ক্যাম্পাসের
জন্য জমি কেনা সংক্রান্ত অর্থ আত্মসাতের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি
বোর্ডের চার সদস্যকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। হাইকোর্টে তারা আগাম জামিন করলে আদালত এ
নির্দেশনা দেন। আসামিরা হলেন রেহানা রহমান, এম এ কাশেম, মোহাম্মদ শাহজাহান ও বেনজীর
আহমেদ।
এ সংক্রান্ত
মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্যের আগাম জামিন শুনানি নিয়ে রোববার
(২২ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল
হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে
ছিলেন ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম
আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলী। দুদকের পক্ষে ছিলেন
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে এ সংক্রান্ত
জামিনের বিষয়ে শুনানি নিয়ে বুধবার (১৮ মে) শুনানি হয়। আদালতে চার ট্রাস্টির পক্ষে শুনানি
করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট
মো. ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি ও ব্যারিস্টার মো. মিজান
সাঈদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে)
মোরশেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল
বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলী।
গত ৫ মে নর্থ
সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়
দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের
বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
মামলায় আসামিদের
বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা
মন্ত্রণালয় অর্থাৎ সরকারের সুপারিশ বা অনুমোদনকে পাশ কাটিয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের কতিপয়
সদস্যের অনুমোদন বা সম্মতির নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমি কেনা বাবদ অর্থ আত্মসাৎ
করেছেন। তারা ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ২৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অতিরিক্ত অর্থ অপরাধজনকভাবে দেওয়া-নেওয়া
করে অর্থ স্থানান্তর করে মানি লন্ডারিং করেছেন।
মামলার আসামিরা
হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ডের
চার সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান ও আশালয় হাউজিং
অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।