নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক তরুণীকে হেনস্তা, মারধর ও শ্লীলতাহানির চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হেনস্তাকারী নারী শিলা আক্তার ওরফে সায়মাকে নরসিংদীর শিবপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ নরসিংদীর ক্যাম্প কমান্ডার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌহিদুল মুবিন খান।
গত ১৮ মে সকালে নরসিংদী রেলস্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে
ঢাকাগামী চট্রগ্রাম মেইল-ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন দুই তরুণ ও এক তরুণী। পরনের
পোশাকের অজুহাতে স্টেশনে অবস্থানরত এক নারী প্রথমে ওই তরুণীকে আঘাত করেন। পরে আরও কয়েক
ব্যক্তি তরুণীর ওপর হামলার চেষ্টা চালান। ভুক্তভোগী ওই তরুণী দৌড়ে স্টেশন মাস্টারের
কক্ষে আশ্রয় নিয়ে তাকে বাঁচানোর অনুরোধ করেন। পরে স্টেশন মাস্টারের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি
স্বাভাবিক হলে ওই তরুণীসহ বাকিদের ঢাকাগামী ট্রেনে উঠিয়ে দেওয়া হয়।
রেলস্টেশনে
ওই তরুণীকে হেনস্থা ও মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি জাতীয়
ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হলে টনক নড়ে সংশ্লিষ্টদের। এতে প্রশাসনের ভূমিকা
নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে ঘটনার দুদিন পর শুক্রবার রাতে নরসিংদী শহরের ইউএমসি জুট মিলের
সামনে থেকে ইসমাইল মিয়া নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার
দেখিয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ সিদ্দিকীর আদালতে সোপর্দ
করা হয়। ওই রাতেই নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমায়েদুল জাহেদী বাদী হয়ে নারী
ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ও ৩০ ধারায় ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে
এক নারীসহ দুজনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাত আরও এক নারী ও ১০ পুরুষকে আসামি করা
হয়। পুলিশ জানায়—ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও মুঠোফোনে ধারণ করা ভিডিওতে অবস্থান
নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের আসামি করা হয়।
মামলার এজাহার
থেকে জানা গেছে, ওই তরুণীকে হেনস্তাকারী ওই নারীর নাম শিলা আক্তার ওরফে সায়মা (৪৫)।
তিনি স্থানীয়ভাবে একজন ঘটক হিসেবে পরিচিত।