Logo
শিরোনাম

নৃশংস বসন্ত মোকাবিলার প্রস্তুতিতে ইউক্রেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বেলারুশ সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বসন্তের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত ইউক্রেনের বাহিনী। বহু পুরোনো টি-৭২ ট্যাংক গোলা ছুড়ে এবং পরিত্যক্ত ভবনে সেনাসদস্য প্রবেশ করিয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করছে তারা। সেনারা যখন এ প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন ইউক্রেনের বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সেরহি নাইয়েভকে দেখা গেল অস্ত্রের সরবরাহ বুঝে নিতে। ভারী মেশিনগান, আকাশযানবিধ্বংসী অস্ত্র, সবই রয়েছে তাতে।

নাইয়েভের বিশ্বাস, যুদ্ধের পরবর্তী ধাপে মুখ্য ভূমিকা রাখবে ট্যাংক।তবে নিজেদের পুরোনো টি-৭২ ট্যাংকের ওপর আস্থা নেই তার। জার্মানির লেপার্ড ২ এবং ব্রিটিশ চ্যালেঞ্জার ট্যাংক এক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তিনি।

নাইয়েভ বলেন, অবশ্যই আমাদের প্রচুরসংখ্যক পশ্চিমা ট্যাংকের প্রয়োজন। কারণ, সেগুলো সোভিয়েত মডেলের চেয়ে অনেক বেশি ভালো এবং আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করতে পারবে। আমরা নতুন সামরিক ইউনিট তৈরি করছি। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করবে তাদের যুদ্ধের প্রস্তুতির ওপর। এজন্যই পশ্চিমা সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের কয়েকশ ট্যাংক প্রয়োজন। এগুলো তাদের নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে এবং সামনের মাসগুলোতে শত্রুর সঙ্গে লড়তে সহায়তা করবে।

মূলত লেপার্ড ২ ট্যাংকই চাইছে ইউক্রেনের বাহিনী। কারণ, এটি ঠিক রাখা এবং পরিচালনা করা তুলনামূলকভাবে সহজ। বহু ন্যাটো দেশ এখনও এটি ব্যবহার করছে। ইউক্রেনের সামরিক ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের অনেকেই ধারণা করেছিলেন রামস্টেইনের বৈঠকের পর তাদের আহ্বানে সাড়া মিলবে। তবে জার্মানি বাদ সাধায় ভেস্তে গেছে সে আশা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্সিয়াল প্রশাসনের উপদেষ্টা মিখাইলো পদোলিয়াক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, আমরা এটি নিয়ে হতাশ। আমরা বুঝতে পারছি যে কিছু দেশের বাধা আছে। কিন্তু এ বিষয়ে যত দেরি করা হবে, আমাদের সৈনিক ও বেসামরিক মানুষ তত বেশি মারা যাবে। পদোলিয়াক আরও বলেন, জার্মানি এখানে নেতৃস্থানীয় অবস্থান নিলে বিষয়টি উল্লেখযোগ্য হতো।

ইউক্রেনের এ উপদেষ্টার মতে, তাদের তিনশ থেকে চারশ ট্যাংকের প্রয়োজন পড়বে। যা দুই থেকে তিন হাজার সোভিয়েত আমলের ট্যাংককে পেছনে ফেলতে পারবে। এতে করে যুদ্ধের গতিতে পরিবর্তন আসবে এবং এটিকে সমাপ্তির দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।  পুরোনো ট্যাংক নিয়ে একটি দিক থেকে সমস্যায় রয়েছে ইউক্রেন। আর তা হলো, বাড়তি যন্ত্রাংশের সংকট। পুরোনো মডেলের হওয়ায় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে সারাইয়ের যন্ত্রাংশ।

ইউক্রেনীয়দের আশঙ্কা, দুই মাসের মধ্যেই রাশিয়ার হামলা শুরু হতে পারে। গত শরতে নিজেদের সেনাবাহিনীতে দেড় লাখ সেনা অন্তর্ভুক্ত করেছে রুশরা। বসন্ত নাগাদ তাদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়ে যাবে। ফলে ইউক্রেনের জন্য বর্তমানের পুরো পরিস্থিতিটাই হচ্ছে সময়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতাস্বরূপ।  এরই মধ্যে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এম১ আব্রামস ট্যাংক পাবে না ইউক্রেন। কারণ, ট্যাংকগুলো শক্তিশালী হলেও এগুলো ঠিক রাখা ও পরিচালনা করা কঠিন। পেন্টাগনের শীর্ষ নীতিনির্ধারক কলিন কাহল এ প্রসঙ্গে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এম১ দামি এবং এতে প্রশিক্ষণ নেওয়া কঠিন। এতে রয়েছে জেট ইঞ্জিন।

জার্মান ট্যাংক যুদ্ধে গুরুতর ভূমিকা রাখতে পারবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (আরইউএসআই) জ্যেষ্ঠ গবেষক জ্যাক ওয়াটলিংয়ের মতে, লেপার্ড ২ আধুনিক এবং ভালো সেন্সরসমৃদ্ধ সুরক্ষিত মূল যুদ্ধ ট্যাংক হতে পারবে। ইউক্রেন অবশ্য ক্রমাগত নতুন অস্ত্র পাচ্ছে। সেগুলোকে নিজস্ব কাঠামোর মধ্যেও যুক্ত করছে তারা। কিন্তু এটিরও সমস্যা রয়েছে। সামরিক বাহিনীকেও প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিতে হচ্ছে তাদের। এ কারণেই নাইয়েভ মনে করেন, পুরো ইউনিটের একটি মাত্র বাহন থাকতে হবে। গোটা ব্যাটালিয়নের হয় ব্র্যাডলি, না হয় লেপার্ড ট্যাংক থাকা উচিত। তবে অনেক সমালোচকই বলছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে ভারী ট্যাংক পাঠালে তা ভুলভাবে উপস্থাপিত হতে পারে। এতে করে ন্যাটোর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা আখেরে যুদ্ধের পরিসর বাড়িয়ে তুলবে।

পদোলিয়াক অবশ্য তা মানতে নারাজ। তিনি বলছেন, দ্রুত আধুনিক ট্যাংকের সরবরাহ করা হলে তা যুদ্ধকে স্থানীয় পরিসরে বেঁধে ফেলবে। তিনি বলেন, এটি ছড়াবে না, অধিকৃত অঞ্চলের মধ্যে থাকবে এবং ট্যাংক যুদ্ধের মাধ্যমেই সবকিছু নির্ধারিত হবে। আমরা বুঝতে পারছি, কিছু দেশ এই যুদ্ধ নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু আমরাই মূলত স্বাধীনতার মূল্য পরিশোধ করছি। রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে আমাদের মানুষ মারা যাচ্ছে।

রুশরা যা বলছে: কিয়েভে পশ্চিমাদের সরবরাহ করা আক্রমণাত্মক অস্ত্র বিশ্বের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে বলেই মনে করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহচর ভায়াচেস্লাভ ভলোদিন। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে প্রকারান্তরে বিশ্বকে একটি ভয়ানক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে ভলোদিন লিখেছেন, ওয়াশিংটন এবং ন্যাটো দেশগুলোর সরবরাহ করা অস্ত্র আমাদের ভূখণ্ড দখলের চেষ্টায় এবং বেসামরিক নাগরিকদের বসবাসের এলাকাগুলোতে আঘাত হানতে ব্যবহার করা হবে। যেমনটি তারা হুমকি দিয়েছে। আর এর প্রতিক্রিয়ায় আরও শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবহারের বাস্তবতা তৈরি হবে।

নিউজ ট্যাগ: ইউক্রেনে হামলা

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর