করোনায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার
পর অবশেষে আগামী ২৬ মার্চ থেকে চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের যাত্রীবাহী ট্রেন। এ নিয়ে
ভারতের পক্ষ থেকে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন)
শাহাদাত আলী সরদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি
নিয়ে আগামী রোববার আন্তঃমন্ত্রণালয়ে বৈঠক হবে। বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সমস্যা দেখা না দিলে এবং সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৬ মার্চ ট্রেন
চালু হতে পারে বলে জানান তিনি। ঢাকা-কোলকাতা রুটের মৈত্রী এক্সপ্রেস ও খুলনা-কলকাতা
রুটের বন্ধন এক্সপ্রেস প্রায় ২৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিলে উভয় দেশে
চলাচল শুরু করে মৈত্রী এক্সপ্রেস। অপরদিকে বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়
২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর। এর পাশাপাশি ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত মিতালি এক্সপ্রেস
নামে একটি ট্রেন চালু ছিল। তবে করোনার কারণে ট্রেনটিতে এখন পর্যন্ত কোনো যাত্রী পরিবহন
করা হয়নি। খুলনা-কোলকাতা রেলপথের দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটার এবং এ রুটের যাত্রীপ্রতি ভাড়া
ট্রাভেল ট্যাক্সসহ (৫০০ টাকা) এসি সিট দুই হাজার পাঁচ টাকা ও এসি চেয়ার এক হাজার ৫০৫
টাকা। ঢাকা-কোলকাতার দূরত্ব ৩৭৫ কিলোমিটার এবং এ রুটের যাত্রীপ্রতি ভাড়া ট্রাভেল ট্যাক্সসহ
(৫০০ টাকা) এসি সিট তিন হাজার ৫০৫ টাকা ও এসি চেয়ার দুই হাজার ৫০৫ টাকা।
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিনটি ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা-কলকাতা রুটে
মৈত্রী এক্সপ্রেস, খুলনা-কলকতা রুটে বন্ধন এক্সপ্রেস ও ঢাকা-জলপাইগুড়ি রুটে মিতালী
এক্সপ্রেস। ট্রেন এখনো বন্ধ থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন তিন রুটের হাজার হাজার যাত্রী।
উভয় দেশে যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ থাকলেও করোনাকালে বাংলাদেশ-ভারতে
রেলপথে পণ্য পরিবহন চালু ছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারত থেকে রেলপথে পণ্য আমদানি হয় ৩৬
লাখ ৯৪ হাজার টন। আগের (২০১৯-২০) অর্থবছর আমদানির পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৩৪ হাজার টন।