Logo
শিরোনাম

অবৈধ দখলে থাকা ১৬ কোটি টাকার সরকারি জমি উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ১২ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজনগর উপজেলায় অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকার জমি উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। এ সময় কাঁচা, আধপাকা ও পাকা মিলিয়ে প্রায় ৮০ টি দোকান ও স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে পরিচালিত এ অভিযানে সহায়তা করে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় দোকান মালিকদের সূত্র জানায়, উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের জেএল নম্বর ৩৫ এর দক্ষিণভাগ মৌজায় মুন্সিবাজারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৬৩ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং জেলা প্রশাসনের খাস খতিয়ানের ১ দশমিক ৩০ শতাংশ জমিতে দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা, আধপাকা ও পাকা দোকানকোঠা নির্মাণ করে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল স্থানীয় কিছু মানুষ। এসব দোকান ও অন্যান্য স্থাপনা সরকারি জায়গা থেকে সরিয়ে নিতে অবৈধভাবে থাকা ব্যবসায়ীদের বারবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। কিন্তু বিষয়টিকে পাত্তা না দিয়ে ওই ব্যবসায়ীরা উচ্ছেদ ঠেকাতে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে তদবির করতে থাকে। পরে গত সোমবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধভাবে থাকা ব্যবসায়ীদের মালামাল সরিয়ে নিয়ে স্থাপনা ভাঙতে মাইকিং করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে পুলিশের সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা আক্তার, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাফকাত আলী, মৌলভীবাজার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৗশলী মো. জিয়া উদ্দিনের উপস্থিতিতে অবৈধ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

৮০টি দোকান উচ্ছেদ করে ৬৫ দশমিক ২০ শতাংশ জমি উদ্ধার করেছে প্রশাসন। যার বাজারমূল্য প্রায় ১৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে রাজনগর উপজেলা প্রশাসন।

মুন্সিবাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আইয়ুব বলেন, কয়েক মাস আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সোমবার মাইকিংও করা হয়েছে। সড়ক ও প্রশাসনের জমি ছেড়ে দিতে সবাই বাধ্য।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাফকাত আলী বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের আগে জানিয়েছি। তারা নিজেরা না সরানোর কারণে আমরা উচ্ছেদ করছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল জানান, উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করেছে। জেলা প্রশাসনের খাস ও সড়ক বিভাগের মিলিয়ে ৬৫ দশমিক ২০ শতাংশ জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এখানকার প্রতি শতাংশ জমির বাজার মূল্য ২৫ লাখ টাকা।


আরও খবর