ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান 'ইভ্যালির' চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলা করেছেন আরিফ বাকের নামের এক ভুক্তভোগী। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, গত রাত সাড়ে ১২টার দিকে থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন তিনি।
ভুক্তভোগী আরিফ বাকের জানান, গেল ২৯ মে থেকে জুন পর্যন্ত ইভ্যালির অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার পণ্য অর্ডার করেন তিনি। যা নির্ধারিত সময়ে প্রতিষ্ঠানটি সরবরাহে ব্যর্থ হয়। ফলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলার আবেদন করেন।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, ইভ্যালির চমকপ্রদ
বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে বাকের ও তার বন্ধুরা চলতি বছরের মে ও জুনে কিছু পণ্য অর্ডার
করেন। এ বাবদ সব মূল্য বিকাশ, নগদ ও সিটি ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। পণ্যগুলো
৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে ডেলিভারি এবং নির্দিষ্ট সময়সীমায় সরবরাহে ব্যর্থ হলে
প্রতিষ্ঠানটি সমপরিমাণ টাকা ফেরত দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ওই সময়সীমার মধ্যে
সেগুলো ডেলিভারি না পাওয়ায় বহুবার সেটির কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধিকে ফোন করা হয়।
সবশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর যোগাযোগ করে পণ্যগুলো পাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তারা।
একপর্যায়ে ইভ্যালি পণ্য ও টাকা দিতে ব্যর্থ
হয়। পরে ৯ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির ধানমন্ডির কার্যালয়ে যান ভুক্তভোগীরা এবং এমডি
রাসেলের সঙ্গে কথা বলতে চান। এতে ইভ্যালি সংশ্লিষ্টরা উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি
করেন। একপর্যায়ে কার্যালয়ের ভেতর থেকে প্রধান নির্বাহী (সিইও) রাসেল উত্তেজিত হয়ে
বেরিয়ে এসে তাদের ভয়-ভীতি দেখান। পাশাপাশি পণ্য অথবা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে ভুক্তভোগীদের ভয়-ভীতি ও হুমকি দেয়
ইভ্যালি। ফলে তারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দিনযাপন করছেন। সেই সঙ্গে পণ্যগুলো বুঝে না পাওয়ায়
আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।