Logo
শিরোনাম

নতুন তালিকায় দেশের আরও ১৪৩ সূর্যসন্তান

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় অনুগামীদের হাতে নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা ধাপে ধাপে প্রকাশ করছে সরকার। ইতোমধ্যে দুই পর্বে ৩৩৪ জনের নাম গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও দেশের এই সূর্যসন্তানদের তালিকা পেতে জাতিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ ৫০ বছর।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়নে যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করা হয় ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর। মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব তপন কান্তি ঘোষকে সভাপতি এবং উপসচিব রথীন্দ্রনাথ দত্তকে সদস্য সচিব করে গঠিত ওই কমিটির সদস্য ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মো. শহীদুল হক ভুঁঞা। গবেষক সদস্য ছিলেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. হাজী সালেহ উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামাল, অধ্যাপক ডা. বায়েজদ খুরশীদ রিয়াজ, গণহত্যা নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ট্রাস্টি ড. চৌধুরী শহীদ কাদের। এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা সদস্য ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল কাজী সাজ্জাদ জহির (বীরপ্রতীক)।

মুক্তিযুদ্ধকালীন শহীদদের মধ্যে কারা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন, তার সংজ্ঞা নির্ধারণ করাই ছিল এই কমিটির মূল দায়িত্ব। সেই সঙ্গে তারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা যাচাই-বাছাই করে তাদের নাম, বাবার নাম, ঠিকানাসহ মতামত দেন। তার জন্য বিভিন্ন গবেষণা গ্রন্থ, পত্রিকা কাটিং, টিভি রিপোর্ট, অন্যান্য সূত্রে পাওয়া তথ্যের সহযোগিতা নেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে সারাদেশের জন্য সময়কাল ধরা হয় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে ঢাকা জেলার ক্ষেত্রে এ সময়কাল কিছুটা বাড়িয়ে ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়।

শহীদ বুদ্ধিজীবী কারা: কাজ করতে গিয়ে কমিটি প্রথমেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে। আর সেই সংজ্ঞায় বলা হয়েছে- যেসব সাহিত্যিক, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পী, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি, ভাস্কর, সরকারি-বেসরকারি কর্মচারী, রাজনৈতিক, সমাজসেবী, সংস্কৃতিসেবী, চলচ্চিত্র, নাটক-সংগীত ও শিল্পকলার অন্যান্য শাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি; যারা তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী, কিংবা তাদের সহযোগীদের হাতে শহীদ কিংবা চিরতরে নিখোঁজ হয়েছেন- তারাই শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে গণ্য হবেন। আর সেই অনুসারে এবং রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬-এর সিডিউল-১ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল প্রথম পর্বে ১৯১ জনের নাম প্রকাশ হয়। দ্বিতীয় পর্বে ১৪৩ জনের তালিকার গেজেট প্রকাশ হয়েছে গতকাল রবিবার। এখন পর্যন্ত দুই পর্বে মোট ৩৩৪ জনকে শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, দেশের সূর্যসন্তানদের তালিকা রাষ্ট্রীয়ভাবে করতে আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ৫০ বছর। তবে দীর্ঘসময় পর হলেও যে এমন একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং বাস্তবায়ন হচ্ছে সেটিই বড় বিষয়। তালিকায় আরও নাম যুক্ত হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আরও অনেক নাম যুক্ত হবে। সময় নির্ধারণ না করে এই প্রক্রিয়া চলমান রাখা উচিত। কারণ অনেকেরই পরিবার হয়তো দেশের বাইরে থাকেন। তারা যদি পরে দেশে এসে নাম অন্তর্ভুক্তি করতে চান, সেই সুযোগ দেওয়া উচিত। তা ছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে কমিটি করে এ ধরনের তালিকা সঠিকভাবে প্রণয়ন করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় কমিশন করতে হবে, যা ডিসি বা ইউএনওদের দিয়ে সম্ভব নয়।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়নে গঠিত কমিটির ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, বিভিন্ন সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি অথবা কোনো মহল থেকে বিতর্কিত হওয়ার সুযোগ থাকে এমন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করা যাবে না। সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়- ডাক ও টেলি যোগাযোগ বিভাগ থেকে ১৫২ জনের তালিকা পাওয়া গেছে, বাংলা একাডেমি প্রকাশিত গ্রন্থ থেকে ২০৭ জনের তালিকা পাওয়া গেছে, ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর তৎকালীন তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ের করা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ১ হাজার ৭০ জনের একটি তালিকা রয়েছে। এর বাইরেও কোনো তথ্য পাওয়া গেলে তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সাত সদস্যের উপকমিটি গঠন করা হয়। লে. কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহিরকে (বীরপ্রতীক) আহ্বায়ক করে এবং রথীন্দ্রনাথ দত্তকে সদস্য সচিব করে গঠিত ওই কমিটির সদস্য ছিলেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, অধ্যাপক গাজী সালেহ উদ্দিন, অধ্যাপক বায়েজীদ খুরশীদ রিয়াজ, ডা. নুজহাত চৌধুরী, ড. চৌধুরী শহীদ কাদের।

যাচাই-বাছাই প্রসঙ্গে উপকমিটির আহ্বায়ক লে. কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীরপ্রতীক) বলেন, সরকারি একটি নীতিমালা রয়েছে। সেটি অনুসরণ করেই যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বিতর্ক রয়েছে এমন কারও নাম অন্তর্ভুক্তির সুয়োগ রয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় যারা গেজেটভুক্ত হয়েছেন বা রেকর্ডে স্থান পেয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে কিছু করার নেই। তা ছাড়া আরও অনেক বিতর্ক রয়েছে। সব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই গ্রহণযোগ্য তালিকা প্রণয়নের চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. বায়েজীদ খুরশীদ রিয়াজ বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে কমিটি কাজ করছে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তালিকাটি আরও দীর্ঘ হবে। তিনি আরও বলেন, এই কার্যক্রমের ফলে আমাদের সূর্যসন্তানদের নাম অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর