Logo
শিরোনাম

নতুন দুই রেলপথে বদলে যাবে মধ্য এশিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মধ্য এশিয়ার প্রথম রেলপথটি তৈরি হয়েছিল সামরিক কারণে। ১৮৮০ সালে রাশিয়া যখন ট্র্যাক স্থাপনের কাজ শুরু করে, তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল কারাকুম মরুভূমির চারপাশে (বর্তমান তুর্কমেনিস্তান) সৈন্য পরিবহন করা, যেন রুশ শাসনের বিরোধিতাকারীদের প্রতিরোধ চূর্ণ করা যায়। তাদের উদ্যোগে মাত্র আট বছরের মধ্যে ক্যাস্পিয়ান সাগর থেকে সমরখন্দ পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে ট্রেন চলাচল শুরু করে। ১৮৮৮ সালে তরুণ ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা (এবং ভারতের ভবিষ্যৎ ভাইসরয়) হিসেবে ওই রেলপথ পাড়ি দিয়েছিলেন জর্জ কার্জন। তিনি লিখে গেছেন, এটি রাশিয়াকে স্থানীয় বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তারে সহায়তা ও ভারতে আক্রমণ চালানোর ক্ষমতা দ্বিগুণ করেছিল। সেই থেকে এ অঞ্চলে রাশিয়ার প্রভাব বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে রেলপথটি।

কিন্তু আজ ক্ষমতার ভারসাম্য বদলাতে শুরু করেছে। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনারা বিদায় নেওয়ায় একটি শূন্যতা তৈরি হয়েছে। রাশিয়া আবার ইউক্রেন নিয়ে ব্যস্ত। ফলে নিজেদের প্রভাব বাড়ানো ও ইউরোপের বাণিজ্য রুটে বৈচিত্র্য আনার দারুণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে চীনের সামনে। মধ্য এশিয়ার দেশগুলোও চীনের পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে আগ্রহী। বর্তমানে এসব প্রচেষ্টার মধ্যমণি হয়ে উঠেছে দুটি নতুন অবিচ্ছেদ্য রেলপথ। আগামী ১৫ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর সমরখন্দে সাংহাই কো-অপারেশন অরগানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনে এগুলো নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে অগ্রগতির প্রথম লক্ষণ সামনে আসে গত মে মাসে। সেসময় কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সাদির জাপারভ ঘোষণা দেন, চীন, কিরগিজস্তান ও উজবেকিস্তানকে সংযোগকারী একটি রেলপথের নির্মাণকাজ শুরু হবে ২০২৩ সালে।

চীনা রেলপথ এরই মধ্যে কাজাখস্তানের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। সেখান থেকে রাশিয়া হয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক রুট হয়ে উঠেছে। ইউরোপের সঙ্গে চীনের রেলপথ বাণিজ্যের সিংহভাগই হয় এই রুট দিয়ে। ২০১৬ সালে রেলপথটি দিয়ে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়েছিল, যা ২০২১ সালে বেড়ে সাড়ে সাত হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় তুর্কমেনিস্তান, ইরান ও তুরস্ক হয়ে চীন থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথ খুলে দেবে নতুন একটি রেলপথ। এর ফলে যাত্রাপথের দূরত্ব প্রায় ৯০০ কিলোমিটার ও সময় অন্তত আট দিন কমে যাবে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি যাবে রাশিয়াকে পাশ কাটিয়ে। ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে মস্কোর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া-নির্ভর রুট দিয়ে পণ্য পরিবহন এখন অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে।

চায়না কমিউনিকেশনস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন অ্যাসোসিয়েশনের ইয়াং জি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপীয় গ্রাহকদের জন্য মহাঅনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। রাশিয়াকে পাশ কাটানোর জন্য তাদের কেউ কেউ জাহাজে করে ক্যাস্পিয়ান সাগর পার হয়ে তুলনামূলক ধীরগতির ও খরুচে রেলপথ ব্যবহার করছে। নতুন রেলপথটি রাশিয়াকে বাদ দিয়ে চীন ও ইউরোপের মধ্যে একটি বিকল্প রুট সৃষ্টি করবে।

