পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) জানান, স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করার জন্য তাকে মূল্য চোকাতে হচ্ছে। এর একদিন পর ইমরান খান নতুন তথ্য প্রকাশ করলেন।
বিদেশি শক্তির কথা উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, তারা আমাদের আদেশ দেয়, যদি অনাস্থা প্রস্তাব সফল না হয় তাহলে ভয়াবহ পরিণতি হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ কোনো দেশকে এমন হুমকি দিতে পারে। ইমরান খান একে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সমতুল্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ইসলামাবাদে নিরাপত্তা সংলাপে ইমরান প্রশ্ন করেন, 'একটি দেশ কীভাবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে।' তিনি আরও বলেন, কিন্তু আমরা তাদের দোষ দিতে পারি না, কারণ এটি আমাদের দোষ কারণ আমরা তাদের এই ধারণা দিয়েছি।
এর আগে গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইমরান খান দাবি করেন, বিদেশি একটি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তার সরকার একটি ‘হুমকির চিঠি’ পেয়েছে। এসময় তিনি মুখ ফসকে এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে থাকা দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নাম বলেন।
রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন ইমরান খান। তিনি এখন ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য লড়ছেন। ইতিমধ্যে তিনি বিরোধীদের আনা অনাস্হা প্রস্তাবের পেছনে বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। পরিস্হিতি নিয়ে পাকিস্তানের সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একের পর বৈঠক করছেন।
বৃহস্পতিবারও তিনি দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো—তার তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) কয়েক জন সদস্যের দল ত্যাগ এবং জোট সরকার থেকে শরিক দলের সরে যাওয়ায় তার প্রধানমন্ত্রী থাকার আর কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আগামী ৩ এপ্রিল ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।