
এক ফেইসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে দীঘলিয়ায় শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর থেকে উত্তেজনা
ছড়িয়ে পড়ে। আকাশ সাহার গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করে লোকজন।
বিকালে উত্তেজনা
আরও বাড়ে এবং সন্ধ্যায় ধর্ম অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে সাহাপাড়ার কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর
করে কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় মন্দিরে ঢিলও ছোঁড়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুর এবং দুটি মন্দিরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা ছাড়াও ১৫ জুলাই রাতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে আরেকটি মামলা করা হয়। সেই মামলার বাদী লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামের সালাউদ্দিন কচি নামের এক ব্যক্তি। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দিঘলিয়ার সাহাপাড়ার আকাশ সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।