কিরগিজস্তানের পরিবহনমন্ত্রী এরকিনবেক ওসোয়েভ বলেছেন, ট্রান্স-কিরগিজ সংযোগ রেলপথ দিয়ে বছরে ৭০ লাখ থেকে ১ কোটি ৩০ লাখ টন মালামাল পরিবহন হবে, যার সিংহভাগই যাবে অন্য জায়গায়। এ প্রকল্পের কর্মসংস্থান, কর ও ট্রানজিট ফি কিরগিজস্তানের অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রাখবে। পরিকল্পনাটি অবশ্য নতুন নয়। এটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ১৯৯৭ সালে। রাশিয়া একে কখনোই পছন্দ করেনি। খরচ ও রুট নিয়ে একমত হতে পারেনি চীন-কিরগিজস্তান। এটি কিরগিজ জনগণের বিস্তৃত অংশকে সেবা দেবে নাকি সরাসরি ইউরোপে যাবে, তা নিয়ে শুরু হয় মতবিরোধ। আবার, রেলপথের গেজ ট্র্যাক চীন-ইউরোপে ব্যবহৃত ১ দশমিক ৪৩৫ মিটার থেকে কিরগিজস্তানের মানদণ্ড অনুসারে ১ দশমিক ৫২০ মিটারে কোথায় গিয়ে পরিবর্তন হবে সেটি নিয়েও দেখা দেয় বিতর্ক। ফলে পরিকল্পনাটি বারবার স্থগিত হতে থাকে।

ওসোয়েভ বলেছেন, চীন, কিরগিজস্তান ও উজবেকিস্তান অবশেষে ২৮০ কিলোমিটার রেল রুটের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। এতে খরচ হবে ৪১০ কোটি ডলার। সরাসরি বিনিয়োগ অথবা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে প্রকল্পটিতে। চীন সীমান্তের তুরুগার্ট পাস থেকে পশ্চিম কিরগিজস্তানের জালালাবাদ পর্যন্ত যাবে রেলপথটি। ১৯১৬ সালে রুশ নির্মিত একটি রেলপথ দিয়ে এরই মধ্যে উজবেকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত কিরগিজ শহরটি। আর গেজ ট্র্যাক পরিবর্তিত হবে মাকমালে। এ প্রকল্পের ভূতাত্ত্বিক জরিপ শিগগির শুরু হবে এবং সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হবে আগামী মার্চের মধ্যে। এরই মধ্যে প্রকল্পটি অনুমোদন করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। কাজাখস্তানে একদিনের সফর শেষে তিনি আসন্ন সমরখন্দ সম্মেলনে অংশ নেবেন। তাছাড়া গত আগস্টেই কিরগিজস্তানে পৌঁছেছেন চীনা বিশেষজ্ঞরা। উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শভকাত মিরজিওয়েভ বলেছেন, প্রকল্পটি আমাদের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সাথে সংযুক্ত করবে, যার ফলে নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার পথ প্রশস্ত হবে। আর কিরগিজ প্রেসিডেন্ট জাপারভ বলেছেন, এর জন্য তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ব্যক্তিগত সমর্থন পেয়েছেন। গত জুলাইয়ে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নেরও সমর্থন পেয়েছিল পরিকল্পনাটি।

সমরখন্দ সম্মেলনে আরেকটি রেলওয়ে প্রকল্প তুলে ধরবেন উজবেক প্রেসিডেন্ট মিরজিওয়েভ। আফগানিস্তানের মধ্য দিয়ে উজবেকিস্তান ও পাকিস্তানকে সংযুক্ত করবে এই রেলপথটি। উজবেক সীমান্ত থেকে উত্তর আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফ পর্যন্ত এরই মধ্যে একটি ছোট রেলপথ রয়েছে। নতুনটি যাবে কাবুল হয়ে পাকিস্তানের পেশোয়ার পর্যন্ত, দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৫৭৩ কিলোমিটার। এই রেলপথ তৈরির ফলে পাকিস্তানের বন্দর দিয়ে দ্রুত ও কম খরচে সমুদ্র সংযোগ পাবে স্থলবেষ্টিত উজবেকিস্তান ও আফগানিস্তান। ধারণা করা হচ্ছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উজবেকিস্তান থেকে পাকিস্তানে পণ্য পরিবহনে প্রয়োজনীয় সময় ৩৫ দিন থেকে মাত্র চারদিনে নেমে আসবে। এর জন্য ট্রানজিট ফি পাবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান।

তবে দুটি রেলপথের ভাগ্যই নির্ভর করছে, সেগুলো চীন ছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে অর্থায়ন পায় কি না তার ওপর। বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের সমস্যাগুলো বেইজিংকে একা কোনো অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে সতর্ক করে তুলেছে। তাছাড়া ট্রান্স-কিরগিজ রেলপথের চেয়ে ট্রান্স-আফগান রেলপথের ভবিষ্যৎ বেশি অনিশ্চিত দেখাচ্ছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা তালেবানের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্কে জড়াতে রাজি নয়। ফলে, উভয় পরিকল্পনাই ভেস্তে যাওয়ার বড় আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু যদি প্রকল্প দুটি শেষপর্যন্ত আলোর মুখ দেখে, তাহলে বিশ্বের সঙ্গে আরও ভালোভাবে সংযুক্ত হওয়া এবং রাশিয়ার ওপর কম নির্ভরশীলতার দিকে এগিয়ে যাবে মধ্য এশিয়া।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর