Logo
শিরোনাম

অবৈধ ব্যবসায় পাঁচশ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে পিয়াসা-মৌ

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আমদানি নিষিদ্ধ গাড়ির ব্যবসা ছিল আলোচিত মডেল পিয়াসা ও মৌয়ের। কয়েক বছরে চোরাইপথে গাড়ি আমদানি করে প্রায় পাঁচশ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন তারা। বিআরটিএর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে গাড়ির কাগজপত্র করে তা বাজারজাত করেছে চক্রটি।

এ কাজে তাদের মূল সহযোগী ছিলেন শরফুল হাসান মিশু ওরফে মিশু হাসান। এসব গাড়ি অনেক সময় অবৈধভাবে মাদানি রোডের তার মালিকানাধীন ইউরো কার সল্যুশনে রাখা হতো। যা বিক্রি করা হতো ধনীর দুলালদের কাছে। এ চক্রের কাছ থেকে যারা গাড়ি কিনেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের খোঁজে নেমেছে।

এর মধ্যে চট্টগ্রামের সাবেক এক এমপিপুত্রও রয়েছেন। অবৈধ উপায়ে তার সংগ্রহে রাখা কোটি টাকা মূল্যের বিএমডব্লিউ গাড়িটি নজরদারিতে রয়েছে। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে আনা আরেকটি ওডি আর-৮ ও একটি ল্যাম্বরগিনি গাড়ির সন্ধান করছেন গোয়েন্দারা। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া এ সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য এখন তাদের হাতে।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান বাংলাদেশে দামি ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ির ব্যবসা করেন। পিয়াসা-মৌ অবৈধ গাড়ির ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন তার হাত ধরেই। তারাও দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি ব্যবহার করতেন। মিশুর ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ২টি রেঞ্জ রোভার, অ্যাকুয়া, ভক্সওয়াগন ও ফেরারিসহ পাঁচটি গাড়ি রয়েছে। তিনি অত্যন্ত সুকৌশলে গাড়ির ট্যাক্স জালিয়াতি করে থাকেন। এছাড়া অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ গাড়ি ব্যবসার মাধ্যমে বৈধ করার চেষ্টাও করেছেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদেও মিশু অবৈধ গাড়ি ব্যবসার কথা স্বীকার করেছেন।

আরেকটি সূত্র জানায়- এ পর্যন্ত গুলশান, বারিধারা, বনানী, বসুন্ধরা আবাসিক ও ধানমন্ডি এলাকার ধনাঢ্য পরিবারের বখে যাওয়া সন্তানের কাছে শতাধিক গাড়ি বিক্রি করে এ চক্রটি। এসব গাড়ির মধ্যে রয়েছে- ফেরারি, ওডি, বেন্টলি কন্টিনেন্টাল কার, মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ, রেঞ্জ রোভার মডেল। ছয় হাজার সিসির এসব গাড়ি দুই হাজার সিসি দেখিয়ে বড় অঙ্কের কর ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে আমদানি করা হয়। এরপর বিআরটিএর একটি সিন্ডিকেটের যোগসাজশে অবৈধ কাগজপত্র তৈরি করে এ গাড়িগুলো বিক্রি করা হয়। চক্রটির গাড়ি ব্যবসার কাগজপত্র যাচাই করলেই এর সত্যতা বেরিয়ে আসবে বলে জানায় সূত্রটি।

এদিকে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, আমলা, রাজনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কারা পরীমনি ও পিয়াসার পার্টিতে যাতায়াত করতেন তাদের সম্পর্কেও খোঁজখবর নিচ্ছে তদন্ত সংস্থা। এ বিষয়ে দরকার হলে পরীমনি ও পিয়াসাকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বিশেষ করে পিয়াসা এমন কোনো বড় চাকরি বা ব্যবসা না করলেও তিন লাখ টাকা দিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকা এবং বিলাসবহুল গাড়ি চালানোর অর্থের উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে তদন্ত সংস্থা।

ছয়জনের বাসায় অভিযান : এদিকে শনিবার বিকালে ছয়টি বাসায় অভিযান চালিয়েছে সিআইডি। সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক শেখ বলেন, সম্প্রতি যে সাতটি মামলা তদন্তের জন্য আমাদের কাছে এসেছে সে সংক্রান্ত সবার বাসায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে।

যাদের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে তারা হলেন- হেলেনা জাহাঙ্গীর, পরীমনি, পিয়াসা, মৌ, নজরুল ইসলাম রাজ, মিশু হাসান। সিআইডির ছয়টি টিম একই সময়ে এ অভিযান চালায়। অভিযানে বাসাগুলো থেকে বেশকিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।

 


আরও খবর

রাজধানীর ৯০ ভাগ হিজড়াই নকল

শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